শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৬ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১০ শাওয়াল ১৪৪৫


‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮’ বাতিলের দাবি ইসলামী আন্দোলনের

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮’ বাতিলের দাবি জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম।

মাওলানা ইমতিয়াজ আলম বলেছেন, মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮’ এর খসড়ায় স্বাধীন গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা হুমকির মুখে পড়বে। এই আইন মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে হরণ করবে। সরকার মিডিয়াকে কব্জা করতে অসৎ উদ্দেশ্যে এই আইন করছে। সাংবাদিকদের হাত পা বাঁধার জন্য এই আইনই যথেষ্ট।

মঙ্গলবার বিকেলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ডেমরা থানার উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণকালে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, এই আইন পাস হলে সাংবাদিকরা তথ্য পাবে না, আর তথ্য পেলেও মামলার ভয়ে তা প্রকাশ করতে পারবে না । যার কারণে দেশবাসী প্রকৃত সংবাদ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবে।

আমরা মনে করি প্রস্তাবিত এই আইন দেশ এবং জাতিকে গভীর সঙ্কটের দিকে ঠেলে দেবে। আইনের সুযোগ নিয়ে এক শ্রেণির অন্যায়কারী এবং স্বার্থন্বেষী মহল নিজেদের হীন স্বার্থে আর সুবিধা আদায় করবে।

মানহানির অজুহাতে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা করে অবাধ তথ্য প্রবাহের ধারাকে বাধা গ্রস্থ করবে। আর এই আইন এদের হাতে সে অস্ত্র তুলে দেবে। বাক-স্বাধীনতা হরণের এই কালো আইন অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।

মাওলানা ইমতিয়াজ আলম বলেন, পৃথিবীর কোনো দেশেই আইন করে সাংবাদিকদের নিয়ন্ত্রণ করা সুখকর হয়নি। তাই বাংলাদেশেও এই আইন সুখকর হবে না। সাংবাদিকদের গতিবিধির ওপর এই আইন প্রছন্ন নিয়ন্ত্রণ যা স্বাধীন মতপ্রকাশের অন্তরায়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন নগর দক্ষিণ সহ-সভাপতি ও ডেমরা থানা সভাপতি আলহাজ্ব আলতাফ হোসেন। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আলহাজ্ব হাফেজ ওবায়দুল্লাহ বরকত, নকীব বিন হুসাইন ও জামান মোস্তফা।

উল্লেখ্য, প্রস্তাবিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৩২ ধারায় বলা হয়েছে, ‘যদি কোনো ব্যক্তি বেআইনি প্রবেশের মাধ্যমে কোনো সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত বা সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানে বেআইনিভাবে প্রবেশ করে কোনো ধরনের গোপনীয় বা অতিগোপনীয় তথ্য-উপাত্ত কম্পিউটার, ডিজিটাল ডিভাইস, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বা ডিজিটাল নেটওয়ার্ক অন্য কোনো ইলেকট্রনিক মাধ্যমে গোপনে ধারণ, প্রেরণ বা সংরক্ষণ করেন বা করতে সহায়তা করেন তাহলে তা গুপ্তচরবৃত্তির অপরাধ বলে গণ্য হবে। এর জন্য ১৪ বছরের জেল ও ২০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

মাওলানা ইমতিয়াজ আলম বলেন, এটা সভ্য সমাজের জন্য মারাত্মক হুমকি। আমরা অবিলম্বে এই গণবিরোধী এবং বাক স্বাধীনতা বিরোধী বর্বর আইনের প্রত্যাহার চাই।

একই সাথে তিনি অতীতে ৫৭ ধারায় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে যে সব মামলা করা হয়েছে তা প্রত্যাহর করার জোর দাবি জানান।

এসএস/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ