শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ।। ১৫ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৯ রমজান ১৪৪৫


যুক্তরাষ্ট্রে ২ দিনে ৩ হামলা, নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম :  পর পর বন্দুকধারীদের হামলায় ফের রক্তাক্ত হয়ে উঠল আমেরিকা। স্কুল চলাকালীন শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে গুলি চালানোসহ গোয়েন্দা সংস্থার সদর দপ্তরে বন্দুক হামলায় প্রশ্নের মুখে ট্রাম্পের সাম্রাজ্য। টানা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দুর্বৃত্তদের ছোড়া এলোপাতাড়ি গুলিতে এখনও পর্যন্ত ২১ জন মারা গেছেন। জখম হয়েছেন ৫৫ জন।

জানা গেছে, বুধবার খোদ মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার সদর দপ্তরের বন্দুকধারীর হামলায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ওয়াশিংটনের ঢিল ছোড়া দূরত্বে ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সির (এনএসএ) সদর দপ্তরে হঠাৎই এক ব্যক্তি আচমকা এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন তিনজন।

এনএসএ’র তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গুলি চালানোর ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেভ। মুহূর্তেই ওই বন্দুকধারীকে গ্রেপ্তারও করা হয়। এদিন কী কারণে ওই ব্যক্তি গুলি চালিয়েছিলেন তা জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত।

মঙ্গলবার রাতেও বন্দুকধারীর হামলায় রক্তাক্ত হলো আমেরিকার নিউ অরলেন্স। ওই ঘটনায় মৃত্যু হয় দু’জনের। জখম হন তিনজন। এদিন সকালেও আমেরিকার এই অঙ্গরাজ্যে দু’টি সশস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটে। বুধবার শেষ রাতে ফ্লোরিডার একটি নামি হাইস্কুলের মধ্যে গুলি চালোনার খবর পাওয়া যায়। দুষ্কৃতীর ছোড়া এলোপাতাড়ি গুলিতে ১৭ জনের মৃত্যু ও ৫০ শিক্ষার্থী জখম হন। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, প্রথম ঘটনাটি ঘটে ঐতিহাসিক স্থান মার্দি গ্র্যাস প্যারেডে। এখানে এক বন্দুকধারীর হামলায় একজনের মৃত্যু হয়। জখম হন দু’জন। দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে একটি গোলমালকে কেন্দ্র করে। এক্ষেত্রেও এক ব্যক্তিকে আচমকা গুলি চালিয়ে বসে অন্যজন।

গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে নিউ অরলেন্স পুলিশ। সবমিলিয়ে একদিনে আমেরিকায় বন্দুকধারীর হামলায় মৃত্যু হলো মোট চারজনের। জখম হয়েছেন মোট ৫৫ জন।

এদিনের এ ঘটনার পর মার্কিন নাগরিকদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। লাগাতার বন্দুকধারীদের হামলা ও হতাহতের খবরে বেশ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন দেশটির বাসিন্দারা। কিন্তু কী কারণে এ ঘটনা? লাগাতার কেন ঘটে চলেছে বন্দুকধারীদের দাপট? এমন নানা প্রশ্ন ভাবাচ্ছে মার্কিন প্রশাসনকে। আনন্দবাজার।


সম্পর্কিত খবর