সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ ।। ৮ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৩ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে ক্ষোভ, প্রতিবাদ জানালেন শায়খ আহমাদুল্লাহ বিবাহ একটি ইবাদত, এর পবিত্রতা রক্ষা করা জরুরি নারী অধিকার কমিশনের সুপারিশে আলেম প্রজন্ম-২৪-এর আপত্তি  জুলাই-আগস্টের ত্যাগের পরও কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ পাইনি: মির্জা ফখরুল নারীবিষয়ক সুপারিশগুলো কোরআন-হাদিসের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন: জামায়াত আমির ‘১৬ বছরের জঞ্জাল দূর না করে নির্বাচন দিলে সমস্যা সমাধান হবে না’  প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা সরকারি নিবন্ধন পেল সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘কলরব’ ‘সিরাহ মিউজিয়াম’ চালু করছেন মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী মহাসমাবেশ সফল করতে যেসব কর্মসূচি নিয়েছে হেফাজত

২৪ মার্চের মহাসমাবেশে নির্বাচনি বার্তা দেবেন এরশাদ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ (ফাইল ছবি)জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ আগামী ২৪ মার্চ ঢাকায় অনুষ্ঠেয় মহাসমাবেশ থেকে নির্বাচনি বার্তা দেবেন।

দলীয় নেতাকর্মী ও দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে আগামী নির্বাচন নিয়ে দলের অবস্থান পরিষ্কার করবেন তিনি। দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে এতথ্য জানা গেছে।

মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে নানা প্রস্তুতি শুরু করেছে জাতীয় পার্টি। ঢাকার এই সমাবেশে কয়েক লাখ লোক জড়ো করতে সারাদেশে ছুটে বেড়াচ্ছেন দলটির নেতারা। এ দলের দায়িত্বশীল একাধিক নেতা বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, অন্তত তিন লাখ লোকের সমাগম করে রাজনীতিতে আওয়াজ দিতে চাচ্ছেন এরশাদ। আর তার মনোবাসনা পূর্ণ করতে উঠেপড়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন জাপার সিনিয়র নেতারা।

জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি এসএম ফয়সল চিশতী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘অন্তত পাঁচ লাখ নেতাকর্মী জড়ো করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি আমরা। সমাবেশে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দেবেন পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।’

ফয়সল চিশতী জানান, মহাসমাবেশকে সফল করতে কেন্দ্রীয় নেতারা সারাদেশে ছুটে বেড়াচ্ছেন। গত শুক্রবার চট্টগ্রামে সমাবেশ হয়েছে। সামনে ময়মনসিংহ বিভাগের সমাবেশ বাকি আছে। সব নেতাকর্মীকে ঢাকামুখী করতেই এই প্রচেষ্টা ও কর্মসূচি।

তবে মহাসমাবেশে কী ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য থাকতে পারে, এমন প্রশ্নে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হু্সেইন মুহম্মদ এরশাদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মহাসমাবেশে যেকোনও মেসেজই দিতে পারি।’
এদিকে, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে অন্তত বিশ-পঁচিশ জনকে মৌখিকভাবে প্রার্থী হওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছেন এরশাদ।

পার্টির নেতারা জানান, যে আসনগুলোতে দলের প্রার্থী দুর্বল বা যেখানে প্রার্থী নেই, সেসব স্থানে প্রার্থী নির্ধারণ করা হয়েছে প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য। গত প্রায় চার মাস আগে থেকেই নির্বাচনের জন্য প্রার্থী নির্ধারণ প্রক্রিয়া শুরু করেন এরশাদ।

আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রাথমিক চিন্তা করছে জাপা। এক্ষেত্রে ঠিক কতটি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে, তা ঠিক হবে আরও পরে। বিশেষ করে নির্বাচনে বিএনপির অংশ নেওয়া বা না নেওয়ার ওপরে বিষয়টি নির্ভর করবে যে, মোট কতগুলো আসনে প্রার্থী দেবে জাপা।

জাপার কো-চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আগামী নির্বাচনের প্রক্রিয়া এখনও অনির্ধারিত। অনেক কিছুই ঘটতে পারে এই সময়ে। কিন্তু আমাদের চেয়ারম্যান ৩০০ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মানসিক প্রস্তুতি নিয়েছেন। আগামী দিনগুলো অনাকাঙ্ক্ষিত, ফলে চূড়ান্তভাবে কী হবে, তা বলা মুশকিল।’


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ