বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১২ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫


৩০ নারীকে ধর্ষণ ১৫ জনকে খুন! অতঃপর.....?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: ‘সাইকো শঙ্কর’ নামেই পরিচিত। নিজের কুকর্মের জেরেই এভাবে পরিচিত হয়েছেন তিনি। এমনকি তার কুকর্ম নিয়ে ‘সাইকো শঙ্কর’ নামে চলচ্চিত্রও নির্মিত হয়েছে।

‘সাইকো শঙ্কর’র আসল নাম জয়শঙ্কর। একের পরে এক ধর্ষণ করেছেন সারা জীবনে। ৩০ জনকে ধর্ষণ ও ১৫ জনকে খুনের অভিযোগ রয়েছে ৩৮ বছর বয়সি শঙ্করের বিরুদ্ধে।

বন্দী অবস্থায় বেঙ্গালুরুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার হেফাজতে ছিলো। ভয়ঙ্কর এই সিরিয়াল কিলার বুধবার আত্মহত্যা করেছেন।

অভিযোগ রয়েছে সাইকো সিরিয়াল কিলার জয়শঙ্কর নারীদের প্রথমে ধর্ষণ ও পরে খুন করতো । পুলিশের একজন কনস্টেবলকেও একই ভাবে হত্যা করে জয়শঙ্কর।

এর পরেই ২০০৯ সালের ১৯ অক্টোবর তাকে গ্রেফতার করে ত্রিপুরা পুলিশ। কিন্তু তাকে আটকে রাখা যায়নি। ২০১১ সালে পুলিশের ইউনিফর্ম জোগাড় করে কৌশলে পুলিশ সেজে জেল থেকে পালিয়ে যায় ভয়ঙ্কর এই খুনি।

ওই ঘটনার জেরে কারাগারে দায়িত্বে থাকা ১১ পুলিশ কর্মীকে বহিষ্কারও করা হয় তখন। তার ঘটনা নিয়ে ২০১৭ সালে ‘সাইকো শঙ্কর’ নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ হয়।

ভয়ঙ্কর এই খুনি নিজের ভাষা ছাড়াও কয়েকটি ভাষায় কথা বলতে পারতেন। দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন বলেও জানা গেছে।

জেল পালানোর পরেও শঙ্করের কুকর্ম থামেনি। একের পরে এক ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ উঠতে থাকে শঙ্করের নামে। এক পুরুষ ও এক শিশুকে হত্যারও অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে।

তবে বেশি দিন জেলের বাইরে থাকা হয়নি তার। ২০১১ সালেরই ৪ মে তাকে পুনরায় আটক করা হয়।

২০১১ সালের পর থেকে কারাগারেই ছিলো জয়শঙ্কর। সব শেষে মুক্তি বা জেল পালাতে না পেরে ব্লেড দিয়ে হাত কেটে আত্মহত্যা করেছে এই সিরিয়াল কিলার।

পুলিশ বলছে, জয়শঙ্কর জেলে চুল-দাড়ি কাটতে আসা কর্মীর কাছ থেকে ব্লেড সংগ্রহ করে করে। পরে ব্লেড দিয়ে নিজের হাত কেটে আত্মহত্যা করে।

রক্তাক্ত অবস্থায় প্রথমে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু বুধবার হাসপাতালে যাওয়ার পথেেই তার মৃত্যু হয়। সুত্র: ভারতীয় দৈনিক।

এসএস/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ