বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪ ।। ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১ জিলকদ ১৪৪৫


ভিজিটিং কার্ডে লেখা, মাওলানা আমিরুদ্দিন অবিকল কুয়াকাটা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

সাইমুম সাদী: ভিজিটিং কার্ডে লেখা, মাওলানা আমিরুদ্দিন অবিকল কুয়াকাটা।

আমি বললাম, আমি যদি সংক্ষেপে আপনাকে অবিকল কুয়াকাটা বলে সম্বোধন করি তাহলে কি বেজার হবেন।

তিনি বললেন আমাকে আমিরুদ্দিন বলেই ডাকবেন, সমস্যা নাই। অবিকল কুয়াকাটা মানে কুয়াকাটা হুজুরের মত ওয়াজ করতে পারি, এজন্যই ওটা লিখি।

বললাম, রিয়েলি কুয়াকাটার ছিদ্দিকী সাহেবের মত ওয়াজ করতে পারেন?

ভদ্রলোক আমাকে আর কোনরূপ কথা বলার সুযোগ না দিয়েই কানে হাত দিয়ে শুরু করলেন ওয়াজ...

আমরা বসা ছিলাম যশোর এয়ারপোর্টের বহির্গমন লাউঞ্চে। আমিরুদ্দিন হুজুরের অবিকল কুয়াকাটার সুরেলা কণ্ঠস্বরের কারণে সবার চোখ গিয়ে পড়ল তার দিকে। লজ্জায় চোখ নামিয়ে ফেললাম নিচের দিকে।

অবিকল কুয়াকাটা বললেন, আমার ওয়াজ কি আপনার মনোপুত হইছে? হইলে দাওয়াত দিবেন, কার্ডে ফোন নাম্বার আছে।

আমি বললাম, আপনি আল্লাহর পাঠানো এক অদ্বিতীয় সত্তা। আপনার পরে ঠিক আপনার মত কেউ আসবে না দুনিয়াতে। আপনার ভেতরের সফটওয়্যার আল্লাহ নিজে তৈরি করেছেন যত্ন করে।

হুজুর বললেন, আপনি আজীব মানুষ তো? কি সুন্দর করে কথা বলছেন।

বললাম, আপনি ইউনিক, অনন্য। কারো সুর কারো স্টাইল ফলো করার দরকার নাই। নিজে নিজের মত ওয়াজ করেন। সফল হবেন। আপনি অত:পর আর কখনো এই পৃথিবীতে আসবেন না। কথাটা মনে রাইখেন।

ইউএস বাংলা প্লেইন ততক্ষণে চলে এসেছে। হুজুর বললেন, তাহলে আমার নাম কি হলে ভাল হবে বলে মনে করেন?

বললাম, আপনার বাড়ির পাশে কুয়াকাটার মত কোন সাগর বা নদী কি আছে?

বললেন, সাগর নেই। নদী আছে। নদীর নাম তিস্তা।

বললাম, আপনার নাম হতে পারে এমন- মাওলানা আমিরুদ্দিন তিস্তা। চলবে?

হুজুর নাম চেঞ্জ করে নিলেন। বললেন, এখন থেকে নাম হবে বিশিষ্ট ওয়ায়েজ মাওলানা আমিরুদ্দীন তিস্তা।

মাওলানা আমিরুদ্দীন তিস্তা হাসিমুখে চলে গেলেন বিমানের দিকে। আমি তাকিয়ে রইলাম তার দিকে বিস্মিত নয়নে।

অগ্রিম টাকা নিয়েও মাহফিলে না যাওয়ার জবাব দিলেন হাফিজুর রহমান সিদ্দিকী (ভিডিও)


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ