বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১১ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শিরোনাম :
‘মানতিক; যুগের চাহিদার সাথে মিলে না’ এ ধরেণের কথা অযৌক্তিক: মুফতি হিফজুর রহমান দাওরায়ে হাদিসের ফলাফল নজরে সানীর আবেদনের সময় বাকি ৩ দিন  বৃষ্টি প্রার্থনায় জামিয়াতুল আবরার রাহমানিয়ায় ‘সালাতুল ইস্তিসকা’  আদায় হাসপাতালে সৌদি বাদশাহ সালমান সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত পাঠ্য তালিকার সাথে বেফাকের পাঠ্য তালিকার সম্পর্ক নেই: বেফাক সৈয়দপুরে তাপদাহে অতিষ্ঠ মানুষ, ‘হিটস্ট্রোকে’ ১ জনের মৃত্যু স্বর্ণের দাম আরও কমলো, ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ১৫১ টাকা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান ইরান-পাকিস্তানের ঢাবিতে বৃষ্টির জন্য ‘সালাতুল ইসতিস্কা’র অনুমতি দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ‘বৃষ্টির জন্যে সালাত আদায় করলেই অবশ্যম্ভাবী বৃষ্টি চলে আসবে—বিষয়টা তা নয়’

কৃত্রিম হৃদপিণ্ড নিয়ে সেলহা হোসেইনের বেঁচে থাকা সত্যিই বিস্ময়কর

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

শাহনূল শাহীন, সাব এডিটর: হার্ট বা হৃদপিণ্ড মানব শরীরের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। হৃদপিণ্ড অচল তো পুরো জীবনটাই অচল।

সিনেমা বা উপন্যাসের গল্পে অনেক সময় প্রিয়তম বা প্রিয়তমার জন্য হৃদপিণ্ড খুলে দেয়ার কথা বলা হয়। আধুনিক সিনেমায় দেখানোও হয়। কিন্তু বাস্তবে তা আদৌ সম্ভব কিনা মানুষ সেটা কল্পনাও করতে পারেনি।

আসলে সমম্ভবও না। কারণ শরীর থেকে হুদপিণ্ড আলাদা হয়ে গেলে মানব দেহ অচল হয়ে পড়ে চিরদিনের জন্য। আর সেই হৃদপিণ্ড বের করে হাতে নিয়ে ঘুরবে এমনটা কল্পনাও করা যায় না।

তবে চিকিৎসকদের সহায়তায় কল্পনাকেও হার মানিয়েছেন সেলহা হোসেইন নামের ব্রিটেনের এক বাসিন্দা।

অবিশ্বাস্য হলেও সত্য এটাই সেলহাে হোসেইনের শরীরে সত্যিকারের কোন হৃদপিণ্ড নেই। যেটি আছে সেটি সবসময় তার ব্যাগের মধ্যেই থাকে। এজন্য সবসময় ব্যাগে করে হৃদপিণ্ড সঙ্গে করে ঘুরে বেড়ান সেলহা হোসেইন।

বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে সালহা হচ্ছেন যুক্তরাজ্যের প্রথম নারী যার শরীরের বাইরে একটি কৃত্রিম হৃদপিণ্ড লাগানো হয়েছে।

হৃদপিণ্ডের সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার পর ব্রিটেনের চিকিৎসকরা তার শরীরে একটি কৃত্রিম হৃদপিণ্ড লাগিয়ে দিয়েছেন।

তবে চিকিৎসকরা এও জানিয়েছেন যদি তিনি একটি হৃদপিন্ডের একজন ডোনার পান তাহলে তাকে আর কৃত্রিম হৃদপিণ্ড বয়ে বেড়াতে হবে না।

সালহা হোসেইন বলছেন, আমার মেয়ের বয়স যখন ছয় বছর, একদিন সকালে বুকে ভয়াবহ ব্যথা শুরু হয়। সেই সঙ্গে শ্বাসকষ্ট। আমি বুঝতে পারছিলাম এটা মারাত্মক কিছু হয়েছে।

দ্রুত হাসপাতালের যাওয়ার পর চিকিৎসকরা জানালেন, আমার হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপন করতে হবে। কিন্তু আমি এতোটাই অসুস্থ ছিলামযে, হৃদপিণ্ড প্রতিস্তাপন সম্ভব না হওয়ায় তারা আমাকে একটি কৃত্রিম হৃদপিণ্ড সংযোজন করে দিতে বাধ্য হয়।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন সেলহা হোসেইনের শরীরের ভেতরেও একটি প্লাস্টিকের কৃত্রিম হৃদপিণ্ড রয়েছে, যেটা সত্যিকারের হৃদপিণ্ডের মতোই রক্ত পাম্প করে শরীরের নানা অঙ্গ প্রত্যঙ্গে পাঠিয়ে দেয়।

শরীরে লাগানো কিছু টিউবের মধ্য দিয়ে শরীরের রক্ত এই কৃত্রিম হৃদপিণ্ড এসে পরিশোধিত হয়ে আবার টিউবের মাধ্যমে শরীরে চলে যায়। এভাবেই কাজ করে কৃত্রিম হৃদপিণ্ড।

বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বিট্রেনে এরকম আরো অনেক রোগি আছেন যারা হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপনের অপেক্ষায় আছেন।

এমনকি ২০১৬/১৭ সালে এরকম অপেক্ষার তালিকায় থাকা ৪০জন রোগীর মৃত্যুও হয়েছে। সেই হিসেবে কৃত্রিম হৃদপিণ্ড নিয়ে সেলহা হোসেইনের বেঁচে থাকা সত্যিই বিস্ময়কর।

এসএস/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ