শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ।। ১৫ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৯ রমজান ১৪৪৫


প্রাচীন কুরআনের পান্ডুলিপি আর কিতাবের এক বিস্ময়কর জাদুঘর

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবদুল্লাহ তামিম

আলো আঁধারিতে ফুটে আছে ইতিহাস খুঁড়ে তুলে আনা সব রত্ন। মহাসাগরের শত শত বছরের কল্লোল যেনো ঘুমিয়ে আছে সারি সারি কাঁচের শোকেসে।

নানা রীতির আরবী আর ফারসিতে লেখা কোরআন শরীফ, দোয়ার বই, হজ গাইড আর পবিত্র স্থানের বিবরণ সম্বলিত নকশাখচিত পুস্তকগুলো যেনো তাবৎ বিশ্বের মুসলিম ঐতিহ্যকে বেঁধে নিয়েছে মাত্র একটি ঘরের মধ্যেই।

আরো রাখা হয়েছে হযরত মুহম্মদ (সা.) এর বংশ লতিকা আর মদিনায় তার মসজিদের নকশা। তিন তিনটে অবুঝ শিশু কি বুঝছে কে জানে, ঘুরে ঘুরে দেখছে সব শোকেস। তাদের সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন মালয় মা। সবচেয়ে ছোট শিশুটা তো মক্তব প্রদর্শনীর সামনে বসেই পড়লো রীতিমতো। যেনো প্রতীকী মক্তব্যে সে সদ্য যোগ দেওয়া মনোযোগী শিক্ষার্থী।

১৪৪৮ সালে লেখা ধর্মীয় পবিত্র স্থানের বিবরণ সম্বলিত কিতাব। ছবি: জাকারিয়া মন্ডল

১৪৪৮ সালে লেখা ধর্মীয় পবিত্র স্থানের বিবরণ সম্বলিত কিতাব।

মালয়েশিয়ার এই ইসলামিক আর্ট মিউজিয়ামকে কেনো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সর্ববৃহৎ ইসলামী জাদুঘর বলা হয় তা বুঝতে অসুবিধা হয় না গ্যালারিতে ঢুকে।

৪ তলা ভবনটিতে প্রাচীন কোরআন আর পাণ্ডুলিপির গ্যালারি নীচতলায় রিসিপশনের পাশেই।

এখানে ১৪৪৮ সালে মক্কাহ, মদিনা ও আল কুদস শহরের পবিত্র স্থানের নকশাখচিত বিবরণ লেখা কিতাব আনা হয়েছে আল কুদস থেকে। ১৫৩৩ সালে ইরানের মুহুই আল দিন লারি’র লেখা হজের গাইড বই আনা হয়েছে সাফাভিড থেকে।

সৌদি আরব থেকে আনা হয়েছে ১৬০৫ খ্রিস্টাব্দে সৈয়দ মোহাম্মদ বিন সৈয়দ তালিবের লেখা মদিনার ইতিহাস।হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর বংশ লতিকা।

মরক্কোতে ১৬ শতকে হাতে লেখা দালাইল আল খয়রাত। ছবি: জাকারিয়া মন্ডল
তবে কোরআন শরীফের মধ্যে মরক্কো থেকে পাওয়া ১৬ শতকের হস্তলিখিত কোরআনটিই এই মিউজিয়ামের সবচেয়ে পুরনো দালাইল আল খয়রাত কালেকশন।

এ গ্রন্থের পাতায় পাতায় খিলানাকার নকশা। আরো আছে ১৫৯৫ সালে উজবেকিস্তানে, ১৭০৭ সালে মরক্কোতে, ১৭৩৫ তুরস্কে, ১৭৩৬ সালে ইন্দোনেশিয়ার জাভায় লিখিত নকশাকাটা কোরআন।

আরো পড়ুন 

একজন ইমাম গাজালি; জ্ঞান চর্চাই ছিল যার জীবনের টার্নিং পয়েন্ট

 

সূত্র: নিউজ টুয়েন্টি ফোর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ