বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১০ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫


উলামায়ে দেওবন্দ নবী আদর্শের প্রকৃত অনুসারী: শায়খ আলী ইয়াকুব

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: ফিলিস্তিনের বায়তুল মুকাদ্দাসের ইমাম ও খতীব শায়খ আলি ওমর ইয়াকুব আব্বাসি  বলেছেন, নবীজির ইন্তেকালের পর তার প্রতিনিধি হলো উলামায়ে কেরাম। আরব বিশ্বের উলামারা মনে করেন উলামায়ে দেওবন্দ প্রকৃত আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাতের অনুসারী।

তিনি বলেন, উলামায়ে দেওবন্দই ভারত উপমহাদেশে হকের ঝান্ডাকে উড্ডিন করেছেন। এর ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে প্রতিষ্টিত হয়েছে দারুল উলূম হাটহাজারী।

গতকাল সন্ধায় হাটহাজারি মাদরাসা পরিদর্শনকালে দেয়া বক্তব্যে শায়খ আলি ওমর ইয়াকুব আব্বাসি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, প্রতি শতাব্দীর মাথায় আল্লাহ তা’আলা মুজাদ্দিদ পাঠান। আমার মনে হয় বর্তমান জামানার মুজাদ্দিদ হলো উলামায়ে দেওবন্দ। তারা সারা বিশ্বে পঠন-পাঠন ও দাওয়াতে তাবলীগের মাধ্যমে দীনের যে খেদমত আঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছেন তা নযির বিহিন।

আমীরে হেফাজত আল্লামা  আহমদ শফীর জন্য বিশেষ দু’আ কামনা করে শায়খ আব্বাসি বলেন, ইনি উম্মাহর রাহবার। ওনার জন্যে দু’আ করা জরুরী। আল্লাহ তাকে দীর্ঘায়ু করুন।

তিনি বলেন, আমি বাইতুল মুকাদ্দাসে গিয়ে আপনাদের জন্যে দু’আ করবো। এ সময় তাকে এক নযর দেখতে মাদরাসার হাজার হাজার শিক্ষার্থী- উলামা ও স্থানীয় জনতার মাঝে ব্যাপক উদ্দিপনা লক্ষ্য করা গেছে।

ছাত্রদের উদ্দেশ্যে শায়খ আব্বাসি বলেন, বর্তমানে যারা এই দারুল উলূমের উস্তাদ তোমরাও যদি তাদের অনুসরণে জীবন পরিচালনা করো তাহলে উস্তাদদের মতো হতে পারবে।

তোমরা জাগতিক লোভ পরিহার করে কিতাবাদী অধ্যয়ন করো। ইলমের বড় এক অধ্যায় হলো তাকওয়া। তবে ইলম অর্জনের পূর্ব শর্ত হলো নিয়তকে বিশুদ্ধ করা।

উদাহরণ দিয়ে বলেন, মেঘমালা কখনো এক স্থানে স্থির থাকে না। বিভিন্নস্থানে বৃষ্টি বর্ষণ করে। তোমরাও জ্ঞান অর্জন করে বিভিন্ন স্থানে বিতরণ করবে।

শায়খ আলী ইয়াকুব উমর আল আব্বাসি গতকাল সন্ধ্যা ৬ টার দিকে কক্সবাজার থেকে দারুল উলূম হাটহাজারী মাদরাসায় পৌঁছে মাগরিব নামায পড়ান এবং মাদরাসার মাঠে দীর্ঘক্ষণ বক্তব্য রাখেন।

এর আগে মাদরাসায় পৌঁছলে তাকে আরবীতে অভিবাদন জানান আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী ও মাওলান আনোয়ার শাহ।শায়খের বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ করেছেন মাওলানা নুরুল ইসলাম জদীদ।

পরে আমীরে হেফাজত শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী তার হাতে দারুল উলূমের সম্মানী পাগড়ি, প্রত্যয়নপত্র ও ক্রেস্ট তুলে দেন। এরপর তিনি ফুযালায়ে দারুল উলূম নামে দশ তলা বিশিষ্ট বিল্ডিংয়ের ভিত্তি স্থাপন করেন। পরে তিনি আমীরে হেফাজতের রুমে এক নৈশভোজে অংশগ্রহন করেন।

গত ২৬ জানুয়ারি ইংল্যান্ডের বিশিষ্ট টিভি আলোচক, লন্ডন আল ফালাহ সেন্টারের চেয়ারম্যান, প্রবাসী ড. ফরিদ খানের আমন্ত্রণে তিনি বাংলাদেশে এসেছেন। বিমান বন্দরে তাকে অর্ভ্যথনা জানান প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। তার সফরসঙ্গী হিসেবে এসেছেন গরীব ও এতিম ফান্ডের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা ছালেহ হামিদি, মুফতি তাজুল ইসলাম ও মুফতি শরাফত।

ড. ফরিদ খান জানিয়েছেন, আজ মঙ্গলবার সিলেটের জামিয়া তাওয়াক্কুলিয়ায়, ৩০ জানুয়ারি নাজাত সেন্টার মৌলভীবাজার, ৩১ জানুয়ারী ভৈরব ও বি বাড়িয়া, ১ ফেব্রুয়ারি বসুন্ধরার আখাউড়া কনভেনশন সেন্টারে তার বক্তব্য রাখার কথা রয়েছে।

এছাড়াও ২ ফেব্রুয়ারি তিনি গুলশান সোসাইটি জামে মসজিদে জুমার নামায পড়াবেন। এরপর শনিবার তিনি ফিলিস্তিনের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমাবেন বলে জানিয়েছেন ড. ফরিদ খান।

উল্লেখ্য, টেকনাফে তার সফর সাথী হিসেবে ছিলেন মাওলানা মুহাম্মদ আনাস মাদানী।

এসএস/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ