শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৬ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১১ শাওয়াল ১৪৪৫


ইজতেমার বয়ান ২য় পর্ব; ১ম দিন বাদ ফজর

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

দীনের উপর জমে থাকলে ঈমানে রূহ আসবে
মূল : মাওলানা ওমর ফারুক
শ্রুতিলিখন : মিযানুর রহমান জামীল

মুহতারাম দোস্ত বুযুর্গ! আল্লাহ তাআলা আমাদের দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন আখিরাতের প্রস্তুতির জন্য। আখিরাত বানানো প্রত্যেকের দায়িত্ব। আখিরাত তৈরি হবে, তো ঈমান আমলের দ্বারাই তৈরি হবে।

প্রত্যেক ঈমানওয়ালা তার আমলী জিন্দেগীকে তৈরি করবে। যদি কেউ বলে আমি ঈমানদার; অথচ তার জীবন নাফরমানির মধ্যে কাটে তবে সে কীভাবে ঈমানদার হলো?

এ জন্য সে নিজেকে ঈমানওয়ালা দাবী করার পরও মকবুল হতে পারবে না। কারণ তার দ্বারা তো এমন এমন কাজ হয়, যার সাথে ঈমানের কোনো সম্পর্ক নেই। আর এ কারণেই সে দোযখে যাবে।

ঈমানের কাজ না করে তার বিপরীত কাজ করে সে জাহান্নামি হয়েছে। কারণ তার ঈমান ছিল ভেজালযুক্ত এবং আমল ছিল ময়লাযুক্ত। এ জন্য রাসূল সা.-এর তরিকায় মেহনত করা। দুনিয়ার মোকাবেলায় দীন যেন বিক্রী না হয়ে যায়।

রাসূল সা. ঈমানের কালেমার দাওয়াত দিয়েছেন। তিনি দাঈ হয়ে এসেছেন, শেখানেওয়ালা হয়ে এসেছেন, তালীম করনেওয়ালা হয়ে এসেছেন। আল্লাহ তাআলা রাসূল পাঠালেন উম্মতের হেদায়েতের জন্য।

তিনি নবী উম্মি ছিলেন। প্রথমে তিনি শিখলেন এবং পরে শেখালেন। কিতাবুল্লাহর তালীম করলেন, যাতে তারা জান্নাতমুখী হয়ে যায়। জাহান্নামের পথ থেকে ফিরে আসে। এ জন্য আল্লাহকে স্বীকার করার পাশাপাাশি নবীর উপরও ঈমান নিয়ে আসা।

মুহতারাম দোস্ত বুযুর্গ!
আল্লাহ তাআলা বলেন যারা ঈমানের দাবী করে তারা কি মনে করে যে এটাই তাদের জন্য যথেষ্ট হয়ে যাবে? না। বরং আল্লাহ তাদের থেকে পরীক্ষা নিবেন। পূর্বের লোকদেরও আল্লাহর পক্ষ থেকে পরীক্ষা করা হয়েছিল।

এভাবে তিনি সাব্যস্ত করবেন কে ঈমানের দাবীতে সত্যবাদী আর কে মিথ্যাবাদী! পরীক্ষায় টিকলে সে হবে ঈমানওয়ালা আর পরীক্ষা না টিকলে সে ঈমানওয়ালা হবে না।

আল্লাহ তাআলা তো ঈমানওয়ালার সাহায্য করবেন। ঈমানওয়ালা আল্লাহর সাহায্য প্রাপ্ত হবে। কারণ সে সঠিকভাবে তার ঈমানকে বৃদ্ধি করেছে। আর বেঈমান আল্লাহর কঠিন আযাবের মুখোমুখি হবে কারণ সে সঠিকভাবে তার ঈমান বৃদ্ধি করে নাই।

No automatic alt text available.

তাই ঈমানকে তৈরি করা। এমন নয় যে যেমন ইচ্ছা তেমন করবে আর ঈমানের আশা করে বসে থাকবে; বরং ঈমানওয়ালার জন্য দায়িত্ব হলো ঈমানকে বানানো। মনচাহি আমল আল্লাহর কাছে অত্যন্ত দুর্বল আমল।

মনচাহি আমল করার দ্বারা বান্দা ঈমানের পরীক্ষা টিকতে পারবে না এবং কবরে প্রশ্নের জবাব দিতে পারবে না।

ততক্ষণ পর্যন্ত কোনো লোক ঈমানওয়ালা হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ ঈমানের ব্যাপারে যে শিক্ষা দিয়েছেন সে শিক্ষা অনুযায়ী মেহনত করা না হবে।

যদি কাউকে বলা হয় যে আপনি কি সুন্দর নামাজের মেহনত করেছেন? তখন সে বলে যা পারি তা দিয়ে নামাযটা পড়ে নিলাম। দেখা যাবে সে আর পরীক্ষা টিকতে পারবে না।

যেমন কেউ পরীক্ষার হল থেকে বের হওয়ার পর তাকে যদি জিজ্ঞাসা করা হয় তুমি কী পরীক্ষা দিয়েছ? যদি সে বলে যেটুকু পারি সেটুকুই দিয়েছি। যদি বলা হয় সেটা কী? তবে সে আর উত্তর দিতে পারবে না। এর দ্বারা বুঝা গেলো সে পরীক্ষায় পাশ করতে পারেনি।

তাই চেষ্টা করে আল্লাহর থেকে আশা করতে হবে যে তিনি যেন আমাকে আমলের উপর উঠিয়ে দেন। কারণ আমি তো আমল করে রহমতের আশা করি। রাসূল সা. বলেন আমি আমল করেও পরকালে বাঁচতে পারবো না যদি আল্লাহ আমাকে নিজ রহমতে ক্ষমা না করেন।

মুহতারাম দোস্ত বুযুর্গ!
ধোকাবাজ শয়তান ধোকা দিয়ে বলে দুনিয়া লও! দুনিয়া কামাই করো!! আজ আমরা শয়তানের ধোকায় পড়ে দুনিয়া কামাই করে আখেরাতকে ভুলে যেতে বসেছি।

শয়তানের এ কথায় যেন আমরা ধোকায় না পড়ি। শয়তান যেন আমাদের কোনোভাবেই ধোকায় না ফেলে। এ জন্য যদি আমি ঈমানওয়ালা হই তো আমার আখেরাত সফল হবে। আর আখেরাতে আল্লাহ আমাকে অনেক বেশি দান করবেন।

ঈমানওয়ালাকে শয়তান ধোকা দিতে পারে না। শয়তান আসলে ঈমানওয়ালা বলবে আমি দুনিয়া বানাবো না আখিরাত বানাবো। কারণ আমি ঈমানওয়ালা। আর এর দ্বারা আল্লাহ তাকে আখিরাতের ভালাই দান করবেন।

যে ঈমানওয়ালা সে হবে আখিরাতওয়ালা। আর যে দুনিয়াওয়ালা সে ঈমানওয়ালা হবে না। কারণ ঈমানওয়ালা হলে দুনিয়া কামাই করার সুযোগ থাকে না। আর দুনিয়াওয়ালা হলে ঈমানওয়ালা হওয়ার সুযোগ থাকে না। যেমন কাফির-মুশরিক। তাই এমন মেহনত চাই যেন আমি আল্লাহ তাআলার কাছে মকবুল হয়ে যাই।

ঈমানওয়ালা জিন্দেগী আর আমলওয়ালা জিন্দেগী তো সাহাবাদের জিন্দেগী। এ জিন্দেগী অর্জন করলে আল্লাহ তাআলা তাকে তার প্রয়োজন অনুযায়ী রিযিক দান করবেন।

এক ব্যক্তি নামায পড়ছে তার রুকু সিজদাহ সঠিকভাবে আদায় হচ্ছে না। তো বলা হয়েছে তুমি এ রকম নামায কতো দিন পড়ছ? সে বলল ৪০ বছর থেকে আমি এভাবে নামায পড়ে আসছি।

বলা হয়েছে এ অবস্থায় যদি তুমি মৃত্যুবরণ করো তবে তো তুমি নবীওয়ালা নামাযের হিসেব দিতে পারবে না। ঈমান বান্দাকে সব রকমের খারাবী থেকে ফিরিয়ে রাখে। যে নামায পড়ে এবং নামাজের মধ্যে চুরি করে তার চেয়ে আর কেউ নিকৃষ্ট চোর হতে পারে না।

রাসুল বললেন এভাবে হলেও তাকে পড়তে দাও! সে একসময় শুদ্ধ পড়বে আর চুরি করা ছেড়ে দেবে।

রাসুল সা. এক ব্যক্তির সাথে সালাম বিনিময় করে তাকে নামাজে পাঠান। সে একবার নামাজ পড়ে এলে রাসুল সা. তাকে আবার নামায পড়ার জন্য পাঠালেন। আবার পড়ে আসার পর আবার পাঠালেন। এভাবে যেতে যেতে চারবার নামাযের জন্য পাঠান।

বলা হয় রাতে এক ব্যক্তিকে দেখা গেল সে নামায পড়ছে অথচ তার নামায রাসুলের নামাজের মতো হচ্ছে না। বলা হলো আরে মিঁয়া! দেখো তো আমি ওযু করে এসে নামায পড়ি, আমার নামায হয় কিনা?’ তারা তো শেখানোর জন্য যায় নি; বরং তারা ওযু করে নামায পড়ে দেখিয়ে দিয়েছেন।

মুহতারাম দোস্ত বুযুর্গ!
সাহাবায়ে কেরাম যখন কোনো সমস্যা আসতো তখন তারা নামাযে মনোনিবেশ করতেন এবং আল্লাহর দিকে ফিরতেন। হাদীসে তো বলা হয়েছে যে ব্যক্তি নামায গুরুত্ব ও এহতেমামের সাথে আদায় করবে কেয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা তাকে পাঁচটি পুরস্কার দিবেন।

এক. দুনিয়ায় রিযিকের অভাব দূর করে দিবেন। দুই. কবর আযাব মাফ করে দেবেন। তিন. ডান হাতে আমলনামা দেবেন। চার. পুলসিরাত বিজলীর আকারে পার করাবেন। পাঁচ. বিনা হিসেবে জান্নাত দান করবেন।

এ জন্য বলা হয় আল্লাহকে রব বলে স্বীকার করতে। যে কালেমা পড়ে আল্লাহকে রব বলে স্বীকার করতে পারেনি সে ঈমানওয়ালা হতে পারে নি। যে ব্যক্তি আমলের মাধ্যমে আল্লাহর পক্ষ থেকে লেনেওয়ালা হয়েছে সে হলো ঈমানওয়ালা। আর নবীওয়ালা তরিকায় জিন্দেগী যাপন না করলে সে ঈমানওয়ালা নয়।

কবরে যখন প্রশ্ন করা হবে তোমার রব কে? তখন ঈমানওয়ালা ছাড়া এ প্রশ্নের জবাব কেউ দিতে পারবে না। কারণ ঈমানওয়ালা তো রবকে জেনে তার উপর ঈমান এনেছে।

যখন বলা হবে তোমার দীন কী? যারা দীনের উপর অটল ছিলো, দীনের দাওয়াতের জন্য কুরবানি করেছিলো। দীনের মেহনত করে মানুষকে তৈরি করেছিলো, তাদের জন্য এই প্রশ্নের জবাব দেয়া সহজ হয়ে যাবে।

যখন বলা হবে তোমার নবী কে? তখন যে নবীর তরিকায় আমল করেছিলো কেবল সে ছাড়া কেউ এ প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে না। আর তার জন্য রয়েছে পরকালীন মুক্তি আর কামিয়াবী।

এ প্রশ্নগুলোর জবাব যে দিতে পারবে না সে হবে নাকাম। সেখানেই তার হাশর শুরু হয়ে যাবে। হাশরে কেউ এক কদমও সামনে যেতে পারবে না যতক্ষণ তার নামাযের হিসেব দেওয়া হবে না।

মুহতারাম দোস্ত বুযুর্গ!
কবরের মধ্যে বদকারের জীবন তার কাছে ৪০ হাজার বছরের মতো মনে হবে। আর মুমিনের কাছে মনে হবে এক ওয়াক্ত ফরজ নামাজের মতো। সেখানে মুমিন বান্দার কোনো ভোগ তো দূরের কথা পিপাসাও লাগবে না।

ঐতিহাসিকরা বলেন দুনিয়ার বয়স তো আট হাজার বছরের বেশি। নেককারের কাছে পুলসিরাত মনে হবে এক মুহূর্তের মতো। আর বদকারের কাছে হাজার বছরের চেয়েও বেশি।

বলেন যে পুলসিরাত তো ৩০ হাজার বছরের পথ। কেউ কেউ বলেন ১৫ হাজার বছরের পথ। সন্তান পুলসিরাত দিয়ে জান্নাতে যাওয়ার সময় পিতা তাকে ডাক দিয়ে বলবে আমি কি তোমার বাবা নই? তারপর ছেলে তার বাবাকে সঙ্গে নিয়ে পার হওয়ার পর দেখবে তার বাবা নেই।

কারণ তার কাছে যদিও বিজলীর মতো পুলসিরাত মনে হয়েছে কিন্তু তার পিতা তো কত আগেই কঙ্কাল হয়ে গেছে। এরপর দেখবে তার বাবার শরীর কিন্তু তাকে চেনা যাচ্ছে না। সে বলবে এ তো আমার বাবা নয়।

বাবা নেককারদের দলভুক্ত না হওয়ার কারণে সন্তান তাকে জান্নাতে নিতে পারবে না। তখন আল্লাহ তাআলা সন্তানের দিল থেকে পিতার মোহাব্বত বের করে তাকে জান্নাত দিয়ে দেবেন।

সেখানে দস্তরখান নিয়ে দাড়ানো অবস্থায় তাকে সম্মান প্রদর্শন করবে ৮০ হাজার গিলমান। জান্নাতে সে আল্লাহকে সেভাবে দেখবে যেভাবে পূর্ণিমার চাঁদ দেখা যায়। জান্নাতিরা সেখানে আল্লাহর সাথে কথা বলবে।

আল্লাহ বলবেন তোমরা কি আমার উপর সন্তুষ্ট হয়েছ? তখন জান্নাতিরা সন্তুষ্ট হওয়ার আওয়াজ দিয়ে বলবে এতো সুন্দর চেহারা দিলেন তারপরও কি সন্তুষ্ট থাকবো না? আল্লাহ বলবেন আরও দেব। তারা বলবে আমাদের আর দরকার নেই।

আল্লাহ বলবেন আমি তোমাদের উপর চিরদিনের জন্য রাজী হয়ে গেলাম, আর কোনো দিন তোমাদের উপর নারাজ হবো না। তোমরা আখিরাতে যেমন ইচ্ছে তেমন করে চলবে। যা মনে চাইবে, যা কিছু কল্পনায় আসবে সব কিছু পেয়ে যাবে।

যে মেহনত দ্বারা দীনের ভেতরে আখেরাত বসে যায় সে মেহনতই কামিয়াবির মেহনত। এ জন্য কালিমা নামাযের সাথে রোজা হজ্জ ও যাকাতের দায়িত্ব আদায় করা। আর এভাবে করার দ্বারা দিলের মধ্যে ঈমানের নূর চলে আসবে।

এ জন্য মনচাহি জিন্দেগী বাদ দিয়ে সাহাবাদের মতো জিন্দেগী যাপন করতে হবে। সাহাবাদের জিন্দেগী আমাদের জীবন গড়ার নমুনা।

মুহতারাম দোস্ত বুযুর্গ
ওমর ইবনুল আস রা. মিশর জয় করলে মিশরবাসী এসে তাকে বলল, আমাদের এখানে বছরে একবার নীলনদ শুকিয়ে যায়। তখন আমাদের জন্য বেঁচে থাকা কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়।

আমরা এ থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য প্রতি বছর আমাদের পরিবার-পরিজনের মধ্য হতে এক রূপসী কণ্যাকে মাসের ১২ তারিখে বলি দিয়ে থাকি। এর দ্বারা নীল নদে আবার জোয়ার আসে। আর আমরা সেখান থেকে আমাদের জীবিকা নির্বাহ করি। কারণ এ নদী আমাদের জীবন যাপনের মাধ্যম।

১ম পর্বের হেদায়েতি বয়ান; মাওলানা আব্দুল মতিন

শুনে হযরত ওমর ইবনুল আস রা. বললেন ইসলামে এ কুপ্রথার কোনো স্থান নেই। তোমরা যা করছো তা ঠিক নয় কুসংস্কার। তারপর ওমরের নিকট এ ব্যাপারে চিঠি পাঠানো হয়। তিনি নীল নদে চিঠি লিখেন।

লেখা ছিলো ‘আমি ওমরের পক্ষ থেকে হে নীল নদ! যদি তুমি তোমার মন মতো প্রবাহিত হও; তবে তোমার প্রবাহিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। আমি আল্লাহর কাছে দরখাস্ত করছি যেন তিনি তোমায় প্রবাহিত করে দেন’। তারপর চিঠি ফেলা হয় নীল নদে এবং জোয়ার এসে নদী পরিপূর্ণ হয়ে যায়।

মুহতারাম দোস্ত বুযুর্গ
আমরা ঈমান আমলের উপর জমে থাকি। মৃত্যুর পর আল্লাহর কাছে যতই অনুনয়-বিনয় করা হোক না কেন, বান্দার জন্য কবরের জীবন থেকে দুনিয়ায় আসার সুযোগ নেই। আমরা আমল শিখবো ইলমওয়ালার কাছে। আর সে ইলম তো নাকাম যে ইলম দ্বারা ফায়দা উঠানো হয় না।

ইলম তো সেই জিনিস, যে জিনিস দ্বারা ফায়দা উঠানো হয়। ইলমহীন আমল গোমরাহী আর আমলহীন ইলম নাকাম। আমলের জন্য ইখলাস শর্ত। জিন্দেগী ও বন্দেগীর আমল পরিপূর্ণ হবে ঈমান এবং ইখলাসের হলে।

দাওয়াতের মাধ্যমে ঈমানের মেহনত জিন্দা করতে হবে। ঈমান আমলের-মোজাকারার দ্বারা ঈমানী পরিবেশ তৈরি হয়। এ মেহনত করতে গেলে ঝড়-ঝাপটা আসবে।

সুতরাং আল্লাহর রাজী-খুশির জন্য বিভিন্ন হেকমত অবলম্বন করে কাজ করতে হবে। মউতের সময় জান্নাতের রাস্তা সহজ করে দেবেন। এ দাওয়াতওয়ালা মেহনত করতে হবে এবং আহলে ইলমের নিকট আসা-যাওযা করতে হবে।

হযরতজী ইউসুফ রহ. বলেন আলেমের নিকট যাওয়াকে সবচেয়ে বড় ইবাদত মনে করবে। আর আল্লাহর ওয়াদা আছে তোমরা যদি আল্লাহর দীনের সাহায্য করো তো আল্লাহও তোমাদের সাহায্য করবেন এবং তোমাদের কদমকে দীনের উপর মজবুত করে দেবেন।

ইনশাআল্লাহ আমরা নিয়ত করি চার মাসের। এ চার মাসে তো আল্লাহ মায়ের গর্ভে সন্তানের রূহ দান করেন। আমরাও যদি আল্লাহর রাস্তায় বের হয়ে চার মাস সময় দিয়ে দীনের উপর জমে থাকি তাহলে আল্লাহ তাআলা আমাদের ঈমানের মধ্যেও রূহ দান করবেন।

আল্লাহ আমাদের সকলকে তার দীনের উপর জমে থাকার তাওফিক দান করুন।

ইজতেমা উপলক্ষ্যে প্রকাশিত বিশেষ বুলেটিন দৈনিক বিশ্ব ইজতেমার সৌজন্যে

এটিও পড়ুন: ভাঙছে বিভেদ; ইজতেমায় মুফতি ফয়জুল করীম


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ