শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ।। ১৫ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৯ রমজান ১৪৪৫


কওমী মাদরাসার মেধাবীরা একদিন দেশের নেতৃত্ব দেবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: কওমী মাদরাসার মেধাবীরা একদিন দেশের নেতৃত্ব দেবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলহাজ আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এমপি।

স্বরামন্ত্রী বলেন, মেধাবী মানুষ গড়ার সেই কাজটি আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ করছেন। যে মেধাবীদের আজকে পুরস্কৃত করা হচ্ছে তারাই আমাদের দেশের নেতৃত্ব দেবে।

তাবলীগের মতবিরোধ নিয়ে বলতে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, টঙ্গীতে লক্ষ লক্ষ মানুষ সেখানে উপস্থিত হন। সেখানে বিরোধ তৈরি করা হলো। কারা করে এসব? আমরা দিনের পর দিন মিটিং করে এর আগেও সমাধান করার চেষ্টা করেছি।

তাবলীগ জামাতকে বাংলাদেশের গর্বের বিষয় উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাবলীগ জামাতের কাফেলা পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আমাদের দেশে আসছে। দ্বীনের কাজ তারা আঞ্জাম দিচ্ছে। সব কিছুর উদাহরণ আজ হয়ে গেছে বাংলাদেশ।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাবলীগ জামাত ও আলেম উলামাকে সঠিক পথে থেকে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনাদের একপথে চলতে হবে। একমতে চলতে হবে। তাহলেই যে ইসলাম আমরা ধারণ করি সে ইসলামকে আমরা জয়ী করতে পারবো। ইসলামকে শান্তির ধর্ম হিসেবে বিশ্বে বিবেচিত করতে পারবো।

শনিবার বিকালে রাজধানীর খিলগাঁও জামিআ ইকরা বাংলাদেশ মিলনায়তনে জাতীয় দ্বীনী মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড তথা জাতীয় বেফাক আয়োজিত প্রতিনিধি সম্মেনে প্রধান অতিথির আলোচনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

সভাপতির আলোচনায় জাতীয় দীনি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের সভাপতি আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ বলেন, বেফাকুল মাদারিস ছাড়া বাকি পাঁচ বোর্ডের সঙ্গে সংখ্যালঘুর আচরণ করা হচ্ছে। আমাদের এই পাঁচ বোর্ডকে আইনত শক্তিশালী করা উচিত।

পাঁচ বোর্ডের সদস্যরা এখানে আছে উল্লেখ করে আল্লামা মাসঊদ বলেন, আমাদের এখানে মেধার চাষ হচ্ছে। হায়াতুল উলইয়্যার কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় সর্বপ্রথম স্থান অধিকার করেছে আমাদের বোর্ডের শিক্ষার্থী।

আমরা পুরস্কার হিসেবে হজের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। আল্লাহ তাআলা আমাদের তাওফিক দিন।

হায়্যাতুল উলইয়্যা থেকে কোনো পুরস্কার ব্যবস্থা না করায় নেতৃবৃন্দের সমালোচনাও করেন তিনি। বলেন, কী কারণে যে এখনো এরকম পুরস্কারের ব্যবস্থা করা হয়নি তা জানি না। মেধাবীকে মূল্যায়ন করা উচিত।

কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষার সচিব মোঃ আলমগীর বলেন, কওমী মাদরাসা শিক্ষা সনদের স্বীকৃতি এখনো একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।

এ ছাড়াও মাওলানা হুসাইনুল বান্না উপস্থাপনায় বক্তব্য দেন, ড. আওলাদ হোসেন, মাওলানা আবু তাহের নদভী, মুফতি এনামুল হক, মুফতি মুহাম্মদ আলী, মাওলানা শামসুল হুদা খান, মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ, মুফতি আবদুল কাইয়ুম খান, মাওলানা হোসাইন আহমদ, মুফতি তাজুল ইসলাম কাসেমী, মাওলানা ইমদাদুল্লাহ কাসেমী, মাওলানা মুমতাজুল করীম, মাওলানা আইয়ুব আনসারী, মাওলানা শওকত আলী, মাওলানা মুজাফ্ফর হোসাইন, মাওলানা হিফজুর রহমান, মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাইফী, মাওলানা মুসলেহউদ্দীন, মুফতি আবুল কাসেম, মাওলানা আবদুল বাতেন, মুফতি আবদুর রহীম, মাওলানা আবদুর রহীম কাসেমী, মাওলানা আবদুল জলিল, মাওলানা আরীফ উদ্দীন মারুফ, মুফতি জসীম উদ্দীন, কারী শামসুল হক প্রমুখ।

সিরিয়া নিয়ে জর্ডান বাদশাহর কাছে দিল্লির খতিবের প্রশ্ন


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ