শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৬ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১০ শাওয়াল ১৪৪৫


নেপালে বিমান বিধ্বস্ত; বাঁচল না শাহীনও

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম : অবশেষে চলেই গেলেন শাহীন ব্যাপারী। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে আজ সোমবার বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। দুপুর থেকেই ‘লাইফ সাপোর্টে’ ছিলেন শাহীন।

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের বার্ন ইউনিটের চিকিৎসক হোসাইন ইমাম গণমাধ্যমকে শাহীন ব্যাপারীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

চিকিৎসক হোসাইন ইমাম আরও জানান, সকালে শাহীন ব্যাপারীর অবস্থার অবনতি ঘটলে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। বিকেল ৪ টা ৪০ মিনিটে তিনি মারা যান। তিনি বলেন, অগ্নিদগ্ধ রোগীর শরীরে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।

শাহীন ব্যাপারীর গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং থানায়। আট বছর বয়সী এক কন্যাসন্তানের এই জনক স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করতেন নারায়ণগঞ্জে। তিনি সদরঘাটে একটি কাপড়ের দোকানে ব্যবস্থাপক পদে কর্মরত ছিলেন।

উল্লেখ্য,গত ১২ মার্চ ঢাকা থেকে রওনা দেওয়া ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয়। বিমানে থাকা ৬৭ যাত্রীসহ ৭১ জন আরোহীর মধ্যে ৪৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে বাংলাদেশি ২৬ জন। আহত ১০ বাংলাদেশির মধ্যে প্রথম দেশে নিয়ে আসা হয় শাহরিনকে।

দুর্ঘটনার পরের বৃহস্পতিবার তাকে ভর্তি করা হয় ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে। মেহেদী হাসান সুমন, সৈয়দা কামরুন নাহার স্বর্ণা ও আলমুন নাহার এ্যানিকে দেশে আনা হয় শুক্রবার। পরে শনিবার শেখ রাশেদ রুবায়েত এবং রবিবার কবির হোসেন ও শাহীন ব্যাপারীকে দেশে নিয়ে আসা হয়েছিল।

নেপালে বিধ্বস্ত ইউএস-বাংলা কর্তৃপক্ষ ক্ষতিপূরণ পাবে ৫৮ কোটি টাকা


সম্পর্কিত খবর