সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ ।। ৮ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৩ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
নারী সংস্কার কমিশনের বিরুদ্ধে জোরালো হচ্ছে ইসলামপন্থীদের প্রতিবাদ রাজধানীসহ ১৪ অঞ্চলে সকাল সকাল বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে ক্ষোভ, প্রতিবাদ জানালেন শায়খ আহমাদুল্লাহ বিবাহ একটি ইবাদত, এর পবিত্রতা রক্ষা করা জরুরি নারী অধিকার কমিশনের সুপারিশে আলেম প্রজন্ম-২৪-এর আপত্তি  জুলাই-আগস্টের ত্যাগের পরও কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ পাইনি: মির্জা ফখরুল নারীবিষয়ক সুপারিশগুলো কোরআন-হাদিসের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন: জামায়াত আমির ‘১৬ বছরের জঞ্জাল দূর না করে নির্বাচন দিলে সমস্যা সমাধান হবে না’  প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা সরকারি নিবন্ধন পেল সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘কলরব’

বিধ্বস্ত বিমানে ছিলেন সিলেটের রাগীব রাবেয়া মেডিকেলের ১৩ শিক্ষার্থী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: নেপালে বিধ্বস্ত হওয়া ইউএস বাংলার বিমানে যাত্রী ছিলেন সিলেটের জালালাবাদ রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১৩ শিক্ষার্থী।

তারা হলেন- সঞ্জয় পৌডেল, সঞ্জয়া মহারজন, নেগা মহারজন, অঞ্জলি শ্রেষ্ঠ, পূর্ণিমা লোহানি, শ্রেতা থাপা, মিলি মহারজন, শর্মা শ্রেষ্ঠ, আলজিরা বারাল, চুরু বারাল, শামিরা বেনজারখার, আশ্রা শখিয়া ও প্রিঞ্চি ধনি।

জানা গেছে, তারা সবাই নেপালি বংশোদ্ভূত। কলেজের ছুটিতে নিজেদের দেশে বেড়াতে গিয়েছিলেন তারা। রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজের নেপালি শিক্ষার্থী উশমা মাইনালি তার ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে জানিয়েছেন।
মেডিকেল কলেজের একটি সূত্রে জানা গেছে, এদের মধ্যে একজন নিহত ও ছয়জন আহত হওয়ার খবর পেয়েছেন তারা। বাকিদের এখনো কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

আজ সোমবার বিমানটি বিধ্বস্ত হয়ে অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছে। বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বিভিন্ন তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে। স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য সান জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় ৬০ জন নিহত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে দ্য এক্সপ্রেসের খবরে নিহতের সংখ্যা ৩৮ জন উল্লেখ করা হয়েছে।

আজ সোমবার নেপালের স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ২০ মিনিটে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ওই বিমান দুর্ঘটনা ঘটে। এসটু-এইউজি মডেলের ৭৮ সিটের ওই বিমানটি ঢাকা থেকে কাঠমান্ডুর উদ্দেশে রওয়ানা দেয়। দুর্ঘটনার পর উদ্ধারকাজে ঘটনাস্থলে ছুটে যান ফায়ার সার্ভিস কর্মী ও সেনা সদস্যরা। এখন পর্যন্ত বিধ্বস্ত বিমানের উদ্ধারকাজ চলছে।

ইউএস-বাংলার পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিমানটিতে ৬৭ জন যাত্রী ও চারজন বিমানকর্মী ছিল। যাত্রীদের মধ্যে ৪০ জন বাংলাদেশ, ২০ জন নেপাল ও সাতজন অন্যান্য দেশের নাগরিক ছিল। নেপালের বেসরকারি বিমানচলাচল কর্তৃপক্ষের প্রধান সঞ্জীব গৌতম জানান, বিমানটি রানওয়েতে অবতরণের সময় নিয়ন্ত্রণ হারায়।

ধারণা করা হচ্ছে সেটিতে কোনো যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল। তবে বিমানটি বিধ্বস্তের প্রকৃত কারণ উদঘাটনের কারণ জানার চেষ্টা চলছে।


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ