বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৩ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ৮ শাওয়াল ১৪৪৫

শিরোনাম :
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে ইসির নতুন নির্দেশনা ইরান সার্বভৌমত্ব রক্ষা করে পরিস্থিতি সামাল দিতে সক্ষম: চীন বান্দরবানে দুর্গম পাহাড়ে অভিযানে কুকি-চিনের ৯ সদস্য গ্রেফতার আজমিরীগঞ্জে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের কমিটি গঠন উদীচীর কর্মকাণ্ডে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিব্রত: ডিএমপি অনলাইন নিউজ পোর্টালের বিজ্ঞাপন নীতিমালা শিগগিরই বাস্তবায়ন : তথ্য প্রতিমন্ত্রী ইরানের হামলা ঠেকাতে ইসরায়েলকে সহায়তা করা নিয়ে যা বলছে সৌদি মিয়ানমারের আরও ১৩ সীমান্তরক্ষী পালিয়ে বাংলাদেশে শাইখ যাকারিয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারে যোগদান করলেন মুফতি মকবুল হোসাইন কাসেমী খুলনায় ইসলামী ছাত্র আন্দোলন নেতার হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার

স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে ১২ পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ডেস্ক: দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত এবং তার ভাইকে মারপিটের ঘটনায় একটি পুলিশ ক্যাম্পের ১২ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার বাইনতলা পুলিশ ক্যাম্পে এই ঘটনা ঘটে।

প্রত্যাহার করা পুলিশ সদস্যদের মধ্যে ক্যাম্পের উপপরিদর্শক (এসআই) তরিকুল এবং  কনস্টেবল মো. নাঈম, মামুন, রিয়াজ, আবির ও জাহিদের নাম  জানা গেছে।

খুলনা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রশিদ জানান, বটিয়াঘাটার আমীরপুর ইউনিয়নের দশম শ্রেণির এক ছাত্রী সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কোচিং সেন্টার থেকে বাসায় ফিরছিল। এই সময় ক্যাম্পের কয়েকজন পুলিশ ছাত্রীকে লক্ষ্য করে আপত্তিকর মন্তব্য করে।

ঘটনা শুনে ওই ছাত্রীর ভাই এসে ক্যাম্পে প্রতিবাদ জানায়। এই সময় কনস্টেবল নাঈমসহ অন্যরা ওই ছাত্রীর ভাইকে বেদম প্রহার করে। এই ঘটনায় এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

এলাকাবাসী  পুলিশ ক্যাম্পের সামনে জড়ো হচ্ছে- এই ঘটনা শুনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাইমুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এলাকাবাসীর দাবির মুখে পরিস্থিতি শান্ত করতে,  বাইনতলা পুলিশ ক্যাম্পের ১২ সদস্যকে প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন তিনি।

তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ঘটনা শুনে গ্রামবাসী ফাঁড়ি ঘেরাও করে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে গ্রামবাসীর ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে।

আমীরপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান গোলদার মিলন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) জানান। বটিয়াঘাটা থানার ওসি মোজাম্মেল হক মামুন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়ে ঘটনাস্থলে যান এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান গোলদার মিলন বলেন, ‘পুলিশের সাথে সাধারণ জনগণের গোলমাল চলছে শুনে ঘটনাস্থলে যাই। এরপর ওসির সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। তবে এ ধরনের ঘটনা খুবই দুঃখজনক।’

ওই ছাত্রীর বাবা বলেন, ‘আমার মেয়ে স্কুলে যাতায়াতের সময় প্রায়ই ওই পুলিশ কনস্টেবলরা উত্ত্যক্ত করে আসছিল। আমার ছেলে প্রতিবাদ জানালে পাঁচ কনস্টেবল মিলে তাকে বেদমভাবে মারপিট করে আহত করেছে। তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’

গ্রামবাসী খলিলুর রহমান বলেন, ‘ঘটনাটি সত্য। পুলিশ এভাবে উত্ত্যক্ত করলে সাধারণের জায়গা কোথায়’। খবর এনটিভি অনলাইন।

এসএস/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ