শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৭ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১১ শাওয়াল ১৪৪৫


এবার সীমান্তে সক্ষমতা বাড়াচ্ছে বাংলাদেশ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: বাংলাদেশ-মিয়ানমারের ২০৮ কিলোমিটার সীমান্তের মধ্যে ৫২ কিলোমিটারই নাফ নদী। ১৬ কিলোমিটার উখিয়া। সীমান্তের বাকি অংশ বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির উপজেলার সঙ্গে। যার দৈর্ঘ্য ১৫০ কিলোমিটারেরও বেশি। এর মধ্যে সবচেয়ে বিরোধপূর্ণ সীমান্ত হচ্ছে ঘুমঘুম ও তমব্রু সীমান্ত।

খুব কাছে হওয়ায় এখানকার সীমান্ত এলাকায় প্রায়ই অংশ নিচ্ছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। এর বাইরে তমব্রু সীমান্তের নো ম্যান্স ল্যান্ডে অবস্থান নিয়ে আছে সাড়ে ছয় হাজার রোহিঙ্গা। এ অবস্থায় চরম আতঙ্কে দিন কাটছে স্থানীয় বাসিন্ধাদের।

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ৩ নম্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, 'আমাদের একদম কাছে, পায়ে হেটে যাওয়া যায়। কোন প্রকার যানবাহনের প্রয়োজনের হয় না। এর ফলে এখানকার বেশি আতঙ্কিত হচ্ছেন'

গত বৃহস্পতিবার থেকে দফায় দফায় ফাঁকা গুলি বর্ষণ। মাইকিং করে রোহিঙ্গাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ এবং সৈন্য সমাবেশের মত উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে মিয়ানমার সেনাবাহিনীরা। এর প্রেক্ষিতে মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে প্রতিরোধের পাশাপাশি পর্যবেক্ষণের জন্য তমব্রু সীমান্তে আরও বিজিবি সক্ষমতা বাড়ানো দরকার বলে মত দেন এই নিরাপত্তা বিশ্লেষক।

লে.কর্নেল (অব) ফোরকান আহমদে বলেন, 'সীমান্তে বিভিন্ন পোস্ট বৃদ্ধি করা উচিত। যাতায়াতের ব্যবস্থা করা উচিত। এছাড়াও এখানে কোন প্রকার সমস্যা হলেই যেন দ্রুতই ব্যবস্থা নেয়া যায় সেই ব্যবস্থা নিতে হবে।'

এদিকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে প্রতিরোধের পাশাপাশি পর্যবেক্ষণে সক্ষমতা বাড়াতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বিশেষ করে সীমান্তে সাম্প্রতিক উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে বান্দরবানের তমব্রু এবং ঘুমধুম সীমান্তে বিজিবির পক্ষ থেকে অতিরিক্ত শক্তি সঞ্চারের সঙ্গে নেওয়া হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা।

সীমান্তের খুব কাছেই লাগানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। রাতে বিজিবি সদস্যদের টহলের সুবিধার্থে স্থাপন করা হয়েছে সোলার লাইট।

মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে পর্যবেক্ষণের জন্য তমব্রু সীমান্তে ইতোমধ্যে বেশক’টি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। স্থাপন করা হয়েছে সীমান্ত বাতি। সক্ষমতা বাড়াতে আরো বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া কথা জানিয়েছে বিজিবির ৩৪ ব্যাটালিয়ন।

এ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মঞ্জুরুল হাসান খান বলেন, আমরা সিসিটিভির সহযোগিতা নিচ্ছি। সেই সঙ্গে আমাদের আরো কিছু সিস্টেম আছে, সেগুলো কাজে লাগাচ্ছি। এ ছাড়া আমাদের ইন্টেলিজেন্সি কিছু কার্যক্রম আছে; সেগুলো আমরা নিজেরা করে থাকি।

৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লে.কর্নেল মঞ্জুরুল আহসান খান বলেন, 'আমরা সিসিটিভির সহযোগিতা নিচ্ছি। সেই সঙ্গে আমাদের আরও কিছু সিস্টেম আছে, সেই সহযোগিতাও নিচ্ছি। এছাড়াও আমাদের ইন্টিলিজেন্সি কিছু কার্যক্রম আছে, সেইগুলো আমরা নিজেরা করে থাকি।'

 

এইচজে


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ