বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১২ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শিরোনাম :
‘মানতিক; যুগের চাহিদার সাথে মিলে না’ এ ধরেণের কথা অযৌক্তিক: মুফতি হিফজুর রহমান দাওরায়ে হাদিসের ফলাফল নজরে সানীর আবেদনের সময় বাকি ৩ দিন  বৃষ্টি প্রার্থনায় জামিয়াতুল আবরার রাহমানিয়ায় ‘সালাতুল ইস্তিসকা’  আদায় হাসপাতালে সৌদি বাদশাহ সালমান সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত পাঠ্য তালিকার সাথে বেফাকের পাঠ্য তালিকার সম্পর্ক নেই: বেফাক সৈয়দপুরে তাপদাহে অতিষ্ঠ মানুষ, ‘হিটস্ট্রোকে’ ১ জনের মৃত্যু স্বর্ণের দাম আরও কমলো, ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ১৫১ টাকা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান ইরান-পাকিস্তানের ঢাবিতে বৃষ্টির জন্য ‘সালাতুল ইসতিস্কা’র অনুমতি দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ‘বৃষ্টির জন্যে সালাত আদায় করলেই অবশ্যম্ভাবী বৃষ্টি চলে আসবে—বিষয়টা তা নয়’

‘আমরা সরকারি বেতন পাই, ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে কোনো কথা বলতে পারবো না’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

হামিম আরিফ: ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’। কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা গানটি স্কুল পর্যায়ের প্রতিদিন গাইতে হয়। মাদরাসাগুলোতে এতদিন এটার বাধ্যবাধকতা ছিল না।

কিন্তু গত মঙ্গলবার হাইকোর্ট এক আদেশের মাধ্যমে এটি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সাথে বিচারপতি এও বলেছেন, কুরআনের কোথায় আছে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া যাবে না?

বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি আতাউর রহমান খানের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

কুড়িগ্রামের সুখদেব ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ নূরুল ইসলাম মিয়া ও ঢাকার কদমতলা মাদরাসার একজন শিক্ষার্থীর অভিভাবক গত সপ্তাহে এ রিট আবেদনটি দাখিল করেছিলেন।

এ বিষয়ে চৌয়ারা ইসলামিয়া ফাযিল (ডিগ্রি) মাদরাসা কুমিল্লার অধ্যক্ষ লুৎফুর রহমানের সঙ্গে কথা হয়।

জাতীয় সঙ্গীত বাধ্যতামূলক করার বিষয়ে তিনি আওয়ার ইসলামকে বলেন, আমরা কুরআন হাদিসের আলো, জ্ঞান ছাত্রদের মাঝে দিয়ে থাকি। দেশের ভালোবাসার কথাও বলি।

দেশকে ভালোবাসলে জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে ভালোবাসা প্রকাশ করতে হয় না। তারপর অামরা যেহেতো সরকারি কর্মচারী আমাদের সরকার যেভাবে আদেশ করবে আমরা সেভাবেই তা পালনে বাধ্য।

জাতীয় সঙ্গীতের প্রতিযোগিতার সরকারিভাবে যে আদেশ দেয়া হয়েছিলো তা কতটুকু পালন করেছেন?

দেখুন, কোনো প্রতিষ্ঠানে জোর করে ছাত্রদের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করানো যায় না।

আমরা উদ্যোগ নিতে চাইলেও ছাত্রদের উৎসাহ না থাকলে প্রতিযোগিতা করা যায় না। তা ছাড়া আমাদের মাদরাসা বন্ধ ছিলো তাই এ অনুষ্ঠান আমরা করতে পারি নি।

মাদরাসায় বাধ্যতামূলক সঙ্গীত গাওয়ার বিষয়টিকে আপনি কীভাবে দেখছেন। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বাধ্যবাধকতা নেই?

মাদরাসায় বাধ্যতামূলক করা এটা সরকারর বিষয়। কারণ আমরা সরকারের অধীনে। সরকার যেটা নিয়ম করবে পালন করতেই হবে।

আর নয় ঘাড় ব্যথা; এলো হিজামা (কাপিং থেরাপি)

তবে বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বাধ্যতামূলক না থাকলে আমাদের তো কিছু করার নাই কারণ শুধু মাদরাসায় বাধ্যতামূলক  করার বিষয়টি সরকারিভাবে আসছে। আমরা আবেদন করে আনি নি।

আপনি ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে জাতীয় সঙ্গীতকে কীভাবে মূল্যোয়ন করেন?

এ প্রশ্নের জবাবে প্রিন্সিপাল বলেন, দেখুন আমরা সরকারের চাকরি করি, সরকার যেভাবে বলবে সেভাবেই মানতে হবে চলতে হবে। আমরা সরকার থেকে বেতন পাই। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে আমি কোনো মূল্যায়নের কথা বলতে পারবো না।

আরও পড়ুন: জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া কি জায়েজ?

 


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ