শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৬ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১০ শাওয়াল ১৪৪৫


তাবলিগে শুরা ও আমির নিয়ে মাওলানা তারিক জামিলের বিশেষ বার্তা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

হাওলাদার জহিরুল ইসলাম: সম্প্রতি পাকিস্তানের বিখ্যাত দায়ী মাওলানা তারিক জামিলের তাবলিগ জামাতের চলমান শুরা-আমির পদ্ধতির বিরোধ বিষয়ে সাধারণ তাবলিগি সাথীদের ভূমিকা কী হওয় চাই তার ওপর দিক  নির্দেশনা সম্বলিত  ১ মিনিট ২৬ সেকেন্ডের একটি অডিও বার্তা দেন।

তাতে তিনি সাধারণ তাবলিগি সাথীদের উভয় পক্ষের মুরুব্বীদের সম্মান করা ও বেশি বেশি দীনের কাজে মশগুল থাকর পরামর্শ দেন।

অডিও বার্তাটি আওয়ার ইসলামের পাঠকদের জন্য অনুবাদ করা হলো।

মাওলানা তারিক জামিল বলেন, ‘মসজিদের কাজ করা, সকাল বিকাল গাশত করা, তালিম করা, আড়াই ঘণ্টা মেহনত করা, তিন দিন ও চিল্লায় বের হওয়া, নিজেদের দোয়া ও মোনাজাতে মশগুল থাকাই আমাদের জন্য শ্রেয়।’

‘শুরা বা নিজামুদ্দীন-এমারত উভয় পক্ষের বড়দের সম্মান করা চাই। উভয় পক্ষের মুরুব্বীগণই সম্মানিত।

বর্তমানে শুরা ও এমারতের নামে যা চলছে তা তো স্রেফ এখতেলাফি বিষয়। এ ধরনের এখতেলাফ সাহাবাদের যুগেও দেখা গেছে। আল্লাহর নেক বান্দাদের মাঝেও হয়েছে। আমাদের দায়িত্ব হলো উভয় দিকের বুজুর্গদের এহতেরাম করা।’

‘আর তাবলিগের কাজ তো একদম সহজ ও সাধাসিধে কাজ। নিজ নিজ মসজিদে থেকেই আমরা দীনের মেহনত করবো। কেউ যদি শুরার সমর্থক হয় তাহলে যেমন তাকে তিরস্কার করা ঠিক হবে না তেমনি যদি নিজামুদ্দীনকে অনুসরণ করে তাহলেও তাকে মন্দ বলা উচিত হবে না।

ইসলামি কিতাব, উলামা ও তাবলীগের বয়ানের অন্যন্য অ্যাপ ইনস্টল করুন

এ বিষয় নিয়ে ঝগড়ায় লিপ্ত হওয়া মানে নিজেদের পরকালের ক্ষতি করা। তাই এ নিয়ে বিরোধে না জড়ানো ও তাবলিগের কাজে বেশি মনযোগী হওয়া জরুরি।

শুরা বা এমারত উভয় পক্ষের মুরুব্বীদের ব্যাপারে মুখ থেকে এমন কোন কথা বের না কারা যা তাদের সম্মান মর্যাদার জন্য হানিকর হয়।

আল্লাহ আমাকে ও আপনাদের সবাইকে আমল করার তাওফিক দান করুন।’

মাওলানা তারিক জামিলের বাংলাদেশ সফরের একটি ঘটনা


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ