শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


অভিমান করা স্ত্রীদের দোষ নয়, বরং এটা তাদের সৌন্দর্য

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

লুবাবা জান্নাত হুমায়রা

অভিমান করা স্ত্রীদের কোন দোষ নয়, বরং এটা তাদের সৌন্দর্য  শুধু তাই নয়, এটা তাদের শরীয়ত প্রদত্ত অধিকারও বটে। যেমন এক হাদিসে আছে-নবী করীম সা. আম্মাজান হযরত আয়েশা রা. কে লক্ষ্য করে বলেন- হে আয়েশা! যখন তুমি আমার উপর অসন্তুষ্ট হও তখন তা আমি অনুভব করতে পারি।

আম্মাজান জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমার পিতা-মাতা আপনার উপর কুরবান হউক, আপনি এটা কিভাবে অনুভব করতে পারেন যে, আমি আপনার অসন্তুষ্ট বা রাগান্বিত হয়ে আছি?

হুজুর সা. বললেন, যখন তুমি আমার উপর কোনো কারণে অসন্তুষ্ট থাক তখন কোনো বিষয়ে শপথ করার প্রয়োজন পড়লে তুমি বলো যে, হযরত ইব্রাহীমের প্রতিপালকের কসম। অর্থাৎ তখন তুমি আমার নাম উচ্চারণ করো না। আর যখন আমার উপর সন্তুষ্ট থাক তখন বলো, হযরত মুহাম্মদ সা.- এর প্রতিপালকের কসম।

একথা শুনে আম্মাজান হযরত আয়েশা রা. হেসে দিলেন এবং বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি একদম ঠিক কথা বলেছেন। বর্ণিত এ হাদীস দ্বারা একথা পরিস্কার ভাবে প্রমাণিত হলো যে, স্ত্রীদের কিছুটা রাগ-অভিমান করারও অধিকার আছে। যদি তাদের এ অধিকার না থাকত তাহলে নবী করীম সা. হযরত আয়েশা রা. কে অবশ্যই তা থেকে বারণ করতেন।

তাই ভাইজান! আপনার স্ত্রী যদি আপনার উপর কোনো কারণে রাগ করে মুখ ভার করে বসে থাকে, সেজন্য তাকে মারধর করবেন না, এমনকি ধমক কিংবা কটু কথাও বলেবন না। বরং আল্লাহর বান্দী মনে করে তাকে ক্ষমা করে দিয়ে যে কোনো উপায়ে খুশি করার চেষ্টা করবেন। যেমন – সোহাগ করে কাছে টানুন এবং বাসায় মিষ্টি, মিষ্টি জাতীয় কোনো দ্রব্য কিংবা ফল- ফ্রুট থাকলে তা তার মুখে তুলে দিন।

কর্মস্থল থেকে ফেরার পথে তাঁর পছন্দের কোনো খাবার যেমন আইসক্রিম /চকলেট নিয়ে আসতে পারেন। এতে এক ঢিলে দুই পাখি মারা হবে। অর্থাৎ মুখে খাবার তুলে দেওয়ার সুন্নতটিও আদায় হবে।

এসএস/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ