বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ ।। ১৪ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৮ রমজান ১৪৪৫


জৈন্তাপুরে মুজাম্মিল হত্যা; বিচার নেই, উল্টো দৌড়ের উপর আলেমরা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আতাউর রহমান খসরু
চিফ রিপোর্টার

সিলেট জৈন্তাপুরের স্থানীয় প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে মাদরাসা ছাত্র মুজাম্মিলের হত্যাকারীদের রক্ষার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।

প্রশাসন কওমি মাদরাসার উলামায়ে কেরামকে অপরাধীদের উপযুক্ত বিচারের আশ্বাস দিলেও অপরাধীদের বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো ভূমিকায় রাখছেন না বলে দাবি করেছেন স্থানীয় উলামায়ে কেরাম।

উল্টো উলামায়ে কেরামের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। দায়ের করা মামলায় কোনো আলেমকে এখনো গ্রেফতার না করলেও বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন তারা।

আলেমদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় হরিপুর মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা হেলাল আহমদসহ নেতৃস্থানীয় আলেমদের আসামী করা হয়েছে।

জৈন্তাপুর মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা কবির আহমদ চতুলী আওয়ার ইসলামকে বলেন, ‘প্রভাবশালী লোকজন ও প্রশাসন কেউ কেউ উলামায়ে কেরামের পক্ষে বলে প্রচার করলেও পরোক্ষভাবে তাদের রক্ষা করার চেষ্টা করছে। তারা গোপনে তাদের সঙ্গে বৈঠকও করছে বলে আমরা জানতে পারছি।’

উলামায়ে কেরাম মনে করছেন, প্রতিপক্ষের একাধিক আসামী সরকার দলীয় রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকায় প্রশাসন তাদের রক্ষা করার চেষ্টা করছে।

অভিযোগ উঠেছে, আলেমদের পক্ষ থেকে দায়ের করা মামলার এজহারভূক্ত একাধিক আসামী প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদের খুঁজে পাচ্ছে না।

এ মামলায় সন্দেহভাজন আসামী হিসেবে ৫২জনের নামভূক্ত করা হয়েছে।

তবে সরকার দলীয় একাধিক নেতা সত্যের পক্ষে কাজ করছেন বলেও জানিয়েছেন হরিপুর মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা হেলাল আহমদ।

তিনি আওয়ার ইসলামকে বলেন, স্থানীয় জনসাধারণ ও সরকার দলীয় একাধিক নেতা হকের পক্ষে কাজ করছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল্লাহ ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ।

আপনার সন্তানকে ভর্তি করুন ঢাকা আইডিয়াল মাদরাসায়

এছাড়াও স্থানীয় সব কওমি মাদরাসা, ইসলামি দলগুলোর স্থানীয় নেতাকর্মীরা এবং দীনদার সাধারণ মানুষ একযোগে করছে বলে তিনি জানান।

তিনি আরও জানান ইসলামি দলগুলোর জাতীয় পর্যায়ের নেতারাও তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন।

উলামায়ে কেরামের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘দুটি মামলার একটি এখলাস চেয়ারম্যানের ছেলে বাদী হয়ে করেছেন এবং অপরটি স্থানীয় একজন মহিলা।

এতে আমাকেও আসামী করা হয়েছে। আমরা মিথ্যা মামলা দুটোর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলেও পুলিশ কেনো তা গ্রহণ করলো আমরা বুঝছি না।’

মামলা প্রত্যাহার বা আপোষের কোনো প্রস্তাব পেয়েছেন কি না? উত্তরে মাওলানা হেলাল বলেন, ‘এখনও কেউ প্রস্তাব নিয়ে আসে নি। এমন একটা কথা আমার কানে আসছে।’

https://www.facebook.com/newsourislam/videos/2036912713191259/

আসছে পবিত্র মাহে রমজান সংখ্যা

মাওলানা মুজাম্মিলের হত্যাকারীদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত উলামায়ে কেরাম কোনো শক্তির সঙ্গে আপোষ করা হবে না। তাদের আন্দোলন নিয়মিত চলবে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

মাওলানা হেলাল এ সময় জাতীয় পর্যায়ের ইসলামি নেতৃবৃন্দের কাছ থেকে সহযোগিতা কামনা করেন।

তিনি মনে করেন, জাতীয় পর্যায় থেকে কর্মসূচি আসলে দাবি আদায় করা সহজ হবে।

উল্লেখ্য, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সিলেটের জাফলং থানার জৈন্তাপুরে এক মাহফিলে আটরশি পীরভক্ত এক বক্তার ভুল বয়ানের প্রতিবাদ করলে পরিকল্পিতভাবে আলেমদের উপর হামলা চালানো হয়। এ সময় তাদের হামলায় নিহত হয় হরিপুর মাদরাসা ছাত্র মুজাম্মিল।

এছাড়াও হরিপুর মাদরাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস মুফতি আবদুস সালামসহ আহত হন অর্ধ-শতাধিক মাদরাসা শিক্ষার্থী।

আরও পড়ুন: ‘শিক্ষার্থীদের কাছে স্মার্টফোন থাকা অনুচিত: দেওবন্দের শায়খ কমরুদ্দীন

আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ