শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ।। ১৫ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৯ রমজান ১৪৪৫


রজব মাসে যে আমলগুলো রাসুল সা. এর প্রিয়

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবদুল্লাহ তামিম:  আল্লাহ তায়ালা বান্দাদের জন্য পুরস্কার হিসেবে কিছু মাস দিয়েছেন বা দিন দিয়েছেন যে দিনগুলোতে ইবাদত করলে আল্লাহ তায়ালা ইবাদতের সওয়াব বৃদ্ধি করে দেন।

তার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ  মাস রজব। 'রজব' হলো আল্লাহ তায়ালার বিশেষ অনুগ্রহের মাস। রজব মাস বান্দার গুনাহ মাফের মাস। রজব মাসের সঙ্গে ইসলামের অতীত ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য জড়িয়ে আছে।

হজরত রাসূল সা. রজব মাসে আকাশ পানে মেরাজে গমন করেছিলেন। হজরত নূহ (আ.) মহাপ্লাবনের আশঙ্কায় রজব মাসেই কিস্তিতে আরোহণ করেছিলেন।

হজরত রাসূলের সা. কাছে রজব মাসেই প্রথম ওহি আসে। এ ছাড়া রজব হলো জান্নাতের তলদেশ প্রবাহিত একটি নদীর নাম। এ নদীর পানি দুধের মতো ধবধবে সাদা এবং মধুর চেয়েও মিষ্টি।

যারা রজব মাসে নফল রোজা রাখবে আল্লাহতায়ালা আখেরাতে ওইসব রোজাদারকে রজব নদীর পানি দ্বারা আপ্যায়ন করবেন। সুমিষ্ট রজব নদীর পানি বরফের চেয়ে শীতল। যারা একবার রজব নদীর পানি পান করবে, তাদের আর কোনোদিন পানির পিপাসা লাগবে না।

রজব মাস শুরু হলেই প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই দু‘আ খুব বেশী করে পড়তেনঃ

اَللّٰهُمَّ بَارِكْ لَناَ فِيْ رَجَبَ وَشَعْبانَ وَبَلّغْنَا رَمَضَانْ

(আল্লাহুম্মা বারিকলানা ফী রজাবা ওয়া শা’বান ওয়া বাল্লিগনা রমাযান)

অর্থ: “হে আল্লাহ পাক আপনি আমাদেরকে রজব ও শাবান মাসে বরকত দান করুন এবং রমযান শরীফ পর্যন্ত পৌঁছে দেন।” (তাবরানী)

মহানবী স. বলেছেন : ‘রজব মাস হচ্ছে আমার উম্মতের ইস্তিগফার তথা ক্ষমা প্রার্থনার মাস। অতএব, এ মাসে অত্যধিক ক্ষমা প্রার্থনা কর, কেননা মহান আল্লাহ্ ক্ষমাশীল ও অত্যন্ত দয়ালু। রজব মাসকে ((أصل)) বলা হয়, কারণ এ মাসে আমার উম্মতের উপর আল্লাহর অত্যধিক রহমত বর্ষিত হয়, অতএব, ((أَسْتَغْفِرُ اللهَ وَ أَسْأَلُهُ التَّوْبَةَ)) (আস্তাগফিরুল্লাহা ওয়া আসআলুহুত তাওবাহ) –এ যিকরটি অত্যধিক পড়।

উলামায়ে কেরাম বলেছেন, আশহুরে হুরুমের বা সম্মানিত মাসসমূহের বৈশিষ্ট্য হলো— এসব মাসে ইবাদতের প্রতি যত্নবান হলে বাকি মাসগুলোতে ইবাদতের তাওফিক হয় বেশি বেশি। আশহুরে হুরুমে কষ্ট করে গোনাহ থেকে বিরত থাকতে পারলে অন্যান্য মাসেও গোনাহ পরিহার করা সহজ হয়। (আহকামুল কুরআন, জাসসাস: ৩/১১১)

আমরা জানি, রাসুল সা.এর জীবনের উল্লেখযোগ্য মু‘জিজা হলো— মিরাজের ঘটনা।

মহানবী সা. এ রাতে আল্লাহর দরবারে গিয়েছিলেন। আল্লাহ তা‘আলা তাকে নিজের সাক্ষাৎ দিয়ে ধন্য এবং নামাজের হুকুম দিয়ে এ উম্মাতকে সম্মানিত করেছেন।

শবে মিরাজের মূল উপহার পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ। যা মুসলমানদের আদায় করা ফরয। রজব মাসের শুরুতে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে— যারা নামাজে অনিয়মিত তারা নামাজে নিয়মিত হবেন।

মনে রাখবেন, বিশেষ মর্যাদার এ মাসে যে কোনো ধরনের গোনাহ থেকে বেশি সতর্কতা ও দূরত্ব বজায় রাখাই কাম্য।


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ