মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১০ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫


মুসলিমবিদ্বেষী রিটুইটের জন্য ক্ষমা চাইতে প্রস্তুত ট্রাম্প!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম
ডেস্ক

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ব্রিটেনের চরম-ডানপন্থী গ্রুপের ভিডিও রিটুইট করার ঘটনায় তিনি ক্ষমা চাইতে প্রস্তুত আছেন। যুক্তরাজ্যভিত্তিক আইটিভি’র পিয়েরস মরগানকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।ট্রাম্প বলেন, গেলো বছরের নভেম্বরে ব্রিটেন ফার্স্টের তিনটি ভিডিও শেয়ার করার আগে তাদের সম্পর্কে ‘কিছুই’ জানতাম না। খবর বিবিসির।

ট্রাম্প ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরামে অংশগ্রহণ করতে বর্তমানে সুইজ্যারল্যান্ডের ডাভোসে আছেন।
উল্লেখ্য, গত বছর নভেম্বর মাসে ট্রাম্প তার টুইটার একাউন্টে তিনটি মুসলিমবিদ্বেষী ভিডিও শেয়ার করেন। ভিডিওগুলো প্রথমবার টুইটারে পোস্ট করেন ব্রিটেনের চরম ডানপন্থী দল ব্রিটেন ফার্স্ট-এর ডেপুটি লিডার জেডা ফ্র্যান্সেন।

ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের মসজিদগুলোতে ব্রিটেন ফার্স্টের সদস্যদের নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

ট্রাম্প তার টুইটারে ভিডিওগুলো শেয়ার করার পর পৃথিবীজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মেও ট্রাম্পের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার তীব্র সমালোচনা করেন।

ওই সময় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে জানানো হয়, ‘ব্রিটেন ফার্স্ট মিথ্যা ছড়িয়ে ও সংঘাতের উস্কানি দিয়ে জনগণের মধ্যে বিভেদ তৈরি করতে চায়।’

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, যদি আপনি আমাকে বলেন তারা ভয়ঙ্কর লোক, ভয়ঙ্কর, বর্ণবাদী। আপনি চাইলে আমি অবশ্যই ক্ষমা চাইবো। সাক্ষাৎকারটি ডাভোসে নেয়া হয়েছে, যেটি আগামী ২৮ জানুয়ারি সম্প্রচার করা হবে।ওই রিটুইট নিয়ে অনুতপ্ত কিনা জানতে চাইলে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি এটা করেছিলাম কারণ আমি চরমপন্থী ইসলামিক সন্ত্রাসীদের  বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিশ্বাসী’।

তবে ট্রাম্প জোর দিয়েই বলেছেন যে, তিনি ব্রিটেন ফার্স্ট সম্পর্কে আগে থেকে ‘কিছুই’ জানতেন না। তিনি বলেন, আমি তাদের সম্পর্কে কিছু জানি না। আমি এ ধরনের লোকদের সঙ্গে নিজেকে জড়াতে চাই না। ব্রিটেন ফার্স্টের ডেপুটি লিডার জেডা ফ্রানসেনের ভিডিওগুলো রিটুইট করার পর চার কোটি ফলোয়ারের তোপের মুখে পড়েন ট্রাম্প।

এসময় ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র তার এই পদক্ষেপের সমালোচনা করেন। থেরেসা মে বলেন, আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই ব্রিটেন ফার্স্টের ভিডিও রিটুইট করা সঠিক ছিল না।তবে মে’র এই মন্তব্যের জবাবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাকে ব্রিটেনের ‘সন্ত্রাসবাদ’র দিকে নজর দেয়ার পরামর্শ দেন।


সম্পর্কিত খবর