শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ।। ১৫ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৯ রমজান ১৪৪৫


রুপা ধর্ষণ ও হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ডেস্ক: টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে বহুজাতিক কোম্পানির কর্মী রুপা খাতুনকে গণধর্ষণ ও হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ গতকাল বুধবার শুরু হয়েছে। সাক্ষ্য দেন মামলার বাদী মধুপুরের অরনখোলা পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম।

রাষ্ট্রপক্ষ মামলার বাদী আমিনুল ইসলামসহ নয়জন সাক্ষীকে হাজির করলেও সময়ের স্বল্পতার কারণে শুধু বাদীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।

টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) এ কে এম নাসিমুল আক্তার জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে থাকা প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবুল মনসুর মিয়া বেলা ১১টায় এজলাসে উঠে প্রথমেই চাঞ্চল্যকর এ মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু করেন। মামলার বাদী এসআই আমিনুল ইসলাম সাক্ষ্য দেন।

এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী শামীম চৌধুরী আদালতে একটি আবেদনে জানান, আসামি জাহাঙ্গীরের বয়স অভিযোগপত্রে ১৯ বছর উল্লেখ করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে জাহাঙ্গীরের বয়স ১৭ বছর। আবেদনের সঙ্গে জন্মসনদের ফটোকপিও দাখিল করেন। তিনি জাহাঙ্গীরকে শিশু হিসেবে পৃথক আদালতে বিচারের দাবি জানান।

পরে এ বিষয়ে যাচাই-বাছাইয়ে জন্য দুই ঘণ্টা আদালত মুলতবি করা হয়। পরে আদালতের সেরেস্তাদার ও কোর্ট পুলিশ যাচাই–বাছাই করে জন্মসনদটির সত্যতা পাননি।

বেলা একটায় ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবার এ মামলার বিচারকাজ শুরু করেন। আদালত আসামিপক্ষের করা আবেদনটি খারিজ করে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু করেন।

বাদীপক্ষে সরকারি কৌঁসুলি ছাড়াও তিন আইনজীবী এস আকবর খান, আবদুল করিম ও আতাউর রহমান আজাদ শুনানিতে অংশ নেন।

প্রথমেই মামলার বাদী উপপরিদর্শক আমিনুল সাক্ষ্য দেন। এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী দেলোয়ার হোসেন ও শামীম চৌধুরী সাড়ে তিন ঘণ্টা বাদীকে জেরা করেন।

সময়ের স্বল্পতার কারণে বাকি সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়নি। আগামী রোববার ও সোমবার আটজন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে বলে আদালত সূত্র জানিয়েছে।

সাক্ষ্য গ্রহণকালে মামলার পাঁচ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়।

গত ২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে রুপা খাতুনকে চলন্ত বাসে পরিবহনশ্রমিকেরা ধর্ষণ করে। পরে তাঁকে হত্যা করে টাঙ্গাইলের মধুপুর বন এলাকায় ফেলে রেখে যায়।

পুলিশ ওই রাতেই লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় অরণখোলা পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে মধুপুর থানায় মামলা করেন। খবর প্রথম আলো।

এসএস/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ