মাওলানা শেখ বদরুল আলম হামিদী। দেশের অন্যতম ইসলামি বিদ্যাপীঠ মৌলভীবাজারের জামেয়া লুৎফিয়া আনওয়ারুল উলুম বরুণার মুহতামিম। বিশিষ্ট আলেম ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব।
মাওলানা হামিদী ইউরোপের বিভিন্ন টিভিতে ইসলামি আলোচনার পাশাপাশি ইসলামিক চ্যানেল ইকরা বাংলা টিভিতে সর্বাধিক জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘ইকরাউল কুরআন’ চালু করে বিশুদ্ধ কুরআন শিক্ষার ক্ষেত্রে এক নবধারার সূচনা করে স্বল্পসময়ে গোটা ইউরোপে সবার প্রশংসা ও সুনাম অর্জনে সক্ষম হন।
একনিষ্ঠতা, দক্ষতা, ত্যাগ, প্রচেষ্টা আর স্বীয় পিতা মাওলানা শায়খ খলীলুর রহমান হামিদী ও দাদা হযরত শায়খে বরুণী রাহ.’র পদাঙ্ক অনুসরণ করে মেধাদীপ্ত এই আলেমে দ্বীন ইতোমধ্যে সবার সুদৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছেন।
বিশ্বখ্যাত ইসলামী বিদ্যাপীঠ আল জামিয়াতুল আহলিয়া মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী থেকে তাকমিল ফিল হাদিস সমাপ্ত করে কর্মজীবনের সূচনাতেই হযরত ফেদায়ে ইসলামের পক্ষ থেকে খেলাফতপ্রাপ্ত হন।
প্রবাসজীবনের শুরুতে বিশ্ববরেণ্য ইসলামি দার্শনিক, শাইখুল ইসলাম আল্লামা তাকী উসমানী দা.বা.’র পরামর্শে আসেন মিডিয়া জগতে। ইংল্যান্ডের বিভিন্ন ইসলামিক চ্যানেলে শুরু হয় পথচলা।
মাতৃভূমিতে কুরআনের আলো ছড়িয়ে দিতে প্রতিষ্ঠা করেন ‘আল খলীল কুরআন শিক্ষাবোর্ড বাংলাদেশ’। দ্বীনের দাঈ হিসেবে বৃটেন, আমেরিকাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কুরআনের তাফসীর করে যাচ্ছেন সাবলীল উপস্থাপনায়।
আন্তর্জাতিক চ্যারিটি সংস্থা আল খায়েরের বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে বিধ্বস্ত মজলুম মানবতার কল্যাণে তার কাজ অব্যাহত রয়েছে দুনিয়াব্যাপী। হামিদনগরে তার বাসায় বসে সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন আওয়ার ইসলামের নির্বাহী সম্পাদক রোকন রাইয়ান। সঙ্গে ছিলেন প্রতিবেদক কাউসার লাবীব।
বরুনা মাদরাসার একাংশ
রোকন রাইয়ান : দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে থেকেও সারাদেশে নাম কুড়িয়েছে বরুনা মাদরাসা। মাদরাসাকে এ পর্যন্ত আনার পেছনে কার এবং কাদের অবদান?
বদরুল আলম হামিদী : এটি একটি ঐতিহাদিস মাদরাসা। এর নামের সঙ্গে তিন তিনটি ইতিহাস জড়িত। আজাদী আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন আমাদের পরদাদা মুনশি হামিদুল্লাহ। তার নামেই এ গ্রামের নাম হয় হামিদনগর।
এখান থেকেই তার ছেলে মাওলানা লুৎফর রহমান রহ. শায়েখে বরুনী, যাকে দুই দুই বার খেলাফত দিয়েছেন মদনী রহ.। তিনিই এ মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা।
তার ইন্তেকারের পর এ মাদরাসার হাল ধরেন আমার বাবা বরুনার পীর শায়খুল হাদিস মাওলানা খলিলুর রহমান হামিদী দামাত বারকাতুহুম। তিনি দীর্ঘ ৬০ বছর যাবত প্রতিষ্ঠানটিকে নিজের মতো করে গড়ে তুলছেন।
তবে এখন আমার বাবা বেশ অসুস্থ। তাই প্রতিষ্ঠানটির হাল ধরতে হয়েছে আমাকে। সার্বিক দেখাশোনা করছি আমিই।
রোকন রাইয়ান : আপনি তো লন্ডন থাকেন সেখানে থেকে এতো বড় প্রতিষ্ঠান দেখাশোনা করেন কীভাবে? পরিচালনা করতে অসুবিধা হয় না?
বদরুল আলম হামিদী : এখন তো পুরো পৃথিবীই একটা ব্রিজ হয়ে গেছে। আপনি যেখানেই থাকেন, মুহূর্তেই সবখানের খবর মোবাইলের মাধ্যমে নিতে পারছেন। এখানে বসে বসে আপনি দেখতে পারবেন কোথায় ক্লাস হচ্ছে, কীভাবে হচ্ছে। এইজন্য অসুবিধা হচ্ছে না।
এছাড়া মুরব্বিগণ আছেন, তারা যার যার জায়গা থেকে দেখাশোনা করেন, আমাকেও সহযোগিতা করেন। তাই খুব সহজভাবেই আমি দূরে থেকেও পরিচালনা করতে পারি।
রোকন রাইয়ান : আপনি তো মিডিয়ায় বেশ সচল। লন্ডনে ইকরা বাংলা টিভি নামে একটি টিভিতেও আপনাকে নিয়মিত দেখা যায়। মিডিয়ায় আপনি কীভাবে এলেন? এর পেছনে আপনার অনুপ্রেরণা কী? পাশাপাশি মিডিয়াকে আপনি দীনের জন্য কতটুকু উপকারী মনে করেন?
বদরুল আলম হামিদী : আমি যখন মিডিয়ায় আসি তখন আসলে কওমি ওলামায়ে কেরাম এ ব্যাপারে খুব কঠোর ছিলেন। আমি যে পরিবার থেকে গিয়েছি সে পরিবারও খুব কঠোর ছিল।
আমার মনে আছে, একবার কে যেন আমার একটি ছবি তুলেছে, এরপর কীভাবে যেন বাড়িতে এটা জানতে পারলো, তাই আমি তিনদিন পর্যন্ত ভয়ে বাড়ি আসতে পারিনি।
তো প্রথমতো ২০০০ সালের দিকে বিবিসি একটি ইন্টারভিউ নেবে। এ ইন্টারভিউটা কীভাবে দেবো, এতো বড় একটি মিডিয়া। এই সময়টা ছিল নাইন ইলেভেনের সময়। তখন আমি একটি মসজিদের খতিব ছিলাম। তারা আমার কাছে আসে সাক্ষাতকার নিতে।
ঘরে বসে একুশে বইমেলার সব বই পেতে অর্ডার করুন এখনই
আমাকে প্রশ্ন করলো ইসলাম এবং সন্ত্রাস কী এক? আমি আমার মতোই উত্তর দিয়েছি।ইসলামের সঙ্গে সন্ত্রাসের কোনো সম্পর্ক নেই। ইসলাম এসেছে সন্ত্রাসকে মেটানোর জন্য। তো আলহামদুলিল্লাহ এখান থেকেই মিডিয়ায় আসা।
এরপর ইংল্যান্ডের জনপ্রিয় একটি টিভি চ্যানেল ‘চ্যানেল এস’ আমাকে ডাকে তাদের ওখানে একটি প্রোগ্রাম করার জন্য। কিন্তু আমি রাজি হচ্ছিলাম না।
একদিন জাস্টিজ আল্লামা তাকি উসমানি লন্ডন যান। তখন তার কাছে আমি পরামর্শ চাই, আমি কী করব?
বরুনা মাদরাসার দৃষ্টিনন্দন বহুতল ভবন
তিনি আমাকে বললেন, আপনি যদি ওই চ্যানেলে প্রোগ্রাম না করেন, তাহলে আপনার স্থানে একজন বাতিল বা ফেতনাবাজ বসবে এবং চিন্তা-চেতনা ও মতবাদ ছড়াতে শুরু করবে। অতএব আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের চিন্তা-চেতনা ছড়িয়ে দিতে সেখানে আপনার প্রোগ্রাম করা উচিত।
আমার মনে হয় লন্ডনে আমার মাধ্যমেই কওমি ওলামায়ে কেরামের মিডিয়ায় পদযাত্রা শুরু।
আমি সেখানে নিয়মিত প্রোগ্রাম শুরু করি এবং তা কয়েক বছর ধারাবাহিকভাবে চালিয়ে যাই।তারপর চ্যানেল আই, চ্যানেল নাইন, এনটিভিসহ বিভিন্ন চ্যানেলে প্রোগ্রাম করি। কিন্তু মনে একটা আশা ছিল, যদি ইসলামিক প্রোগ্রামের জন্য স্বতন্ত্র একটি চ্যানেল হতো! কিন্তু মিডিয়া চালানো তো সহজ নয়। অনেক ব্যয়। বিশাল আর্থিক জোগান দরকার।
সবকিছু ডিঙিয়েও ইংল্যান্ডে একটি স্বতন্ত্র ইসলামিক চ্যানেলের আত্মপ্রকাশ করে। যার নাম ইকরা বাংলা। এতে প্রায় প্রত্যেকদিনই সকাল-বিকেল আমি লাইভ প্রোগ্রাম করে থাকি। আমি হিসেব করে দেখেছি, চব্বিশ ঘণ্টায় প্রায় ছয় ঘণ্টা আমাকে লাইভেই থাকতে হয়।
রোকন রাইয়ান : এই দীর্ঘ সময় একাধারে কাজ করতে কি বিরক্তি আসে না?
বদরুল আলম হামিদী : যখন আপনি কাজকে ভালবাসবেন তখন কোনোভাবেই কাজ আপনাকে বিরক্ত করতে পারবে না। আপনি কাজ করে আনন্দ পাবেন।
রোকন রাইয়ান : আপনি শুরুতে বলেছিলেন, একটা ছবি উঠানোর জন্য আপনাকে অনেক বাধার মুখোমুখি হতে হয়েছে। তো আপনি এখনও এমন বাধার মুখোমুখি হন কিনা? বা আপনি ওই বাধা কীভাবে পাড়ি দিয়ে এ পর্যন্ত এলেন?
বদরুল আলম হামিদী : আসলে আমি এ কথাটি বলেছিলাম এটা বুঝানোর জন্য, আমি কত রক্ষণশীল ও দীনের বিষয়ে যত্নশীল পরিবার থেকে এখানে এসেছি। দীনের বিষয়ে সাধারণ বিষয়েও তারা ছাড় দিতেন না। আমার একজন সাথী আমার ছবি তুলেছিল এর জন্যও আমাকে কত শাসন করা হয়েছে।
আর মিডিয়ার বিষয়ে আমি বলব, এ বিষয়ে আমি মুফতিয়ে আজম রফি উসমানির সঙ্গে কথা বলেছি। তার কয়েকটি যুক্তি আমাকে মুগ্ধ করেছে।
তিনি বলেন, মিডিয়া একটা দা বা ছুরির মতো। আপনি একে দিয়ে ভালো কাজও করতে পারেন, খারাপ কাজও করতে পারেন। মিডিয়া দিয়ে আপনি যে কোনো কাজ করতে পারেন। আপনি যদি চান একে আপনি ভালো কাজে ব্যবহার করবেন, তাহলে ভালো কাজ করতে পারবেন। আর যদি চান, খারাপ কাজ করবেন। তাহলে খারাপ কাজ করতে পারেন।
তবে এটা সত্য, মিডিয়ায় ইসলামের বিরুদ্ধে যে পরিমাণ অপশক্তি দাঁড় হয়েছে। সে তুলনায় আমাদের কাজ খুবই নগন্য। তবে ইকরা বাংলা টিভি এসে তার অনেকটা অভাব পূরণ করেছে বলে আমি বিশ্বাস করি।
অনেক ওলামায়ে কেরাম যারা মিডিয়ার বিরুদ্ধে কথা বলতেন, তারা এখন ইকরা বাংলা চ্যানেলে এসে প্রোগ্রাম করছেন।
রোকন রাইয়ান : আমরা যদি ভারত এবং পাকিস্তানের ওলামায়ে কেরামের দিকে লক্ষ করি তাহলে দেখি, পাকিস্তানের ওলামায়ে কেরাম ছবি এবং ভিডিওর বিষয়ে বেশ শিথিল। কিন্তু ভারতের ওলামায়ে কেরাম এ বিষয়ে খুব কঠোর। এ বিষয়ে আপনি কী বলবেন?
বদরুল আলম হামিদী : না। ইদানিং তো দেখছি দারুল উলুমের যে ফতোয়া, তা যুগের চাহিদা অনুযায়ী। জরুরত অনুযায়ী তারা এ বিষয়ে শিথিলতা প্রয়োগ করেছেন। লন্ডনে হওয়া আন্তর্জাতিক ইসলামিক কন্ফারেন্সে তো দেওবন্দের মুফতিগণ ছিলেন। মুফতিয়ে আজম রফি উসমানি ছিলেন। তারা তো এর বিরুদ্ধে বলেননি।
নির্মাণাধীন দৃষ্টিনন্দন মসজিদ
রোকন রাইয়ান : বহির্বিশ্বে ইসলামিক অনেক মিডিয়া দেখা যায়। কিন্তু সে তুলনায় বাংলাদেশ ওই পথে এগুতে পারছে না। এর কারণ কী বলে আপনি মনে করেন?
বদরুল আলম হামিদী : এর কারণ হিসেবে আমার মনে হয়, বাংলাদেশের মানুষ এবং ওলামায়ে কেরাম এখনো মিডিয়ার গুরুত্ব বুঝে উঠতে পারেননি। যার ফলে এমনটি হচ্ছে। যতো তাড়াতাড়ি তারা এটা বুঝবে, দেশ ও দশের জন্য ততোই কল্যাণ।
বাতিলদের ম্যাসেজগুলো মিডিয়ার মাধ্যমে যেভাবে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে, তা সবার জন্য ভয়ঙ্কর হয়ে দাঁড়াবে।
একবার একটি লাইভ প্রোগ্রামে আমাকে একজন একটি মাসআলার কথা বলল। আমি তাকে বললাম, আপনি এ মাসআলার সমাধান কার থেকে নিয়েছেন? তিনি বললেন, এম টিভি থেকে।
এই এমটিভি হলো কাদিয়ানিদের টিভি। তারা এ টিভির মাধ্যমে তাদের মতবাদ ছড়িয়ে থাকে।
আমাদের যথেষ্ট পরিমাণ চ্যানেল না থাকার কারণে আজ সাধারণ মানুষ তাদের দিকে ভিড়ছে।
আমরা যদি মিডিয়ার গুরুত্ব না বুঝি, তাহলে আমাদের অবস্থা এমন হবে।
রোকন রাইয়ান : বাংলাদেশের ওলামায়ে কেরামের যথেষ্ট পরিমাণ আর্থিক শক্তি নেই। শিল্পকারখানা নেই বললেই চলে। এসব কারণে আমাদের ইসলামিক মিডিয়াগুলোর পৃষ্ঠপোষকতার খুবই অভাব। যার ফলে আমরা আমাদের মিডিয়াগুলোকে বেশি দূর এগিয়ে নিতে পারছি না। এ পরিস্থিতিতে আমাদের কী করণীয়?
বদরুল আলম হামিদী : এই পরিস্থিতিতে ওলামায়ে কেরামকে এক প্লাটফর্মে এসে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি ওলামায়ে কেরামকে আরো সচেতন হতে হবে। ওলামায়ে কেরাম যদি সৎ সাহস নিয়ে এগুতে থাকে, তাহলে সবই সম্ভব।
রোকন রাইয়ান : বর্তমান সময়ে এসে অনেকভাবেই কওমি মাদরাসা শিক্ষা সংস্কারের দাবি উঠছে। পাশাপাশি কিছুদিন আগে কওমি মাদরাসাকে সরকার স্বীকৃতি দেওয়ারও ঘোষণা দিয়েছে। এ বিষয়ে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি কী?
বদরুল আলম হামিদী : স্বীকৃতি যেহেতু সরকার ঘোষণা দিয়ে দিয়েছেন, আমি আশা করি খুব তাড়াতাড়ি আমরা এর বাস্তবায়ন দেখতে পাবো। আর অতিদ্রুত এটা বাস্তবায়নের জন্য ওলামায়ে কেরাম যেভাবে কাজ করা উচিত। আমি তাদের দ্রুত এগিয়ে যেতে অনুরোধ করবো।
কেননা স্বীকৃতি আমাদের বহুপ্রত্যাশিত ও কাঙ্খিত অধিকার। আমাদের প্রাপ্য। এ অধিকার যতো তাড়াতাড়ি আমরা পাবো ততোই ভালো।
আর শিক্ষা সংস্কারের বিষয়ে বলব, লন্ডনে আমরা দেখি, বিশাল বিশাল দারুল উলুম রয়েছে। সেখান থেকে প্রত্যেক বছর অসংখ্য ছাত্র আলেম হয়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রাণ্তে ছড়িয়ে পড়ছে। দীনের খেদমত করছে।
তবে তারা আলেম হওয়ার পাশাপাশি হয়ে উঠছেন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার। এর জন্য তাদের আলাদা কোথাও পড়তে হচ্ছে না। তাদের সিলেবাসটাই এমনভাবে সাজানো হয়েছে, তারা দীন ও দুনিয়া একইসঙ্গে জানছেন এবং বুঝছেন।
তাই আমি বলব, সিলেবাসকে সিলেবাসের জায়গায় রেখে এর মধ্যে আরো অনেককিছু আনা যায়। যা আমাদের শিক্ষার্থীদের উন্নতির নতুন দ্বার খুলে দেবে।
রোকন রাইয়ান : লন্ডনে কী পরিমাণ মিডিয়া আছে আলেমদের তত্ত্বাবধানে?
বদরুল আলম হামিদী : লন্ডনে স্বতন্ত্র ইসলামিক চ্যানেল তো একটাই। ইকরা বাংলা। এছাড়া বিভিন্ন টিভি চ্যানেল আমাদের ওলামায়ে কেরামকে প্রোগ্রাম করার সুযোগ দিয়ে থাকে। চ্যানেল এস, চ্যানেল আই, এনটিভিসহ বিভিন্ন টিভি চ্যানেল ও মিডিয়া আলেমদের ইনভাইটেশনে দিয়ে থাকে।
রোকন রাইয়ান : আপনার কয়েকটি দর্শকপ্রিয় টিভি অনুষ্ঠানের কথা যদি বলতেন।
বদরুল আলম হামিদী : আমার দর্শকপ্রিয় অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে ‘চ্যানেল এসে’ প্রচার হওয়া ‘হাজ লাইভ ডিস্কাশন’। যেখানে হাজিদের বিভিন্ন সমস্যা ও তার সমাধান নিয়ে সরাসরি অনুষ্ঠানটি করতাম।
এরপর এই চ্যানেলেই ‘কুরআন শিক্ষার আসর’ নামে একটি প্রোগ্রাম খুবই দর্শকপ্রিয় ছিল।
এরপর চ্যানেল আইতে ’এসো কুরআন শিখি’। ভিন্ন একটি টিভি চ্যানেলে ‘আওয়ার হিস্ট্রি’ নামে একটি অনুষ্ঠান এবং সর্বশেষ ‘ইকরাউল কুরআন’ ইকরা বাংলা টিভিতে চলমান এ অনুষ্ঠানটি খুবই দর্শকপ্রিয়তা লাভ করে।
ইকরা বাংলা টিভিতে চলা প্রায় সব প্রোগ্রামের সপ্তাহিক বা পাক্ষিক ছুটি আছে। কিন্তু ইকরাউল কুরআনের কোনো ছুটি নেই।
রোকন রাইয়ান : আমরা যারা মিডিয়ায় কাজ করছি তাদের জন্য আপনার কী পরামর্শ থাকবে? শক্তিশালী মিডিয়া গড়তে আমাদের কী করা প্রয়োজন?
বদরুল আলম হামিদী : শক্তিশালী মিডিয়ার জন্য শক্তিশালী একটি টিম প্রয়োজন। যে টিমের সদস্যদের থাকবে অদম্য স্পৃহা। তারা কোনোকিছুতেই দমবে না। তাদের মনে এই ভরসা থাকতে হবে, আমরা পারবো। আমরা সফলতা ছিনিয়ে আনব।
রোকন রাইয়ান : আওয়ার ইসলামকে সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
বদরুল আলম হামিদী : আপনাদেরও ধন্যবাদ।
বেফাকের ১১৬ সদস্যের নতুন কমিটিতে স্থান পেলেন যারা