শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ।। ১৫ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৯ রমজান ১৪৪৫


হে বাঙলার যুবক! বাঙলার এক প্রান্ত থেকে তোমাদের জানাই আন্তরিক ভালোবাসা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুফতি হাবিবুর রহমন মিছবাহ
প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল, মারকাযুত তাকওয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, ঢাকা

মাঝে মাঝে যুবকদের কর্মোদ্দীপনা দেখে নিজেও অনুপ্রাণিত হই। যুবকরা যেভাবে দীনের পথে এগিয়ে আসছে তাতে নাস্তিক্য শক্তি খর্ব হবেই ইনশাআল্লাহ। যুবকরা এখন গানের আয়োজন করে না। পহেলা বৈশাখে মাহফিল করে।

কথিত ভালোবাসা দিবসে ইসলামী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করে। যুবকরা টাখনুর উপর পাজামা পড়ছে। নামাযে যাচ্ছে আযানের সাথে সাথেই। সালাম বিনিময় বেড়েছে।

যাত্রা বা নাচ-গানে এখন আর আগের মতো লোকজন যায় না। যারাও যায়, তাদের অধিকাংশ দীন সম্পর্কে কিছুই জানে না। ইদানীং মাহফিলগুলিতে জরিপ করছি- ময়দানের ৮০ শতাংশ জায়গা অবিবাহিত যুবক এবং বিবাহিত অনুর্ধ্বো চল্লিশ বছরের যুবকদের দখলে থাকে।

দীন শেখার প্রতি তাদের আগ্রহ বেড়েছে। জানতে চায় ইসলামের খুঁটিনাটি। মোটামুটি হক-বাতিলও ফরক্ব করতে পারে ওরা। হে বাঙলার যুবক! বাঙলার এক প্রান্ত হতে তোমাদের জানাই আন্তরিক ভালোবাসা।

বৃষ্টির কারণে মাহফিলটা চাহিদা মাফিক জায়গায় করতে পারেনি। তাতে কি? যেখানে করেছে সেখানটাও ফেলে দেবার মতো নয়। আয়োজনটা বেশ ভালো ছিলো। বয়ানে ওঠলাম। উপস্থাপক বললো, প্রধান অতিথিকে ক্রেস্ট/সম্মাননা তুলে দিবে আলোকিত যুব সমাজের সদস্যবৃন্দ।

সম্মাননা বা ক্রেস্ট সবসময়ই উপভোগ্য বিষয়। এসব সম্মাননা মানুষকে দায়িত্ব সম্পর্কে বোধ ও সচেতনতা বাড়িয়ে দেয়। উৎসাহ যোগায় ভবিষ্যত পথচলার।

চিত্রে থাকতে পারে: 6 জন ব্যক্তি, ব্যক্তিগণ হাসছেন, ব্যক্তিগণ দাঁড়িয়ে রয়েছেন

বলছিলাম নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী এলাকার 'আলোকিত যুব সমাজ'র উদ্যোগে আয়োজিত মাহফিলের কথা। ০৬/০১/১৮ তিনটা মাহফিল ছিলো আমার। এটা ছিলো প্রথম। বাদ মাগরিব থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত বয়ান। কিন্তু লোকজনের উপস্থিতি, যুবকদের ভালোবাসা ও আবেগকে সম্মান জানিয়ে আরো ২০মিনিট বেশী সময় দেই। বয়ান করেছিলাম যুবকদের যৌবন নিয়ে।

যৌবন আল্লাহ তাআলার পক্ষ হতে একটা পরীক্ষা। যৌবনের তারণায় বিপথগামী হলেই পরীক্ষায় ফেল! পরিণাম জাহান্নাম। যতো বিপদই আসুক না কেনো, বিচলিত হওয়া যাবে না। ধর্য ও নামাযের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতে হবে।

২য় মাহফিল ছিলো নোয়াখালীর সেনবাগের ডুমুরিয়ায়। গোছালো আয়োজন। বাদ এশা বয়ান আমার। বয়ান করেছিলাম মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে। বর্তমান নাস্তিকদের অপপ্রচারের জবাবও দিয়েছি। প্রতিবাদ করেছি মুক্তিযুদ্ধে ওলামায়ে কেরামের ভূমিকা নিয়ে মিডিয়ার বিকৃত বক্তব্যেরও। প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সূচনা ইসলামী চেতনায়ই হয়েছিলো।

শেষ মাহফিল রাত ১০.৩০-টায়। যথা সময়ের পূর্বেই উপস্থিত হই। মাহফিলটা ছিলো নাঙ্গলকোটের উল্লাখালী। বয়ান করেছি আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা ও কৃত অপরাধের অনুতপ্ততা নিয়ে।

প্রত্যেকটি প্রোগ্রামই ছিলো সফল প্রোগ্রাম আলহামদুলিল্লাহ। যুবকদের কর্মোদ্দীপনা ও মুরব্বীদের পরামর্শে এভাবেই একদিন উঁচু হবে ইসলামের ঝান্ডা ইনশাআল্লাহ। কবূল করার মালিক আল্লাহ।

লেখকের ফেসবুক টাইমলাইন থেকে

এসএস/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ