শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ।। ১৪ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৯ রমজান ১৪৪৫


স্বাধীনতা যেন ব্যর্থ না হয়: শেখ হাসিনা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবদুল্লাহ তামিম: বাংলাদেশের স্বাধীনতা যেন ব্যর্থ না হয় সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “এই স্বাধীনতা লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে। এই স্বাধীনতা কোনো দিন যেন ব্যর্থ হতে না পারে। আর যারা এই স্বাধীনতাকে ব্যর্থ করতে চায়, তারা যেন কোনো দিন এদেশের ক্ষমতায় আসতে না পারে।

“এই দেশ জঙ্গিদের হবে না, এই দেশ স্বাধীনতাবিরোধীদের হবে না, এ দেশ যুদ্ধাপরাধীদের হবে না, এ দেশ হবে মুক্তিযোদ্ধাদের আদর্শের দেশ।”

কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিকালে এই আলোচনায় শেখ হাসিনা বলেন, “স্বাধীনতার সুফল বাংলার মানুষের ঘরে ঘরে আমরা পৌঁছে দেব।”
জনগণের কল্যাণে রাজনীতিবিদদের কাজ করার তাগিদ দিয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, “অর্থ সম্পদ চির দিন থাকে না। অর্থ সম্পদ কেউ কবরে নিয়েও যেতে পারে না।

“মানুষ সম্পদের জন্য মারামারি কাটাকাটি করে, মরে গেলে সবই পড়ে থাকে, ফেলে রেখেই কবরে যেতে হয়।”

শেখ হাসিনা বলেন, “মানুষের জন্য কাজ করে যাওয়া, একজন রাজনীতিবিদের সেটাই কর্তব্য।”

নিজেদের নয়, ‘জনগণকে সম্পদশালী’ করাই তার সরকারের লক্ষ্য মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, “জনগণ সম্পদশালী হোক, জনগণের জীবন উন্নত হোক, জনগণ সুন্দর জীবন পাক, বাংলাদেশের একটা মানুষও গৃহহারা থাকবে না, একটা মানুষও না খেয়ে কষ্ট পাবে না, একটা মানুষও বিনা চিকিৎসায় মারা যাবে না-আমরা সেটাই করতে চাই।”

তিনি বলেন, “রাজনীতিবিদ হিসাবে মানুষকে কতটুকু দিয়ে যেতে পারলাম, মানুষের জন্য কতটুকু করতে পারলাম, আমার অ্যাকাউন্টে সেইটুকুই হচ্ছে জমা।”
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পর আরও স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পরিকল্পনার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, “আমরা এখন স্যাটেলাইটও উৎক্ষেপণ করতে যাচ্ছি। বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পর এর ১৫ বছর মেয়াদ থাকে। কাজেই পাঁচ বছরের মধ্যে আবার নতুন করে শুরু করতে হয়, এজন্য আমরা বঙ্গবন্ধু-২ করব, তারপর ৩ করব; এভাবে পরিকল্পনা আমাদের ভবিষ্যতের জন্য নেওয়া আছে।”

শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এই আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, গণপূর্ত মন্ত্রী মোশাররফ হোসেন ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হারুন-অর-রশীদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন সাদেকা হালিম, আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃনাল কান্তি দাস প্রমুখ বক্তব্য দেন।


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ