শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ।। ১৪ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৯ রমজান ১৪৪৫


ফেসবুক আপনার সম্পর্কে যা কিছু জানে, আপনি জানবেন যেভাবে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম : আপনি ফেসবুক ব্যবহার যখন থেকে শুরু করেছেন তখন থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত সকল তথ্য ফেসবুকের সংগ্রহে আছে।   ফেসবুকের ‘অ্যাকসেসিং ইওর ফেসবুক ডাটা’ অপশনে গেলে দেখতে পাবেন ফেসবুক আপনার ৭০ রকমের তথ্য জমা করে রাখে।

সুতরাং, ফেসবুকে যা করছি তা আমি ছাড়া কেউ জানে না, এমনটি মনে করার কোন সুযোগ নেই।  নিজের একান্ত ব্যক্তিগত তথ্য বিভিন্নভাবে ফেসবুকে শেয়ার করা থেকে বিরত থাকা উচিৎ।অন্যথায়, নিজের অজান্তেই এক সময় বিপদ ডেকে আনতে পারেন আপনি।

চলুন জেনে নিই ফেসবুক আপনার কোন তথ্যগুলো জানে।আপনার সম্পর্কে ফেসবুক কী তথ্য সংরক্ষণ করে রেখেছে তার প্রাথমিক একটি ধারণা পেতে পারেন সেটিংসে গিয়ে। ফেসবুকে লগইন করে সেটিংসে যান। সেখানে‘জেনারেল অ্যাকাউন্ট সেটিংস’ অপশনের নিচে ‘ডাউনলোড আ কপি অব ইওর ফেসবুক ডাটা’ অপশনটি সিলেক্ট করে ‘স্টার্ট মাই আর্কাইভ’ ক্লিক করুন।

এভাবে নিজের আর্কাইভ ডাউনলোড করার পরসিকিউরিটি চেক পার হতে হবে। তারপর আর্কাইভে প্রবেশ করে হয়তো অবাক হয়ে যাবেন। কারণ, ফেসবুক আপনার সম্পর্কে এমন সব তথ্য সংরক্ষণ করে রেখেছে যেগুলোর  কোনোটি হয়ত নিজেও ভুলে গেছেন।

ফেসবুকে আপনার পোস্ট করা ছবি, স্ট্যাটাস, ভিডিও, চ্যাট হিস্টোরিসহ অন্যের পোস্টে দেয়া লাইক, কমেন্টস এবং শেয়ার- এই সকল তথ্য যাচাই করে ফেসবুক আপনাকে বিজ্ঞাপনের জন্য টার্গেট বানায়। ধরুন আপনি চকলেট ভালোবাসেন, এই সম্পর্কে আপনি একটি স্ট্যাটাস দিলেন।এরপর থেকে আপনার ফেসবুক নিউজ ফিডে প্রায়ই চকলেটের বিজ্ঞাপন চলে আসবে।

ফেসবুকের মাধ্যমে ক্রেডিট কার্ড দিয়ে কোনো কিছু পারচেজ করলে আপনার ক্রেডিট কার্ডের তথ্যও চলে যায় ফেসবুকের কাছে। যারা আপনাকে ফলো করেন এবং আপনি যাদের ফলো করেন তাদের সকল তথ্য জমা থাকে ফেসবুকে।

সবচেয়ে ভয়াবহ তথ্যটি ফাঁস হলো সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা কেলেঙ্কারিতে। ফেসবুক থেকে কোনো থার্ড পার্টি ওয়েবসাইটের গেমস কিংবা অ্যাপস ব্যবহার করলে, আপনার তথ্য শুধু ফেসবুকই নয়, ওই থার্ড পার্টি ওয়েবসাইটগুলোর কাছেও চলে যেতে পারে।

বিবিসির প্রযুক্তি সাংবাদিক ররি সেলান জোনস বলেন, ‘২০০৭ সালে ফেসবুক আইডি চালুর পর কী হয়েছিল আমার মনে নেই। কিন্তু ফেসবুক এসব তথ্য ঠিকই সংরক্ষণ করে রেখেছে। শুধু তা-ই নয়, গত কয়েক সপ্তাহে আমি যেসব ফোন নম্বর মোবাইলে সেভ করেছি, তার প্রতিটি ফেসবুকে সংরক্ষিত আছে। তার মানে, ফোনের ডাটাবেসে আমি যে তথ্যই দিচ্ছি তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফেসবুকে সেভ হয়ে যাচ্ছে।’

ফেসবুক শুধু এভাবেই তথ্য সংরক্ষণ করে না। অনেক ফেসবুক ব্যবহারকারী বলছেন, অ্যান্ড্রয়েড ফোনের মাধ্যমে করা সব টেক্সট মেসেজও ফেসবুক সংরক্ষণ করে থাকে। এছাড়া, ফেসবুকে অনেক মজার অ্যাপসহ অন্যান্য অ্যাপ ব্যবহারের মাধ্যমেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিগত তথ্য আয়ত্তের বাইরে চলে যায়। যা ফেসবুক সংরক্ষণ করে এবং এগুলো অপব্যবহারের আশঙ্কা থেকে যায়। সূত্র: বিবিসি

ফেসবুক কেলেঙ্কারির আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ