সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ ।। ৭ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৩ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে ক্ষোভ, প্রতিবাদ জানালেন শায়খ আহমাদুল্লাহ বিবাহ একটি ইবাদত, এর পবিত্রতা রক্ষা করা জরুরি নারী অধিকার কমিশনের সুপারিশে আলেম প্রজন্ম-২৪-এর আপত্তি  জুলাই-আগস্টের ত্যাগের পরও কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ পাইনি: মির্জা ফখরুল নারীবিষয়ক সুপারিশগুলো কোরআন-হাদিসের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন: জামায়াত আমির ‘১৬ বছরের জঞ্জাল দূর না করে নির্বাচন দিলে সমস্যা সমাধান হবে না’  প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা সরকারি নিবন্ধন পেল সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘কলরব’ ‘সিরাহ মিউজিয়াম’ চালু করছেন মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী মহাসমাবেশ সফল করতে যেসব কর্মসূচি নিয়েছে হেফাজত

নকল সাপ্লাইকারী শিক্ষকদের ফায়ারিং স্কোয়াডে দেয়া উচিত : রাষ্ট্রপতি (ভিডিও)

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: আজ মঙ্গলবার বিকেলে ওসমানী মিলনায়তনে সেরা প্রাথমিক স্কুলের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মুহাম্মাদ আবদুল হামিদ বলেছেন, যেসব শিক্ষক নকল সাপ্লাই দেন তাদের ফায়ারিং স্কোয়াডে দেয়া উচিত ।

রাষ্ট্রপতি বলেন, শিক্ষক ও অভিভাবক তাদের ছেলে-মেয়েদের নকল সাপ্লাই দেন। এর চেয়ে লজ্জার আর কিছু হতে পারে না। তাই পরীক্ষা পদ্ধতি পরিবর্তন জরুরি। রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, নৈতিকতা বিবর্জিত শিক্ষা দেশের কোনো কাজেই আসবে না। তাই যেসব শিক্ষক নকল সাপ্লাই দিয়ে পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের পাস করাচ্ছেন তাদের ফায়ারিং স্কোয়াড দেয়া উচিত।

শিশুরা মোমের মতো উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, শিশুদের যা শিখানো হবে তারা তাই শিখবে। তাই নকল রোধে শিক্ষক ও বাবা-মাকেই সচেতন হতে হবে। সব বাবা-মা'ই চায়, তার সন্তান ফার্স্ট-সেকেন্ড হোক, গোল্ডেন এ প্লাস পাক। কিন্তু যখন শোনা যায় যে বাবা-মা'ই ছেলেকে নকল সরবরাহ করছে- তা কী করে সম্ভব। এর চেয়ে লজ্জাজনক জঘন্য কাজ আর কি হতে পারে? এই বাপ আর মা তার ছেলে-মেয়েকে কী শিখাইতেছে? ভবিষ্যতে তারে দিয়া কী হবে? দেশের কী হবে?

তিনি বলেন, যেসব শিক্ষক ছেলে মেয়েদের শিখাইবো, তারা নিজেরাই... তার মার্কেট ভালা করার জন্য, প্রাইভেট পড়াইবার মার্কেট ভালা করার জন্য সে যদি প্রশ্ন কইয়া দেয়- ‘এই প্রশ্ন আইতাছে লেখ’… মার্কেট ভালো হবে, বেশি বেশি (শিক্ষার্থী) পড়তে আইব, এসব চিন্তা থেকে তারা এইগুলি করতেছে।

আবদুল হামিদ সেই সময়ের সঙ্গে আজকের পরিস্থিতির তুলনা করে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহের অনুষ্ঠানে আরও বলেন, ‘আমাদের তো বাপ-মা খবরই নিছে না। আমিতো খুব খারাপ ছাত্র আছিলাম। আমার মতো খারাপ ছাত্র যদি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হইতে পারে, তাহলে অত ভালা ছাত্র হওয়ার দরকারটা কী?

এর আগে লিখিত বক্তৃতায় তিনি বলেন, কোমলমতি শিক্ষার্থীরা যাতে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারে এবং যে কোনো অন্যায় ও নীতি বিবর্জিত কর্মকাণ্ড থেকে দূরে থাকে, সে লক্ষ্যে শিক্ষক অভিভাবকদের উদ্যোগী হতে হবে।

মনে রাখবেন, একজন শিক্ষার্থীর শিক্ষার মূল ভিত্তি রচিত হয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। তাই প্রতিটি শিক্ষার্থী যাতে শক্ত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়ে শিক্ষাজীবন শুরু করতে পারে, তা নিশ্চিত করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। আর তা করতে পারলেই পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন ও প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা শেষ হয়ে আসবে।

শিক্ষকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারাই আপনাদের নীতি ও আদর্শ দিয়ে দেশের প্রতিটি শিশুকে দেশ গড়ার কারিগর হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন। শিশুদের মাঝে নেতৃত্ব সৃষ্টি করতে পারেন। সমাজের কোন কাজটি ভালো এবং কোন কাজটি মন্দ, কোন কাজটি করলে দেশ ও জাতির উন্নয়ন ঘটবে- সে সম্পর্কে ধারণা প্রদানের পাশাপাশি ভাল কাজের চর্চা করাতে পারেন।এ জন্য আপনাদের উদ্যোগী ও নিবেদিত হতে হবে।


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ