বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১২ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫


কাতারে কুরআন প্রতিযোগিতায় দেশের জন্য সাফল্য চায় আবু রায়হান

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আতাউর রহমান খসরু: দেশের জন্য সুনাম ও সাফল্য বয়ে আনতে চায় হাফেজ আবু রায়হান। সে কাতার আন্তর্জাতিক হিফজ প্রতিযোগিতা-২০১৮ এর জন্য মনোনীত হয়েছে।

আবু রায়হান ছাড়াও এবার বাংলাদেশ থেকে অংশগ্রহণ করবে আরও ৯ প্রতিযোগী।

হাফেজ আবু রায়হান নেত্রকোণা দুর্গাপুর থানার নুরুল ইসলাম ও আসমা খাতুন দম্পতির ছেলে।  সে তানযীমুল উম্মাহ হিফয মাদরাসা, আত তাসমী’ শাখার ছাত্র। তানযীমুল উম্মাহর তাসমী’ শাখা থেকে আবু রায়হানের পূর্বেও একাধিক শিক্ষার্থী কৃতিত্বের সঙ্গে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে।

একুশে বইমেলায় প্রকাশিত সব বই দেখতে ও কিনতে ক্লিক করুন

সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি কাতারের উদ্দেশে দেশ ছাড়বে হাফেজ আবু রায়হান।

কাতার আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের অনুভূতি জানিয়ে আবু রায়হান আওয়ার ইসলামকে বলে, ‘সে মুহূর্তের অনুভূতি আমি বলে বোঝাতে পারবো না। আমি যখন শুনলাম, আমাকে কাতার আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতার জন্য মনোনীত করা হয়েছে।

সর্বপ্রথম আমি আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে দুই রাকাত নামাজ আদায় করি। এরপর আমার মাকে জানাই।’


প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা আবু তৈয়্যব-এর সঙ্গে হাফেজ আবু রায়হান

হাফেজ আবু রায়হানের বয়স এখন ১০ বছর। সে কাতারে হিফজ ও হদর উভয় বিভাগে অংশগ্রহণ করবে।

নেত্রকোনার কৃতি সন্তান আবু রায়হান পূর্বে এনটিভির ফাইনাল রাউন্ডে ও হুফফাজুল কুরআন ফাউন্ডেশনের জাতীয় স্তরে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখে।

এছাড়াও সে হুফফাজের জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে ১ম স্থান অধিকার করেছে একাধিকবার।

আজকের সাফল্যের জন্য আবু রায়হান তার বাবা-মা ও শিক্ষকগণকে বিশেষভাবে করে; বিশেষত হাফেজ মাওলানা আবু তাহের (উস্তাদজি)-এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।

সাথে সাথে তানযীমুল উম্মাহ, তাসমী’ শাখার প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা আবু তৈয়্যবসহ দায়িত্বশীল শিক্ষকদের স্মরণ করে বলেন, ‘সংক্ষিপ্ত সময়ে আমার কাগজপত্র প্রস্তুত করতে সবাই অনেক পরিশ্রম করেছেন।  মাদরাসা সব শিক্ষক-ছাত্র আমার জন্য দোয়া করেছেন এবং এখনও করছেন। আমি সবার প্রতি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ।’

হাফেজ আবু রায়হান আওয়ার ইসলামের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়ে বলেন, ‘আপনারা সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমি যেনো দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনতে পারি। সবার মুখে হাসি ফুটাতে পারি।’

উল্লেখ্য, কাতার আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা কর্তৃপক্ষ প্রতি বছর অনলাইন বাছাইয়ের মাধ্যমে বিশ্বের ৭০টি দেশ থেকে কয়েকশো প্রতিযোগীকে আমন্ত্রণ করে থাকে।  ইতিপূর্বে বাংলাদেশ থেকে ৫জন করে শিক্ষার্থী অংশগ্রহণের সুযোগ পেলেও এ বছর কোঠা বাড়িয়ে ১০জন করা হয়েছে।

এ বছর অনলাইন বাছাই প্রক্রিয়ায় শুধু বাংলাদেশ থেকেই ২ হাজার প্রতিযোগী অংশ নিয়েছিলো।

বুখারি শরিফের হিফজ; হাফেজ হাবিবুল্লাহ’র অসাধ্য সাধন


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ