বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৩ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ৮ শাওয়াল ১৪৪৫

শিরোনাম :
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে ইসির নতুন নির্দেশনা ইরান সার্বভৌমত্ব রক্ষা করে পরিস্থিতি সামাল দিতে সক্ষম: চীন বান্দরবানে দুর্গম পাহাড়ে অভিযানে কুকি-চিনের ৯ সদস্য গ্রেফতার আজমিরীগঞ্জে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের কমিটি গঠন উদীচীর কর্মকাণ্ডে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিব্রত: ডিএমপি অনলাইন নিউজ পোর্টালের বিজ্ঞাপন নীতিমালা শিগগিরই বাস্তবায়ন : তথ্য প্রতিমন্ত্রী ইরানের হামলা ঠেকাতে ইসরায়েলকে সহায়তা করা নিয়ে যা বলছে সৌদি মিয়ানমারের আরও ১৩ সীমান্তরক্ষী পালিয়ে বাংলাদেশে শাইখ যাকারিয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারে যোগদান করলেন মুফতি মকবুল হোসাইন কাসেমী খুলনায় ইসলামী ছাত্র আন্দোলন নেতার হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার

‘ছোট ছোট বাচ্চারা হাফেজ এটা চিন্তা করলে আশ্চর্য লাগে’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হোসাইন মুহাম্মদ এরশাদ বলেছেন, ছোট ছোট বাচ্চারা কুরআনের হাফেজ এটা চিন্তা করলে আশ্চর্য লাগে। চরখরিচা মসজিদ ও মাদরাসার সম্পর্কে এরশাদ বলেন, এই মসজিদ মাদরাসা দেখে খুশি হয়েছি। আনন্দে আপ্লুত হয়েছি। তিনি বলেন, কুরআন তিলাওয়াত করে বাংলাদেশ সুনাম অর্জন করেছে।

গতকাল মহিউস সুন্নাহ আল্লামা মাহমুদুল হাসান কর্তৃক নিজ জন্মস্থান ময়মনসিংহের চরখরিচায় প্রতিষ্ঠিত জামিয়া মাহমুদিয়া আরাবিয়া ইসলামিয়ার খতমে কুরআনে কারীম ও খতমে বুখারী শরীফ উপলক্ষ্যে বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদ এসব কথা বলেন।

সাবেক এই রাষ্ট্রপতি আরো বলেন, সূরা জুমায় বলা হয়েছে, আযান শুনে বেচাকেনা ও কাজকাম বন্ধ রেখে তোমরা দ্রুত মসজিদে চলো আস। তাই জুমার দিন আমি সরকারী ছুটি ঘোষণা করেছিলাম। এটা এখনো বহাল আছে।

বাংলাদেশকে আমি ইসলামী রাষ্ট্রও ঘোষণা করেছিলাম কিন্তু সেটা বহাল রাখেনি। আল্লামা মাহমূদুল হাসানের ভুয়ূষী প্রশংসা করে এরশাদ বলেন, আল্লাহ পাক তাকে দীর্ঘ নেক হায়াত দান করুন। আপনারাও তার জন্য দোয়া করবেন।

আমি একাধারে ৩/৪ ঘন্টা বসেও আল্লামা মাহমূদুল হাসানের বয়ান শুনেছি। মন্ত্রের মত, মুগ্ধ হবার মত তার জ্ঞানগর্ব বয়ান। তিনি কত বড় জ্ঞানী তা বুঝাতে পারবো না। আপনারা তার কাছ থেকে কিছু জ্ঞান নিয়ে যান।কাজে লাগবে।

মাহফিলে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান ও জাতীয় পার্টির মহাসচিব সাবেক মন্ত্রী এবিএম রুহুল আমিন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান বলেন, আমি বড় আলেম নই তবে ছোটবেলায় মাদরাসায় পড়েছি। আমি এখানে বক্তব্য দিতে আসিনি। তবে আমি আপনাদের মতোই একজন মুসলমান।

আমি ১৯৬৭ সনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি পাস করেছি। আমি বাংলা লেখাপড়া করলেও ছোটবেলা থেকে মসজিদ মাদরাসার খেদমত করি। আমি ওয়াজ করবো না।আর হুজুরের সামনে ওয়াজ করার সাহসও আমার নেই। আপনারা ছোট ছেলেমেয়েদের কুরআন শিখাবেন।

আমি ৫/৬বার জেল খেটেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আদর করে আমাকে পূর্ণ মন্ত্রী বানিয়েছেন। তিনি আমাকে ৩১ কোটি ৬২ লক্ষ টাকা দিয়েছেন ছেলেমেয়েদের জন্য কুরআন শিক্ষার ব্যবস্থা করে দিতে।

কুরআন শিখাতে আপনারা মক্তব করলে আমি আপনাদের সহযোগিতা করবো। আপনাদের ছেলেমেয়েরা যাতে সহীহ শুদ্ধভাবে কুরআন পড়তে পারে, নামাজটা পড়তে পারে, এর ব্যবস্থা করবেন।

জাতীয় পার্টির মহাসচিব সাবেক মন্ত্রী এবিএম রুহুল আমিন বলেন, আল্লামা মাহমূদুল হাসান শুধু এ এলাকার নয় তিনি সারা দেশের জন্য একটি প্রদীপস্বরূপ। চরমোনাই, ছারছীনার পীরের সাথে আমি তাকে তুলনা করবো না।

তিনি কত বড় মাপের আলেম, আমাদের জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাহেব তাকে কতটুকু মহব্বত করেন তা বলে বুঝাতে পারবো না। আজ (শুক্রবার) সকালে চেয়ারম্যান মহোদয় যখন এখানে আসার জন্য রওনা করেন তখন আকাশে খুব কুয়াশা ছিলো। হেলিকপ্টারে পথ দেখা যাচ্ছিল না। প্রোগ্রাম ক্যানসেল করব কিনা ভাবছিল। তারপরও স্যার বললেন, যাও মরলে মরে যাবো, তবুও যাবো। হুজুর মাহফিলের দাওয়াত দিয়েছেন, সেখানে যেতেই হবে।

মাহফিলে আমন্ত্রিত ওলামায়ে কেরামের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ফরিদাবাদ মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, ময়মনসিংহ মাখযানুল উলুম মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা আব্দুর রহমান হাফেজ্জী, যাত্রাবাড়ি মাদরাসার নায়বে মুহতামিম মাওলানা আনওয়ারুল হক, ময়মনসিংহ বালিয়া মাদরাসার শায়খুল হাদীস  মাওলানা এমদাদুল হক, বসুন্ধরা ইসলামি রিসার্চ সেন্টারের মুহতামিম মুফতি আরশাদ রহমানী, ময়মনসিংহ বালিয়া মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা আইন উদ্দিন,  ঢাকা শায়েখ যাকারিয়া রিসার্চ সেন্টারের মুহতামিম মুফতি মিযানুর রহমান সাঈদ।

এছাড়াও ময়মনসিংহ বড় মসজিদ মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা আব্দুল হক, গাজীপুর দাওয়াতুর হক মাদরাসার মুহতামিম অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী, ময়মনসিংহ মিফতাহু উলুম মাদরাসার শায়খুল হাদিস মুফতি আহমদ আলী, মাদারীপুর জামিয়াতুস সুন্নাহ মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা নেয়ামতুল্লাহ আল-ফরিদী, ময়মনসিংহ জামিয়া ইসলামিয়ার (প্রধান মুফতি) মুফতি ফজলুল হক, ঢাকা জামিয়া রহমানিয়ার মুহতামিম মুফতি মাহফুজুল হক, ময়মনসিংহ জামিয়াতুস সুন্নাহ মাদরাসা শায়খুল হাদিস মাওলানা মফিজ  উদ্দিন, ঢাকা গাউসুল আজম মসজিদের খতীব মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী ও ঢাকা মারকাযুত তাকওয়া ইসলামি রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক  মুফতি হাবিবুর রহমান মিছবাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সবশেষে আল্লামা মাহমূদুল হাসান মধ্যরাতে (আজ) খতমে কুরআনে কারীম ও খতমে বুখারী শেষে দোয়ার মাধ্যমে মাহফিলের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

এসএস/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ