বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১২ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫


ইতিহাস পাল্টে দেয়া রজব মাসের পাঁচটি ঘটনা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ইসলামী বর্ষপঞ্জির পবিত্র মাসগুলোর মধ্যে রজব মাস অন্যতম। এ মাসের পরেই শা’বান এবং তারপরেই রমজান।

আল্লাহতা’আলা বলেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহর বিধান ও গণনায় মাস ১২টি, আসমানসমূহ ও পৃথিবী সৃষ্টির দিন থেকে। তন্মধ্যে চারটি সম্মানিত। এটিই সুপ্রতিষ্ঠিত বিধান। সুতরাং এর মধ্যে তোমরা নিজেদের প্রতি অত্যাচার কর না।’ (সুরা তাওবাহ-৩৬)

রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন রজবের চাঁদ দেখতেন, তখন থেকে তিনি দুআ করতেন, ‘হে আল্লাহ, আমাদের জন্য রজব ও শা’বান মাসকে বরকতময় করুন এবং আমাদের রামাযান পর্যন্ত পৌঁছে দিন।’ অর্থাৎ আমাদের হায়াতকে রামাযান পর্যন্ত বাড়িয়ে দিন যেন আমরা রামাযানের ফজিলত, রহমত, বরকত ও নাজাত লাভ করতে পারি।

আল্লাহ সুবহানাহু তা’আলা চলমান রজব মাসকে আমাদের জন্য বরকতময় করে তুলুন।

রজব মাসে ইসলামের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি ঘটনা সংঘটিত হয়। নিম্নে তা তুলে দেওয়া হলো-

১. ইসরা ও মিরাজ

নব্যুয়াতের ১১তম বছরে রজব মাসের ২৭ তারিখ রাসুলুল্লাহ (সা.) বিশিষ্ট ফেরেশতা হযরত জিবরাইলের (আ.) সঙ্গে ইসরা ও মিরাজের সফরে বের হন। তিনি প্রথমে মক্কার মসজিদুল হারাম থেকে জেরুজালেমের মসজিদুল আকসায় গমন করেন। সেখান থেকে তিনি মিরাজে আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাতের উদ্দেশে ঊর্ধ্বগমন করেন।

২. পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ

মিরাজের রাত্রিতেই আল্লাহতা’আলার সাথে সাক্ষাতে আল্লাহ রাসূলুল্লাহকে (সা.) পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের বিধান দান করেন।

৩. তাবুক যুদ্ধ

সদ্য প্রতিষ্ঠিত ইসলামী রাষ্ট্রকে ধ্বংসের জন্য বাইজান্তাইন (রোমান) সেনাবাহিনীর মদীনা আক্রমণের সংবাদ পেয়ে রাসূলুল্লাহ (সা.) রজব মাসেই রোমান বাহিনীকে প্রতিরোধের জন্য তাবুকে গিয়ে যুদ্ধ করার আহবান জানান। খ্রিস্টীয় ৬৩০ সনের অক্টোবরে এবং হিজরি ৯ সনে রাসূলুল্লাহ (সা.) রোমান বাহিনীকে মোকাবেলার জন্য তাবুক অভিযানে বের হন।

৪. মাসজিদুল আকসা পুনরুদ্ধার

হিজরি ৫৮৩ সনের রজব মাস মোতাবেক খ্রিস্টীয় ১১৮৭ সনের অক্টোবরে সুলতান সালাহউদ্দীন আইয়ুবী খ্রিস্টান ক্রুসেডারদের হাত থেকে জেরুজালেম ও মুসলমানদের প্রথম কেবলা মাসজিদুল আকসা পুনরুদ্ধার করেন। ১০৯৯ সনে ক্রুসেডারদের হাতে জেরুজালেম পতনের দীর্ঘ ৮৮ বছর পর মাসজিদুল আকসা পুনরায় মুসলমানদের হাতে আসে।

৫. খিলাফতের অবসান

হিজরি ১৩৪২ সনের ২৮ রজব, খ্রিস্টীয় ১৯২৪ সনের ৩ মার্চ তুরস্কে উসমানী খেলাফতের পতনের মাধ্যমে সম্পূর্ণরূপে খিলাফতের অবসান ঘটে। নতুন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট মোস্তফা কামাল আতার্তুক শেষ খলিফা দ্বিতীয় আবদুল মজিদকে পদচ্যুত করার মাধ্যমে খেলাফতের অবসান ঘটান।

(এবাউট ইসলাম’র প্রবন্ধ পরিবর্তন ডটকমের হয়ে ভাষান্তর করেছেন মুহাম্মাদ ফয়জুল্লাহ)


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ