মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৩ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ৭ শাওয়াল ১৪৪৫

শিরোনাম :

এক মাহফিলে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা; আলোচনায় ‘হেলিকপ্টার হুজুর’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

রকিব মুহাম্মাদ
আওয়ার ইসলাম

রোববার বিকেলে নাটোরের সিংড়ার শালমারা দাখিল মাদরাসা প্রাঙ্গণে মাহফিল করেন মাওলানা এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী জৈনপুরী। ভক্তরা অবশ্য তাকে চেনেন পীরে কেবলা এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী জৈনপুরী হিসেবে। নিয়মিত হেলিকাপ্টারে যাতায়াতের ফলে পরিচিতি পেয়েছেন হেলিকাপ্টর হুজুর নামেও।

তিনি শালমারা দাখিল মাদরাসার বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলে ‘প্রধান বক্তা’ হিসেবে আমন্ত্রিত হয়ে গিয়েছিলেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই মাহফিলের এমন এলাহি কাণ্ডের ছবি ছবি ভাইরাল হয়েছে যা দেখে আতকে উঠেছেন সাধারণ মানুষ।

ছবিতে দেখা যায়, আব্বাসীর দুই পাশে সশস্ত্র বডিগার্ড এবং পুলিশও। হুজুরের সঙ্গে সেলফি ওঠাচ্ছে তারা। সেলফি পর্ব শেষে আয়োজকদের অভ্যর্থনায় সিক্ত হচ্ছেন হুজুর।

সেই ছবি সামাজিক মাধ্যমে আসার পর নানা আলোচনা হচ্ছে। ওয়াজে যাওয়ার ক্ষেত্রে এনায়েতুল্লাহ আব্বাসীর হেলিকপ্টার-প্রীতি সম্পর্কে অবগত অনেকে তাকে ‘হেলিকপ্টার হুজুর’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

এছাড়া সিংড়ার অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার বিনিময়ে এনায়তুল্লাহ আব্বাসী মোটা অঙ্কের টাকা ‘হাদিয়া’ নিয়েছেন তা স্থানীয়দের মধ্যে জানাজানি হয়েছে। জানা যায় এক ঘণ্টায় ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা নেন এ হেলিকপ্টার হুজুর।

এ বিষয়ে শালমারা দাখিল মাদরাসা সুপার শহিদুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমাদের মাদরাসায় বার্ষিক জলসা (ওয়াজ মাহফিল) অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এবার জনগণের মাঝে সাড়া তুলতেই পীরে কেবলা এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী জৈনপুরী হুজুরকে এক লাখ টাকার মাধ্যমে প্রধান বক্তা হিসেবে আনা হয়।

এছাড়া হেলিকপ্টার ভাড়া বাবদ আরও ৮০ হাজার টাকা তাকে দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে যমুনা টিভির দীর্ঘ এক রিপোর্ট থেকে জানা যায়,  একই মাহফিলে অন্য চার বক্তাকে যথাক্রমে ২০ হাজার, ১০ হাজার, এবং ৫ হাজার টাকা করে (দুইজনকে) দেয়া হয়। কিন্তু ব্যতিক্রম ছিলেন আব্বাসী।

প্রশ্ন উঠেছে যেখানে একই মাদরাসার বেশিরভাগ শিক্ষক পুরো মাসের পরিশ্রমের জন্য ১৫ হাজার টাকারও কম বেতন পান, সেখানে এক ঘণ্টার জন্য এত টাকা দিয়ে বক্তা আনার কারণ কী- এমন প্রশ্নে মাদরাসার সুপার জানান, মাদরাসা কমিটির সবার সিদ্ধান্তে এটা করা হয়েছে।

গত রোববার ওয়াজ মাহফিল শেষে সাংবাদিকদের জৈনপুরী বলেন, সময়ের অপচয় রোধ করতে হেলিকপ্টারে যাতায়াত করি। এর খরচ মাহফিলের আয়োজকরা বহন করেন।

সিংড়া থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) নেয়ামুল আলম জানান, জলসা কমিটি নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ চেয়েছিল। তাই জৈনপুরী পীরের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ পাঠানো হয়।

ঈশ্বরহীন পৃথিবী ও ভবিষ্যতের মৌলবাদী আমেরিকা


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ