শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫


হুবহু মুরগির মতোই ডিম পাড়ে ইন্দোনেশিয়ান এ বালক

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: শুনে অবিশ্বাস্য মনে হলেও ইন্দোনেশিয়ার গোয়ার এক কিশোরের ডিম পাড়ার ঘটনায় চিকিৎসা বিজ্ঞানই যেন থমকে গেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য সান রোববার এক প্রতিবেদনে জানায়, গত দু’বছর যাবত নিয়মিত ডিম পেড়ে আসছে ওই কিশোর।

দেখতে ঠিক মুরগীর ডিমের মতো। চিকিৎসকরা প্রথমে কথাটি শুনে বিশ্বাসই করতে চায়নি। মানুষ কি ডিম পাড়ে? কিন্তু পরীক্ষা চলাকালেই ১৪ বছরের ওই কিশোর ডিম পাড়লে তাজ্জব বনে যান চিকিৎসকেরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত দুই বছর ধরে নিয়মিত মুরগির ডিম পেড়ে চলেছে কিশোর আকমল। বহু ডাক্তারও দেখানো হয়েছে, কিন্তু সুরাহা হয়নি।

প্রচণ্ড কষ্টের সঙ্গে সব মিলিয়ে যখন ১৯টি ডিম সে পেড়ে ফেলেছে তখন পরিবারের সদস্যরা তাকে নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার একটি বড় হাসপাতালে যান। কিশোরের রোগ সম্পর্কে তার বাবা রুশিলের কথা শুনে প্রথমে চিকিৎসকেরা তো হেসেই ফেলেছিলেন।

তাই বলে অসুস্থ কিশোরকে হাসপাতাল ত্যাগ করতে হয়নি। হাসপাতালে তাকে ভর্তি করে নেয়া হয়। এরপর চিকিৎসকেরা তাকে পরীক্ষা করতে গিয়েই পান রহস্যময় অভিজ্ঞতার স্বাদ।

উপস্থিত প্রায় জনা পাঁচেক চিকিৎসকের সামনেই ডিম পেড়ে দেখায় আকমল। ডাক্তাররাও পরীক্ষা করে জানান, ডিমগুলো হুবহু মুরগির ডিমের মতোই।

পরীক্ষাগারেও ডিমটি নেয়া হয়। সেখানেও মুরগির ডিমের থেকে কোনও পার্থক্য খুঁজে পাননি চিকিৎসকরা। অথচ আকমলের বাবার দাবি, ছোটবেলা থেকে তার ছেলে কোনো দিন আস্ত মুরগির ডিম গিলে খায়নি।

পরে আকমলের পেটে এক্স-রে করে দেখা যায়, বৃহদন্ত্রের কাছে এসে জমা হচ্ছে আরও একটি ডিম। কীভাবে সম্ভব এই চিন্তায় এখন ব্যস্ত হাসপাতালের চিকিৎসকেরা।

আকমলের গ্রামেও এই নিয়ে শোরগোল পড়ে গেছে। গ্রামের অনেকের দাবি, আকমলের উপর কোনো অশুভ শক্তি ভর করেছে। সে কারণেই এমনটা ঘটছে।

এদিকে, ঘটনা প্রকাশ হওয়ায় ইন্দোনেশিয়ার ওই হাসপাতালে আকমলকে দেখতে ভিড় বাড়ছে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পুরো বিষয়টি বুঝতে আকমলকে গভীর পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

কেএল


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ