রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫ ।। ৭ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২২ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বিবাহ একটি ইবাদত, এর পবিত্রতা রক্ষা করা জরুরি নারী অধিকার কমিশনের সুপারিশে আলেম প্রজন্ম-২৪-এর আপত্তি  জুলাই-আগস্টের ত্যাগের পরও কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ পাইনি: মির্জা ফখরুল নারীবিষয়ক সুপারিশগুলো কোরআন-হাদিসের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন: জামায়াত আমির ‘১৬ বছরের জঞ্জাল দূর না করে নির্বাচন দিলে সমস্যা সমাধান হবে না’  প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা সরকারি নিবন্ধন পেল সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘কলরব’ ‘সিরাহ মিউজিয়াম’ চালু করছেন মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী মহাসমাবেশ সফল করতে যেসব কর্মসূচি নিয়েছে হেফাজত নারী সংস্কার কমিশন ও প্রস্তাবনা বাতিলের দাবি খেলাফত মজলিসের

লন্ডনের মসজিদে সবার জন্য খাদ্য কর্মসূচি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম : প্রতি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জার্মানি থেকে আসা ইভাকে উত্তর লন্ডনের দিকে হেঁটে যেতে দেখা যায়। সেখান থেকে তিনি উষ্ণ খাবার সংগ্রহ করেন। লন্ডনের যারা গৃহহীন, তাদের জন্য এই খাবারটা আসলেই অনেক কিছু।

গত পাঁচ বছর ধরে লন্ডনে থাকছেন ইভা। আর তিন বছর ধরে তিনি গৃহহীন। একজন পরিচ্ছন্ন কর্মী হিসেবে তার চাকরি হারানো পর থেকে তিনি রাস্তায় বসবাস করে আসছেন। তিনি একটি কাজের খোঁজে হন্যে হয়ে বেড়াচ্ছেন। লন্ডনের একটি গির্জা থেকে তিনি এরআগে খাবার সংগ্রহ করতেন। যেটা এখন প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।

গির্জা থেকে তিনি খাবার ও সামান্য আশ্রয় পাওয়ার আগে বিভিন্ন রেস্তোরাঁ ও ক্যাফেতে তিনি খাবার চেয়ে বেড়াতেন। কিন্তু তাদের নীতির কারণে তারা আমাকে খাবার দিতে চাইতো না বলে জানান তিনি।-খবর আনাদুলু সংবাদ সংস্থার।

গত দুই বছর ধরে ইভা ফিন্সবুরি পার্ক মসজিদ থেকে প্রতি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় খাবার সংগ্রহ করেন। সেখানে তিনি রাতের খাবার খেয়ে অন্য গৃহহীন ও স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে আলাপ করেন। মসজিদ থেকে বিভিন্ন পদের ও বিভিন্ন দেশীয় খাবার দেয়া হয় গৃহহীনদের।

২০১৫ সালের আগস্টে ফিন্সবুরি পার্ক মসজিদ সবার জন্য খাদ্য কর্মসূচি চালিয়ে আসছে। সেখানে খাবার ছাড়াও অন্য সহযোগিতাও করা হয়। মসজিদ থেকে স্থানীয় নানা সুবিধা ও সেবা নিয়ে গৃহহীনদের তথ্য সরবরাহ করা হয়।

ফিন্সবুরি পার্ক মসজিদের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ কোজবার বলেন, সবার জন্য খাদ্য কর্মসূচি একটি ছোট প্রকল্প। আমাদের কমিউনিটির সহায়তায় এটা আমরা চালু করেছি। সবারই উচিত এ ধরনের সহযোগিতায় এগিয়ে আসা। খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ভেতরেও আমাদের অংশিদার আছে। তারা আমাদের এই প্রকল্পটি চালু করতে সহায়তা করেছে।

তিনি বলেন, এটা সবার জন্য উন্মুক্ত। যে কেউ এখান থেকে সেবা নিতে পারেন। ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সবাইকে আমরা খাবার দেয়ার চেষ্টা করি। বেকার ও গৃহহীনদের আমরা অন্যান্য সহযোগিতা দেয়ারও চেষ্টা করছি। যুগান্তর।


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ