সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ ।। ৮ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৩ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে ক্ষোভ, প্রতিবাদ জানালেন শায়খ আহমাদুল্লাহ বিবাহ একটি ইবাদত, এর পবিত্রতা রক্ষা করা জরুরি নারী অধিকার কমিশনের সুপারিশে আলেম প্রজন্ম-২৪-এর আপত্তি  জুলাই-আগস্টের ত্যাগের পরও কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ পাইনি: মির্জা ফখরুল নারীবিষয়ক সুপারিশগুলো কোরআন-হাদিসের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন: জামায়াত আমির ‘১৬ বছরের জঞ্জাল দূর না করে নির্বাচন দিলে সমস্যা সমাধান হবে না’  প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা সরকারি নিবন্ধন পেল সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘কলরব’ ‘সিরাহ মিউজিয়াম’ চালু করছেন মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী মহাসমাবেশ সফল করতে যেসব কর্মসূচি নিয়েছে হেফাজত

হিন্দুদের সম্মানার্থে সাতক্ষীরার রেস্তোরাঁয় ‘গো-মাংস’ নিষিদ্ধ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম : ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সাতক্ষীরার বেশ কয়েকটি রেস্তোরাঁয় গেলে দেখা যাবে ‘নো বিফ’ সম্বলিত নোটিশ বোর্ড। বাংলাদেশ একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ, যেখানে গো-মাংস খাওয়া-দাওয়ার তালিকায় প্রথম পছন্দ। সেখানে রেস্তোরাঁগুলিতে ‘নো বিফ’ সম্বলিত নোটিশ বোর্ড একটু আশ্চর্যজনকই বটে। খবর টিডিএন-এর।

সোনারগাঁ রেস্তোরাঁর মালিক আবুল কাশেমের কথায়, সাতক্ষীরায় বহুসংখ্যক হিন্দু পরিবার বসবাস করেন এবং তাঁর রেস্তোরাঁতেও অনেক হিন্দু প্রত্যহ খেতে আসেন। তারা গো-মাংস খাননা। জানা গিয়েছে, সাতক্ষীরা ছাড়াও বাংলাদেশের বহু জায়গার রেস্তোরাঁয় গো-মাংস পাওয়া যায়না।

প্রবীণ সাংবাদিক এটিএন বাংলা নেটওয়ার্ক-এর নিউজ এডিটর মানষ ঘোষ বলেন, ‘গো-মাংসকে এখানকার সংস্কৃতির নজরে দেখা উচিত হবে না। দেশভাগের আগে এখানে প্রচুর পরিমাণে হিন্দুরা বসবাস করতেন। আজও প্রায় ৮-৯% হিন্দুরা এখানে বাস করছে। এইজন্যই দেশের বিভিন্ন এলাকায় গো-মাংস খুঁজে পাওয়া যাবে না।’

মানষ বাবু আরও বলেন, বিষয়টি সংস্কৃতির পাশাপাশি ব্যবসা ও রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত। এই হোটেলগুলিতে আগত বহু গ্রাহক হিন্দু। তাই হোটেল মালিকগুলি তাদের মন জয় করতে গো-মাংস না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অন্যদিকে যে দল ক্ষমতায় আসে সংখ্যালঘুদের সন্তুষ্ট করার জন্য বিফের রাজনীতি করেন। তবে, সেই রাজনীতি ভারতের মতো এতটাও গুরুত্ববহ না।

সাতক্ষীরা থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত অপর একটি রেস্তোরাঁয় গিয়ে জানা যায়, পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত এলাকা থেকে বিফের জন্য গরু পাচার করা হয়। ভারতে গো-রক্ষকদের তাণ্ডব বাড়ার পরও তা চলছে রমরমিয়ে। কিন্তু যে সমস্ত রেস্তোরাঁগুলিতে বিফ নিষিদ্ধ সেখানে মাটন, চিকেন, ফিশ কারী গো-মাংসের চেয়েও বেশি বিক্রি হয়।

সূত্র : টিডিএন বাংলা


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ