শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ।। ১৫ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৯ রমজান ১৪৪৫


জৈন্তাপুরে আলেম হত্যাকারীদের গ্রেফতারে ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: সিলেটের জাফলংয়ে আটরশীর মুরিদ কর্তৃক মাদরাসার ছাত্র শিক্ষকের ওপর অতর্কিত হামলার প্রতিবাদে এবং নিহত মুজাম্মিলের খুনিদের গ্রেফতারের দাবীতে জৈন্তাপুরে প্রতিবাদসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সভায় বক্তারা বলেছেন, ইতিহাস ঐতিহ্যের শান্ত এ জনপদকে যারা অশান্ত করেছে তাদের রেহাই নেই। তাদের চিহ্নিত করতে হবে।

তারা বলেন, শায়খুল ইসলাম মাদানী, আল্লামা বায়মপুরী, আল্লামা হরিপুরীর পদধূলিতে ধন্য জৈন্তার মাটি আলেম উলামার ঘাটি। এখানে কখনো ভন্ড বেদআতীদের স্থান হতে পারে না।

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে যে অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে এটাকে কেউ ধামাচাপা দিয়ে গোলাপানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করলে পরিণতি শুভ হবে না।

বক্তারা ৪৮ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে আরো বলেন, শহীদ মুজাম্মিলকে যারা হত্যা করেছে তাদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করা না হলে কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে জৈন্তাবাসী।

১৭ পরগনা সালিস সমন্বয় কমিটির সভাপতি, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল্লাহ'র সভাপতিত্বে ও লামনিগ্রাম মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা আব্দুল জাব্বারের পরিচালনায় জৈন্তার ঐতিহাসিক বটতলায় অনুষ্ঠিত হাজার হাজার মানুষের জনসমুদ্রে বিশিষ্টজনের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আল্লামা আলিম উদ্দীন দূর্লভপুরী, আল্লামা আব্দুল খালিক শায়খে চাক্তা, আল্লামা হাবিবুর রহমান দরবস্তী,

আল্লামা ইউসুফ শ্যামপুরী, আল্লামা মাহমুদুল হাসান রায়গড়ী, শায়খুল হাদীস আহমদ আলী, শায়খুল হাদীস মাওলানা আতাউর রহমান, জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের নন্দিত চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জয়নাল আবেদীন, মাওলানা হিলাল আহমদ হরিপুরী, মাওলানা শামসুদ্দীন কানাইঘাটী, মাওলানা হারুনুর রশীদ চতুলী, ইউপি চেয়ারম্যান বহারুল আলম বাহার, ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসাইন চতুলী, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ,

সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমদ, আলহাজ্ব রহমত উল্লাহ, মাওলানা নজরুল ইসলাম তোয়াকুলি, হেমু মাদরাসার মুহতামিম মুফতি জিল্লুর রহমান, মাওলানা জামিল আহমদ বায়মপুরী, মাওলানা কবির আহমদ, হাফিজ মাসউদ আজহার, মাওলানা আব্দুল ওয়াদুদসহ অর্ধশত প্রমুখ আলেম ও বিশিষ্টজন। বিশাল প্রতিবাদ সমাবেশে প্রস্তাবনা পাঠ করেন আলহাজ্ব এ্যাডভোকেট মুহাম্মদ আলী।

সভায় মোনাজাত পরিচালনা ও কর্মসূচি ঘোষণা করেন আল্লামা ইউসুফ শ্যামপুরী।

সেদিনের প্রকৃত ঘটনা: ‘আটরশীর মুরিদরা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে মাওলানা আব্দুস সালামকে দাওয়াত দিয়ে একটি মাহফিলে নেয়। সেখানে আটরশীর গাজি সোলায়মান আল কাদরী নামে একজন বয়ান করছিল।

তার বক্তব্যে কুরআনুল কারিমের মনগড়া অপব্যাখ্যা করছিলো। এ সময় মাওলানা আব্দুস সালাম তাকে বলেন, আপনি কুরআনের অপব্যাখ্যা করতেছেন। কথাটি বলার সাথে সাথেই তার উপর আতর্কিত হামলা চালায়!

মুহুর্তেই তাকে রক্তাক্ত করে ফেলে। হুজুরের সাথে থাকা ছাত্ররা হুজুরকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা ছাত্রদের উপরও আক্রমন করে। তাদের পিশাচতায় ঘটনাস্থলেই নিহত হয় হরিপুর মাদরাসার হাদিসের ছাত্র হাফিয মুজ্জাম্মিল।

মাওলানা আব্দুস সালামসহ হাসপাতালে ভর্তি করা নিয়ে সকলেই ব্যাস্ত! এ সুযোগে আটরশীর মুরিদরা নিজেদের আড়াল করতে ঘটনার আশেপাশের বেশ ক'টি ঘর বাড়িতে আগুন লাগায়।

বক্তারা উল্লেখিত প্রকৃত ঘটনা ইলেক্ট্রিক ও প্রিন্ট মিডিয়াসহ দেশবাসীর উদ্যেশ্যে জানিয়ে বলেন, জৈন্তাবাসী সবসময় আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু দেয়ালে পিঠ লেগে গেলে বাঘের গর্জন বেজে ওঠবে।

কর্মসূচির মধ্যে আগামী শুক্রবার সকল মসজিদে মসজিদে শহীদ মুজাম্মিলের আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া।

বাদ জুমুআ সকল মসজিদ মাদরাসা থেকে মিছিল বের করা এবং সিলেট সিটি পয়েন্টে বিক্ষোভ সমাবেশ করা।

৪৮ ঘন্টার মধ্যে খুনিরা গ্রেফতার না হলে দেশব্যাপী লাগাতার অবস্থান ও অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে।

অযথা কোন ছাত্র বা তৌহীদি জনতাকে হায়রানী করা হলে থানা ঘেরাও করাসহ আরোও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

আর এই কর্মসূচি শেষ হলে পরবর্তী আরো কঠোর আন্দোলনের ডাক দিতে বাধ্য হবে ১৭পরগনা সালিস সমন্বয় কমিটি ও বৃহত্তর জৈন্তার আলেমসমাজ।

শায়খ আবদুর রহমান আস সুদাইসের বেতন কতো?


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ