বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১২ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শিরোনাম :
‘মানতিক; যুগের চাহিদার সাথে মিলে না’ এ ধরেণের কথা অযৌক্তিক: মুফতি হিফজুর রহমান দাওরায়ে হাদিসের ফলাফল নজরে সানীর আবেদনের সময় বাকি ৩ দিন  বৃষ্টি প্রার্থনায় জামিয়াতুল আবরার রাহমানিয়ায় ‘সালাতুল ইস্তিসকা’  আদায় হাসপাতালে সৌদি বাদশাহ সালমান সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত পাঠ্য তালিকার সাথে বেফাকের পাঠ্য তালিকার সম্পর্ক নেই: বেফাক সৈয়দপুরে তাপদাহে অতিষ্ঠ মানুষ, ‘হিটস্ট্রোকে’ ১ জনের মৃত্যু স্বর্ণের দাম আরও কমলো, ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ১৫১ টাকা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান ইরান-পাকিস্তানের ঢাবিতে বৃষ্টির জন্য ‘সালাতুল ইসতিস্কা’র অনুমতি দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ‘বৃষ্টির জন্যে সালাত আদায় করলেই অবশ্যম্ভাবী বৃষ্টি চলে আসবে—বিষয়টা তা নয়’

বইয়ের মার্কেটিং এবং কিছু বিরক্তিকর পদ্ধতি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবুল ফাতাহ: লেখক তার নিজের বই মার্কেটিং করবে- এই ব্যাপারটা কোনো এক অদ্ভুত কারণে কিছু মানুষ সহজভাবে নিতে পারে না। কেন পারে না, আমার জানা নেই।

ইন্টেলেকচুয়াল হলেও বইও একটা প্রোডাক্ট। তারও মার্কেটিং প্রয়োজন এবং লেখক নিজেই সে কাজটা গর্ব নিয়ে করতে পারেন।

যেমন ইন্ডিয়ার অমীশ ত্রিপাঠি, বহু জায়গা থেকে তার শিব ট্রিলজি রিজেক্ট হবার পর নিজেই প্রকাশ করেন। শুরু করেন মার্কেটিং। শুধুমাত্র মার্কেটিং স্ট্যাটেজির কারণে সারা ভারতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিক্রিত হওয়া বইয়ের মধ্যে তার বই প্রথম। মুম্বাইতে এখন ত্রিশ কোটি মূল্যমানের পাবলিশিং হাউজ খুলে বসেছেন ভদ্রলোক।

আর সিনেমা জগতের দিকে তাকালে তো কথাই নেই। নতুন ছবির প্রমোশনের জন্য নায়ক নায়িকারা কী না করেন? আমির খান পর্যন্ত সিআইডিতে অভিনয় করে!

এত কিছুর পর লেখকরা কেন নিজের বই নিজে মার্কেটিং করতে পারবে না? তবে এখানে একটা কথা বলে রাখা ভাল, মার্কেটিং এর জোরে আপনি হয়ত একজন পাঠককের কাছে নিজের বই বিক্রি করাতে পারবেন কিন্তু যদি ভেতরের কন্টেন্টে জোর না থাকে তাহলে সেই পাঠক সহ আরো দশজন পাঠককে চিরতরে হারাবেন।

একুশে বইমেলার সব বই ঘরে বসে  পেতে অর্ডার করুন রকমারিতে

এজন্য নিজের কন্টেন্টের উপর আস্থা না থাকলে মার্কেটিং ফার্কেটিং এর দিকে না যাওয়াই ভাল।

এবার মূদ্রার উলটো পিঠটাও দেখে নেই। কিছু কিছু মার্কেটিং এর পদ্ধতি ইদানিং চোখে পড়ছে, ব্যক্তিগতভাবে সেগুলোকে আমি থার্ডক্লাস ছাড়া আর কিছু বলতে পারি না। আপনি লেখক, নিজের এতটুকু স্ট্যান্ডার্ড বজায় রাখা আপনার উচিত।

নিচে যে পদ্ধতিগুলো বলব, এগুলো ছাড়া যেকোনো ধরনের মার্কেটিং এর প্রতি আমার পূর্ণ সমর্থন আছে।

১. ইনবক্সে গুঁতানো
পরিচিত অপরিচিত সবার ইনবক্সে মেসেজ দিয়ে দিয়ে বই কেনার জন্য গুঁতাগুঁতি করা এক ঝটকায় আপনার গ্রহণযোগ্যতা কমিয়ে দেবে।

২ ট্যাগ
গণহারে চেনা অচেনা সবাইকে ট্যাগ করা।

৩ . ফেক আইডি
লেখক নিজেই ফেক আইডি খুলে বা ভাই ব্রাদারের আইডি দিয়ে সমানে গ্রুপে গ্রুপে নিজের বইয়ের গুণগান করা। এবার ব্যাপারটা একটু বেশিই চোখে পড়ছে।

৪. পেইড রিভিউ
'পেইড' শব্দটার সাথে টাকা পয়সার লেনদেন জনিত সম্পর্ক থাকলেও রিভিউ এর ক্ষেত্রে কয়েক ধরনের হতে পারে। যেমন এক লেখক আরেক লেখকের বইয়ের রিভিউ দিল এই শর্তে যে তারটাও দিয়ে দিতে হবে!

৫. স্টলে বই শেষ!
পুরোমেলায় এক্সিডেন্টালি এক দুদিন এমন হতে পারে যে স্টলে বই শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু এবারের মেলায় সবেমাত্র যার প্রথম বই বেরুল, তার বই নাকি পর পর তিনদিন গিয়েও কেউ পাচ্ছে না- এ কথা শোনার পর ভিরমি খেতে হয় বৈকি!

৬. স্প্যামিং
বইয়ের সাথে রিলেটেড না এমন সব পোস্টের কমেন্টে নিজের বইয়ের পাবলিসিটি করা। যেমন সেদিন একটা গ্রুপে কেউ থ্রিলার বইয়ের সাজেশন চেয়েছিল। কমেন্টবক্সে দেখলাম, কবিতা থেকে শুরু করে প্রবন্ধের বইয়ের লেখকরা পর্যন্ত নিজের বইয়ের প্রচ্ছদ নিয়ে হাজির!

৭. অন্যদের মার্কেটিংকে তুলোধুনা করা। যেমন এই পোস্ট!

আবুল ফাতাহ’র ‘দ্য এন্ড’, মুগ্ধতায় ভরপুর এক অনন্য কারিশমা


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ