শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৬ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১০ শাওয়াল ১৪৪৫


চরমোনাই মাহফিলে দেয়া বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন মুফতি মিযানুর রহমান সাঈদ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

কাউসার লাবীব: সম্প্রতি চরমোনাইয়ের মাহফিলে দেয়া একটি বক্তব্যের জন্য সমালোচিত হয়েছেন মারাকাযুশ শাইখ জাকারিয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক ও বাংলাদেশের খ্যতিমান আলেমে দীন মুফতি মিযানুর রহমান সাঈদ

তার এ বক্তব্য নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। একদল ছিল পক্ষে আর অপর দল ছিল তার বিপক্ষে। তাদের মধ্যে চলে বাকবিতণ্ডা ও স্নায়ু যুদ্ধ। কিন্তু যিনি এ বক্তব্যটি দিয়েছেন, তার পক্ষ থেকে এতোদিন সুনির্দিষ্ট কোনো বক্তব্য আসেনি।

গতকাল ঢাকার মারকাযুত তাকওয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারে আয়োজিত এক ওলামা সম্মেলনে বিশ্লেষণমূলক দীর্ঘ বক্তব্য পেশ করেন।

তিনি বলেন, সম্প্রতি চরমোনাইয়ে আমার  দেয়া একটি বক্তব্য যাদের আঘাত করেছে তারা তো সমালোচনা করেছেনই, তাদের সঙ্গে যাদের আমরা আপন ভাবি তারাও পিছিয়ে ছিল না। বুঝে না বুঝে সথেচ্ছা আমার সমালোচনা করেছে।

আমি এগুলোর কোনো জবাব দিইনি। আল্লাহর কাছে বলেছি, আল্লাহ তুমি সত্য প্রকাশ করে দাও। মানুষকে সত্য বোঝার তাওফিক দাও। আলহামদুলিল্লাহ, আমার কোনো জবাব দিতে হয়নি, আমার পক্ষ থেকে শতশত ওলামা মাশায়েখ এর জবাব দিয়েছেন।

মুফতি মিযানুর রহমান সাঈদ বলেন, আসলে কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা সমালোচনা হওয়া ভালো, তবে তা হতে হবে গঠনমূলক। গঠনমূলক সমালোচনাকে আমি  স্বাগত জানাই।

আমার বয়ানটি অনেকে বুঝতে পারেনি। আবার অনেকে বুঝলেও আমাদের আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের আকিদা বিষয়ে সঠিক জ্ঞান না থাকায় সমালোচনায় পা দিয়েছেন।

মূলত আমরা যদি বিষয়টিকে গভীরভাবে দেখতাম, তাহলে নিজেরাও বিভ্রান্ত হতাম না ও অন্যদেরও বিভ্রান্ত করতাম না।

আলোচনায় তিনি বলেন, কোনো ব্যক্তি ভিন্নধর্ম থেকে ইসলামে দীক্ষিত হতে হলে কিছু মৌলিক আকিদাকে ধারণ করতে হয়। আমাদের আকাবির কুরআন সুন্নাহ থেকে সে আকিদাগুলোর নির্যাস বের করে একটি কালিমা তৈরি করেছেন যা ছোট্টবেলায় মুসলমান সন্তানদের শেখানো হয়, তা হলো

امنت بالله وملئكته وكتبه ورسله واليوم الاخر والقدر خيره وشره من الله تعالى والبعث بعد الموت

অর্থ- আমি ঈমান আনলাম আল্লাহ তা'আলার ওপর, তাঁর ফেরেশতারগণের ওপর, তাঁর কিতাবসমূহের ওপর, ঈমান আনলাম তাঁর রাসূলগণের ওপর। ঈমান আনলাম আখিরাতের ওপর, তাকদিরের ওপর, মৃত্যুর পর পুনরায় জীবিত হওয়ার ওপর।

যে বা যারা এ কালিমার ওপর বিশ্বাস স্থাপন করবে তারা মুসলামান। তারা কাফের নয়। তবে এগুলো হলো মুসলমান হওয়ার জন্য মৌলিক আকিদা। এ মৌলিক আকিদার ব্যাখ্যায় অনেকে বিভ্রান্তি ছড়ায়।

আলেম উলামা ও তাবলীগের মুরব্বিদের অসংখ্য বয়ানের অ্যাপ, ইনস্টল করুন আপনার মোবাইলে

যেমন কেউ আল্লাহর ওপর ঈমান আনতে গিয়ে বলেন, আল্লাহর হাত, পা আছে, কান আছে। তিনি আসমানেই আছেন আর কোথাও নেই। তিনি অপরাধের শক্তি রাখেন না ইত্যাদি।

অথচ আল্লাহ পাক তার নিজের সম্পর্কে বলেন ,  لَيْسَ كَمِثْلِهِ شَيْءٌ  ‘কোনো কিছুই তাঁর অনুরূপ নয়’। অথচ তারা মেছাল তৈরি করে আল্লাহকে সৃষ্টির সঙ্গে তুলনা করছে।

এভাবে যারা মৌলিক আকিদা পোষণের ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে সাহাবা, তাবেয়ি ও আকাবিরদের দেখানো পথ থেকে ছিটকে পড়ে তারা জান্নাতি নয় তারা জাহান্নামি। তারা নবী সা. এর ঘোষণাকৃত ৭২ দলের একদল। তবে তারা চিরস্থায়ী জাহান্নামী নয়। নির্দিষ্ট সময় আজাব ভোগ করে জান্নাতে প্রবেশ করবে।

নবী করিম সা. বলেন আমার উম্মতের মাঝে কেয়ামতের দিন ৭৩ দল হবে একদল জান্নাতে যাবে বাকি ৭২ দল জাহান্নামে-

‘হযরত আবদুল্লাহ বিন আমর রা. থেকে বর্ণিত। রাসূল সা. ইরশাদ করেছেন- আমার উম্মত তা’ই করবে যা করেছে বনী ইসরাইলের লোকেরা। এক জুতা অপর জুতার সমান হওয়ার মত।

এমনকি যদি ওদের মাঝে কেউ মায়ের সাথে প্রকাশ্যে জিনা করে থাকে, তাহলে এই উম্মতের মাঝেও এরকম ব্যক্তি হবে যে এ কাজটি করবে। আর নিশ্চয় বনী ইসরাঈল ছিল ৭২ দলে বিভক্ত। আর আমার উম্মত হবে ৭৩ দলে বিভক্ত। এসব দলই হবে জাহান্নামী একটি দল ছাড়া।

সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞেস করলেন- সেই দলটি কারা? নবীজি সা. বলেন, যারা আমার ও আমার সাহাবাদের মত ও পথ অনুসরণ করবে।’ [সুনানে তিরমিযী:২৬৪১, আল মু’জামুল কাবীর:৭৬৫৯, আল মু’জামুল আওসাত:-৪৮৮৯, কানযুল উম্মাল ফি সুনানিল আকওয়াল ওয়াল আফআল:১০৬০]

মুফতি মিযানুর রহমান সাঈদ বলেন, এখানে যে ৭২ দলকে জাহান্নামের বাসিন্দা বলা হয়েছে তারা মৌলিক আকিদায় বিশ্বাসী মুসলমান। তারা কাদিয়ানি নয়, কট্টরপন্থী শিয়া নয়। তারা ইহুদি নয়। তারা খ্রিস্টান নয়। তারা বিভ্রান্ত ও পথভ্রষ্ট মুসলমান। তারা মিলাদ কেয়ামের নামে ফেতনাবাজ, তারা হাদিসের নাম করে ফেতনা বাঁধায়।

এদের মধ্যে জাকির নায়েকও রয়েছেন। এর কারণ বর্ণনায় করতে গিয়ে যদি জাকির নায়েককে ভণ্ড ও ভ্রান্ত তা বলতে যাই তাহলে আলোচনায় আসে তার কুরআন নিয়ে অপব্যাখ্যার কথা।

আল্লাহ তায়ালা বলেন, يا أخت هارون [সুরা মারইয়াম: ২৮] এখানে أخت শব্দের অর্থ ইতোপূর্বের সব মুফাসসির বলেন, ‘বোন’ এবং আরবি সব অভিধানেও তা-ই লেখা। আর এ বিষয়ে মুসলিম, তিরমিযি, নাসায়ি শরিফেও একটি হাদিস রয়েছে।

যেখানে উল্লেখ আছে, নাজরান গোত্রর এক খ্রিস্টান হযরত মুগিরা ইবনে শো‘বা রা.কে প্রশ্ন করেছিল- ‘হারুন আ. তো হযরত মরিয়ম আ. এর অনেক আগেই ‍দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছে। তাহলে মরিয়ম আ. হারুনের বোন হয় কীভাবে?

তখন মুগিরা রা. নবী করিম সা.কে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, এ হারুন নবী হারুন নয়। হযরত মরিয়ম আ. এর একজন আত্মীয় সম্পর্ক ভাই ছিল, যিনি সে যুগের অত্যন্ত বুযুর্গ লোক ছিলেন। তাকেই সম্মোধন করে এখানে ‘يا أخت هارون’ বলা হয়েছে।

বর্তমান খ্রিস্টানরা বিষয়টি জানার পরও জাকির নায়েককে বিভ্রান্ত করার জন্য তাকে নাজরান গোত্রের সেই প্রশ্নটি করে। তারা তাকে বলে, ‘১০০০ বছর ব্যবধান হারুন আ. কীভাবে মরিয়াম আ. এর ভাই হয়?

এর জবাবে জাকির নায়েক মুগিরা রা. এর মতো বিচক্ষণতার পরিচয় দেননি। তিনি মনগড়া এক উত্তর দিয়েছেন। হাদিস ঘেঁটে দেখার প্রয়োজন মনে করেননি। তিনি বলেন, এখানে أخت শব্দের অর্থ বংশ হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে।

যেমন- "ابن" শব্দের অর্থ ছেলে বা সন্তান হওয়া সত্তেও  বাইবেলে একে বংশ অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে। [দ্র. ডা. জাকির নায়েক লেকচার সমগ্র ভলিয়াম ১ পৃ. ২৪৮,প্রকাশ: পিস পাবলিকেশন্স] অথচ এ বিষয়ে স্পষ্ট হাদিস রয়েছে। তাফসির গ্রন্থগুলোতেও দীর্ঘ আলোচনা রয়েছে এ বিষযে।

গতকালের আলোচনায় তিনি বলেন, وَالْأَرْضَ بَعْدَ ذَلِكَ دَحَاهَا  ‘পৃথিবীকে এর পরে বিস্তৃত করেছেন’।[সুরা নাজিয়াত : ৩০]

এ আয়াতে উল্লিখিত ﺩﺣﺎ  শব্দের অর্থ অভিধানসমূহে লেখা হয়েছে : ﺑﺴﻂ،ﻭﺳﻊ،ﻣﺪ তিনি বিস্তৃত করেছেন, বিছিয়েছেন, প্রলম্বিত করেছেন। [লিসানুল আরব : ২২৭ পৃষ্ঠা, আল ক্বামুসুল মুহীত: ৩৩২ পৃষ্ঠা, লুগাতুল কুরআন: ২৭৬ পৃষ্ঠা]

আর ﻫﺎ হচ্ছে ﺿﻤﻴﺮ ﻣﻨﺼﻮﺏ ﻣﺘﺼﻞ বা যুক্ত কর্মবাচক সর্বনাম। অর্থ ‘তাকে’। সব মিলিয়ে دَحَاهَا শব্দটির অর্থ প্রসঙ্গে প্রখ্যাত আরবি বিশারদ আল্লামা আবু হাইয়ান রহ. বলেন, ” ﺩﺣﺎﻫﺎ “ ﺑﺴﻄﻬﺎ ﻭﻣﻬﺪﻫﺎ ﻟﻠﺴﻜﻨﻲ ﻭﺍﻻﺳﺘﻘﺮﺍﺭ ﻋﻠﻴﻬﺎ ‘আল্লাহ তায়ালা পৃথিবীকে বসবাস ও অবস্থানের জন্য বিস্তৃত করেছেন এবং বিছিয়েছেন। [আজওয়াউল বায়ান: ৩য় খণ্ডের ৪২২ পৃষ্ঠা।

وَالْأَرْضَ بَعْدَ ذَلِكَ دَحَاهَا তাফসীর প্রসঙ্গে বিখ্যাত মুফাসসীর ইমাম আবুল ফিদা ইসমাঈল ইবনে উমর কাসীর রহ. বলেন, ﺗﻔﺴﻴﺮﻩ ﻣﺎ ﺑﻌﺪﻩ : ﺍﺧﺮﺝ ﻣﻨﻬﺎ ﻣﺎ ﺀﻫﺎ ﻭﻣﺮﻋﻬﺎ ﻭﺍﻟﺠﺒﺎﻝ ﺍﺭﺳﻬﺎ ’ ‘এ আয়াতের তাফসীর হচ্ছে পরবর্তি আয়াতদ্বয়: তিনি এর মধ্য থেকে নির্গত করেছেন তার পানি ও তার চারনস্থল এবং পাহাড়কে দৃঢ়ভাবে স্থাপন করেছেন।[তাফসির ইবনে কাসির, ৮ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ৩১৬]

وَالْأَرْضَ بَعْدَ ذَلِكَ دَحَاهَا ব্যাখ্যা করে রঈসূল মুফাসসীরিন হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. বলেন,
আল্লাহ পৃথিবীকে বিস্তৃত করেছেন এর ব্যাখ্যা হলো, তিনি জমিনকে পানি ও চারণক্ষেত্র নির্গম করেছেন এবং সেখানে নদী-নালা তৈরি করেছেন আর সেখানে পাহাড়সমূহ, উপত্যকাসমূহ, রাস্তাঘাট এবং তরি তরকারি ও ফল-ফলাদি সৃষ্টি করেছেন।[ তাফসির ইবনে কাসির,৮ম খণ্ড, ৩১৫ পৃষ্ঠা]

এবং তাফসিরে তাবারি,১৪ খণ্ড, ২০৮ পৃষ্ঠা, তাফসিরে বাগাবি, ৮ম খণ্ড, ৩২৯পৃষ্ঠা, তাফসিরে কাবির, ৮ম খণ্ড, ৪১৮ পৃষ্ঠা, তাফসিরে ঈযাহুল কুরআন, ৯ম খণ্ড, ৪২৪ পৃষ্ঠাতেও একই কথা বলা হয়েছে।

এভাবে হাদীস ও তাফসিরে (ﺩﺣﺎﻫﺎ ) দাহাহা শব্দের অর্থ "আল্লাহ পৃথিবীকে বিস্তৃতি করেছেন" করা হয়েছে। কোথাও "উটপাখির ডিম" করা হয়নি।

অথচ জাকির নায়েককে যখন প্রশ্ন করা হয়- ‘বিজ্ঞান বলে পৃথিবী বৃত্তাকার, কিন্তু কুরআন বলে পৃথিবী বিছানো। এর উত্তরে আপনি কী বলবেন? তখন তিনি বলেন, وَالْأَرْضَ بَعْدَ ذَلِكَ دَحَاهَا আয়াতে পৃথিবীকে دَحَاهَا বলে উট পাখির ডিমের আকৃতির বলা হয়েছে।

এভাবেই জাকির নায়েক কুরআনের অসংখ্য আয়াতের মনগড়া অপব্যাখ্যা করেছেন।

এখন আমরা যদি দেখি কুরআনের এ মনগড়া ব্যাখ্যাকারীদের বিষয়ে হাদিস কী বলে? তাহলে দেখতে পাব, নবী করিম সা. মনগড়া এ ব্যাখ্যার বিষয়ে বলেন,   ﻭﻣﻦ ﻗﺎﻝ ﻓﻲ ﺍﻟﻘﺮﺁﻥ ﺑﺮﺃﻳﻪ ﻓﻠﻴﺘﺒﻮﺃ ﻣﻘﻌﺪﻩ ﻣﻦ ﺍﻟﻨﺎﺭ ‘যে ব্যক্তি স্বীয় যুক্তি দিয়ে কুরআনের তাফসির করে সে তার আবাস জাহান্নামকে বানিয়ে নিল।’ [সুনানে তিরমিযি: ২৯৫১]

নবী করিম সা. আরো বলেন, ﻣﻦ ﻗﺎﻝ ﻓﻲ ﺍﻟﻘﺮﺁﻥ ﺑﺮﺃﻳﻪ ﻓﺄﺻﺎﺏ ﻓﻘﺪ ﺃﺧﻄﺄ ‘যে ব্যক্তি কুরআনের তাফসির কেবল নিজের জ্ঞান দিয়ে করে, সে ঘটনাচক্রে সঠিক বললেও তাকে ভুলকারী সাব্যস্ত করা হব। [সুনানে তিরমিযি: ২৯৫২]

জাকির নায়েকের মতো অপব্যাখ্যাকারীদের বিষয়ে আমার নবী বলেছেন জাহান্নামী। আমি বলিনি। আমি শুধু আমার নবী করিম সা.  এর কথা বয়ানে উল্লেখ করেছি। তবে সময় সল্পতার কারণে হয়তো আমি সেখানে বিস্তারিত বলতে পারিনি।

তার মানে তো এ দাঁড়ায় না, এটা নিয়ে কাঁদা ছোড়াছুড়ি করতে হবে। তারা আমাকে জিজ্ঞেস করতে পারতো। আমার কাছে এ  বিষয়ে জানতে চাইতে পারতো।

আমি সেখানে সরাসরিও জাকির নায়েককে জাহান্নামি বলিনি। আমি বলেছিলাম, যারা ভ্রান্ত, যারা গোমরাহ, যারা ইসলামে বিভ্রান্ত ছড়ায় আল্লাহ তাদের সবাইকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন। যেমন, জাকির নায়েক, আহলে হাদিস, মাজার পূজারী, মিলাদ কেয়ামকারী।

আমার নবী তাদের জাহান্নামী বলেছেন, আমি সে কথার উদ্ধৃতি দিয়ে তাদের অবস্থানটার  কথা মানুষের মাঝে স্পষ্ট করেছি। তবে তারা স্থায়ী জাহান্নামী নয়। নির্দিষ্ট  একটা সময় আজাব ভোগ করে জান্নাতে প্রবেশ করবে। কেননা তারা মৌলিক আকিদায় বিশ্বাসী ৭২ দলের অন্তর্ভূ্ক্ত। তারা আহলে সুন্নত ওয়াল জামাত নয়।

সবশেষে তিনি বলেন, আমাকে নিয়ে যারা সমালোচনা, মিথ্যাচার করেছেন, আমি তাদের ক্ষমা করে দিয়েছি। তবে মনে রাখবেন, মুখ দিয়ে যা বলেন সবকিছুর জবাব কিন্তু আল্লাহর কাছে দিতে হবে। তাই যা বলবেন চিন্তা ভাবনা করে বলবেন। সঠিক কথা বলবেন।

মৃত্যুর পর সুখে থাকতে সন্তানকে দীনি শিক্ষায় শিক্ষিত করুন: আল্লামা আবদুল কুদ্দুস

আরআর


সম্পর্কিত খবর