শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৬ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

শিরোনাম :
শিক্ষক ও বাবুর্চি নিয়োগ দেবে রাজধানীর আল্লামা শামসুল হক রহ.মাদরাসা উপজেলা নির্বাচনে যাচ্ছে কি ইসলামি দলগুলো? পাঠ্যপুস্তকের ওপর নির্ভরশীল হয়ে স্মার্ট জেনারেশন সৃষ্টি সম্ভব নয়: শিক্ষামন্ত্রী বিচ্ছিন্নভাবে দে‌শের স্বার্থ অর্জন করার সুযোগ নেই : সেনা প্রধান স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন সংসদে পাশ করব : স্বাস্থ্যমন্ত্রী যাত্রাবাড়ীতে দুই বাসের মাঝে পড়ে ট্রাফিক কনস্টেবল আহত আ.লীগের মন্ত্রী-এমপির আত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচনে নিষেধাজ্ঞা; অমান্য করলে ব্যবস্থা ফকিহুল মিল্লাত রহ. এর পরামর্শ -‘ফারেগিন কার সঙ্গে পরামর্শ করবে’ ঢাকায় চালু হলো চীনা ভিসা সেন্টার ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য পদ দেওয়া নিয়ে ভোট শুক্রবার

তালাক বিলের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

রুসমিনা খাতুন: অন্যান্য দিনের মতো আজকেও ইউনিভার্সিটি গিয়েছিলাম। দেখলাম বান্ধবীরা একসাথে বসে ক্লাসের ভিতর আলোচনা করছে আর বলছে- আজকে আমরা ক্লাস করবো না। চলো আমরা সবাই একত্রে আজ কলকাতার রাজপথে কেন্দ্র সরকারের নিয়ে আসা তিনতালাক বিরোধী বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করি।

এক বান্ধবী তার মাঝে বলে উঠলো, অবশ্যই আমরা প্রতিবাদ করবো কারণ শরীয়াহ দিয়েছে আমাদের পূর্ণ জীবন ব্যবস্থা পদ্ধতি। আমরা শুধুমাত্র শরিয়াহ মেনেই চলবো, মানবোনা কোনো মনগড়া আইন।

আর এক বান্ধবী বলে উঠলো কেনই বা প্রতিবাদ করবনা, সরকার তো ত্রুটিপূর্ণ বিল নিয়ে এসেছে যাতে আমরা মুসলিম নারীরাই ক্ষতিগ্রস্ত হয় সুতরাং আমাদের ক্ষতিপূরণ কি কেন্দ্র সরকার বহন করবে?

তাছাড়াও, আমরাতো সুখী আছি শরীয়ত মেনে তাহলে কেন আমাদের শরীয়তের প্রতি হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে? আর কেনই বা মুসলিম মহিলাদেরকে জিজ্ঞাসা করা ছাড়াই এই আইন আনা হচ্ছে?

তাহলে কি বলতে পারিনা যে সরকার মুসলিম স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ব্যবধান সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে।’

তারপর আমরা সমবেতভাবে কলকাতা মুসলিম ইনস্টিটিউট হলের সামনে বিভিন্ন জেলা থেকে আসা মুসলিম মহিলাদের মাঝে লাইন করে দাঁড়িয়ে পড়লাম এবং চললাম রানী রাসমণি রোডের দিকে। উপচে পড়া ভিড় দেখে নিজেরই মনে হলো আমরা তো সবাই শরীয়তের টানেই এখানে এসেছি। যা আমাদের প্রাণের চেয়েও প্রিয়।

তারপর চলতে চলতে লক্ষ্য পড়লো এক বৃদ্ধ জ্ঞানী মহিলার দিকে তিনিও হয়ত কোথা থেকে ছুটে এসেছেন। বাচ্ছা মেয়েগুলি কত শালীনতার সঙ্গে হিজাব পরিহিত অবস্থায় আমাদের সাথে হাঁটছে।

ছয় থেকে সাত হাজার মহিলাদের মধ্যে প্রায় সকলেই হিজাব করেছেন। মায়ের বয়সী মহিলারা যেন তাদের রান্নার কাজ ফেলে ছুটে এসেছেন। ছোট ছোট বোনেরা সব কেউ মাদ্রাসা বা মিশন থেকে ছুটে এসেছে, কেউ কেউ কলেজ বা ইউনিভার্সিটি থেকে।

আজকের রোদে পুড়ে দগ্ধ হয়ে সকলে হাতে বোর্ড নিয়ে হাঁটছেন এবং প্রত্যেকেই এই বিলের বিরুদ্ধে, এবং তারা চাইছে এই ত্রুটিপূর্ণ শরীয়ত বিরোধী বিল ফিরিয়ে নিতে।

তারপর রানী রাসমণি রোডে এসে দাঁড়াতেই দেখা হলো চেনা শোনা বান্ধবী সালমার সাথে। সালমা বললো, ‘আমিও এই বিলের বিরুদ্ধে কারণ শরীয়ত আমাদের কোনো ক্ষতি করেনি তাহলে অন্যের বানানো আইনে কেন আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া মেনে নেব?

সূত্র: টিডিএন বাংলা, কোলকাতা


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ