শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৫ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

শিরোনাম :
শিক্ষক ও বাবুর্চি নিয়োগ দেবে রাজধানীর আল্লামা শামসুল হক রহ.মাদরাসা উপজেলা নির্বাচনে যাচ্ছে কি ইসলামি দলগুলো? পাঠ্যপুস্তকের ওপর নির্ভরশীল হয়ে স্মার্ট জেনারেশন সৃষ্টি সম্ভব নয়: শিক্ষামন্ত্রী বিচ্ছিন্নভাবে দে‌শের স্বার্থ অর্জন করার সুযোগ নেই : সেনা প্রধান স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন সংসদে পাশ করব : স্বাস্থ্যমন্ত্রী যাত্রাবাড়ীতে দুই বাসের মাঝে পড়ে ট্রাফিক কনস্টেবল আহত আ.লীগের মন্ত্রী-এমপির আত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচনে নিষেধাজ্ঞা; অমান্য করলে ব্যবস্থা ফকিহুল মিল্লাত রহ. এর পরামর্শ -‘ফারেগিন কার সঙ্গে পরামর্শ করবে’ ঢাকায় চালু হলো চীনা ভিসা সেন্টার ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য পদ দেওয়া নিয়ে ভোট শুক্রবার

আরামদায়ক হলেও শরীরকে দুর্বল করে এসি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

শাহনাজ শারমিন

গরমের যন্ত্রণা থেকে বাঁচতে অনেকেই দীর্ঘক্ষণ এসি রুমে থাকতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। এসিতে থাকা আরামদায়ক হলেও টানা এসিতে না থাকাই ভালো। কারণ বেশি সময় ধরে এসি রুমে থাকাটা স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ভালো নয়।

এ ব্যাপারে চিকিৎসকরা বলছেন এসিতে নানা রকম অসুখে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। কর্মজীবি মানুষদের অনেকেই এখনও একটা দীর্ঘ সময় কাটাচ্ছেন এসির নীচে। অফিসে সেন্ট্রাল এসির ব্যবস্থা থাকায়, অনেকটা বাধ্য হয়েই তাদের তা করতে হচ্ছে।

এছাড়া গরমেও পরম ভরসা মনে করা হয় এসিকে। কিন্তু সারাদিনের এসি, শরীরে আমন্ত্রণ জানায় নানান সমস্যার। অতিরিক্ত এসিতে থাকলে শরীরে আদ্রতার অভাব তৈরি হয়ে ডিহাইড্রেশন দেখা দেয়। সেই সঙ্গে শুষ্ক হয়ে পড়ে ত্বকও।

একই সঙ্গে মাইগ্রেন, কোষ্ঠকাঠিন্য, ইউরিনের স্বল্পতা, পেশীতে টান লাগা, শ্বাস কষ্টের মতো সমস্যা আরো তীব্র হয়ে ওঠে। যারা সবসময় এসির নীচে থাকেন, তাদের শরীর বাইরের তাপমাত্রায় সহজে মানিয়ে নিতে পারে না। ফলে তাপমাত্রার তারতম্য খুব সহজে তাদের অসুস্থ করে দেয়।

এসির কারণে মস্তিষ্কের সাধারণ কাজে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। যার কারণে মনোযোগ ধরে রাখা ও স্মৃতিশক্তির অবনতি ঘটতে পারে। অনেকের আবার ঘনঘন মাথা ব্যথা দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে অনেকের দিনভর চিনচিন মাথা ব্যথা অনুভব হয়।

গবেষণা অনুযায়ী, অনেক্ষণ এসির বাতাসে থাকলে চোখের পানিও শুকিয়ে যায়। তখন কান্না করলে খুব কম পানি বের হয়। ফলে কান্নার মাধ্যমে চোখ পরিষ্কার, মানসিক চাপ কমা ও কর্মদক্ষতা বাড়ার কাজগুলো বাঁধা প্রাপ্ত হয়।

অন্যদিকে গরম, ঘাম, অস্বস্তি থেকে বাঁচতে আমরা যেখানে এসিকে বেঁছে নিচ্ছি, সেখানে এসির কারণেই শরীর ক্লান্ত হয়ে পরে। কারণ এসি শরীরকে দুর্বল করে খুব জলদি ক্লান্তি এনে দেয়।

গরমের সময় সূর্যের এক্সপোজার অনেক বেশি থাকে। তখন এসির বাতাস ত্বককে অনেক বেশি রুক্ষ করে চুলকানির সমস্যা তৈরি করতে পারে। একই সঙ্গে অ্যাজমা ও সব ধরনের অ্যালার্জি বেড়ে যেতে পারে।

এসির বাতাস নাকের প্যাসেজ শুষ্ক করে, তাতে ঝিল্লি আবরণে অস্বস্তি তৈরি করতে পারে। তাই সারাদিন এসির নীচে আর নয়। অতিরিক্ত ঠাণ্ডা বা গরমে না থেকে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় থাকার চেষ্টা করুন।

অনেকক্ষণ এসিতে থাকলে শরীরের স্বাভাবিক আর্দ্রতা কমে যায়। শরীরের তেলতেলে ভাব দূর হওয়া ভাল কিন্তু প্রয়োজনীয় আর্দ্রতাটুকুও যদি টেনে নেয় এসির হাওয়া তবে তা মোটেই ভাল নয়। পাশাপাশি চোখও লাল হয়ে যায়। এর মোকাবেলা করা খুব একটা কঠিন নয়।

সাধারণত শীতকালে যা আমরা করে থাকি, এখানেও তাই করতে হবে। যারা দীর্ঘক্ষণ এসিতে থাকেন, সঙ্গে ভাল মানের বডি লোশন রাখুন এবং নিয়ম করে হাতে, পায়ে ও মুখে লাগিয়ে নিন। চোখ লাল হয়ে গেলে সাধারণ আই ড্রপ ব্যবহার করতে পারেন।

তবে আগে থেকে চামড়া বা চোখের সমস্যা থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। এদিকে প্রাইভেটকার এমনকি বাসেও এখন এসি। কাজেই দিনের বেশিরভাগ সময় আমাদের থাকতে হচ্ছে এসির মধ্যে।

গাড়ি স্টার্ট দিয়েই এসি না চালিয়ে বরং গাড়ির গ্লাস খুলে দিন কিছক্ষণ। এতে গাড়িতে জমা হওয়া বেনজিন গ্যাস বের হয়ে যায়। এই গ্যাস আপনার শরীরের জন্য ক্ষতিকর।

আমরা যখন শেড বা গ্যারাজে গাড়ি পার্ক করে রাখি, তখন গাড়ির কাচ বন্ধ থাকে। এই অবস্থায় গাড়িতে ৪০০-৮০০ মিলিগ্রাম বেনজিন জমা হয়।

আর যদি গা়ড়ি রোদে পার্ক থাকে এবং তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হয়, তাহলে বেনজিনের মাত্রা বেড়ে যায় ২-৪ হাজার মিলিগ্রাম পর্যন্ত।

এটি আমাদের শরীরের সহ্য ক্ষমতার থেকে প্রায় ৪০ গুণ বেশি। আমরা যখন বদ্ধ গাড়িতে বসি তখন শ্বাসের সঙ্গে এই বেনজিন আমাদের শরীরে ঢোকে। যা লিভার, হাড়ের টিস্যু ও কিডনির ক্ষতি করে।

জানা জরুরি যে, গাড়ির ম্যানুয়ালে লেখা আছে, এসি অন করার আগে কিছুক্ষণ কাচ নামিয়ে রাখুন। তবে এর ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে কিছু লেখা থাকে না।

গাড়িতে উঠে তাই এসি চালানোর আগে কিছুক্ষণের জন্য কাচ নামিয়ে রাখুন। কাচ নামানো অবস্থাতেই কয়েক মিনিট এসি চালিয়ে তারপর কাচ বন্ধ করে গাড়িতে স্টা‌র্ট দিন।

এতে ক্ষতিকারক টক্সিন থেকে নিজেকে ও পরিবারকে রক্ষা করতে পারবেন।

আপনার সন্তান কি অবসাদে ভুগছে? অবসাদ দূর করুন আপনি নিজেই

এসএস/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ