বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১১ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শিরোনাম :
‘মানতিক; যুগের চাহিদার সাথে মিলে না’ এ ধরেণের কথা অযৌক্তিক: মুফতি হিফজুর রহমান দাওরায়ে হাদিসের ফলাফল নজরে সানীর আবেদনের সময় বাকি ৩ দিন  বৃষ্টি প্রার্থনায় জামিয়াতুল আবরার রাহমানিয়ায় ‘সালাতুল ইস্তিসকা’  আদায় হাসপাতালে সৌদি বাদশাহ সালমান সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত পাঠ্য তালিকার সাথে বেফাকের পাঠ্য তালিকার সম্পর্ক নেই: বেফাক সৈয়দপুরে তাপদাহে অতিষ্ঠ মানুষ, ‘হিটস্ট্রোকে’ ১ জনের মৃত্যু স্বর্ণের দাম আরও কমলো, ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ১৫১ টাকা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান ইরান-পাকিস্তানের ঢাবিতে বৃষ্টির জন্য ‘সালাতুল ইসতিস্কা’র অনুমতি দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ‘বৃষ্টির জন্যে সালাত আদায় করলেই অবশ্যম্ভাবী বৃষ্টি চলে আসবে—বিষয়টা তা নয়’

শরীয়তপুরে শিশু ধর্ষণ; গর্ভপাতের সময় অন্তঃসত্ত্বা শিশুর মৃত্যু

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মো. আশরাফ, শরীয়তপুর প্রতিনিধি: গোপনে গর্ভপাত করানোর সময় ধর্ষণের শিকার অন্তঃসত্ত্বা এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট উপজেলার চর মহিসকান্দি গ্রামে বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।

পরে ওই শিশুর লাশ মাটিচাপা দিয়ে গুম করার সময় পুলিশ দুজনকে আটক করেছে।

শিশুটির নাম তাসলিমা আক্তার (১৩)। সে এবার চরমহিসকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা দিয়েছিলো। তার বাবার নাম ইউসুফ খান।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবেশী নুর ইসলাম মাদবর (৫৫) মোবাইল ফোনে গেম দেখানোর প্রলোভন দেখিয়ে সম্প্রতি তাসলিমাকে ধর্ষণ করেন।

কিন্তু ভয়ে বিষয়টি সে পরিবারকে জানায়নি। এতে তাসলিমা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। গত সোমবার নুর ইসলামের স্ত্রী আয়েশা বেগম তাঁর বাবার বাড়িতে তাসলিমাকে বেড়াতে নিয়ে যান।

গতকাল দুপুরে কুচাইপট্টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্রের পরিবারকল্যাণ পরিদর্শক মাজেদা বেগমের বাড়ির পাশের কোদালপুর ভুলু সরদার কান্দি গ্রামের নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে শিশুটির গর্ভপাতের চেষ্টা করা হলে তার মৃত্যু হয়।

পরে রাতে লাশ কুচাইপট্টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। লাশ মাটিচাপা দেওয়ার উদ্দেশ্যে ওই কেন্দ্রের পাশে গর্তও করা হয়। এমন সময় পুলিশ খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে লাশটি উদ্ধার করে।

এ সময় ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিবারকল্যাণ পরিদর্শক মাজেদা বেগম ও তাঁর ভাই আমিরুল ইসলামকে হাতেনাতে আটক করে পুলিশ।

পুলিশ মিডিয়া কর্মিদের জানায়, আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

নিহত শিশুটির বাবা ইউসুফ খান বাদী হয়ে গোসাইরহাট থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলায় নুর ইসলাম, তাঁর স্ত্রী আয়েশা বেগম, তাঁর ভাইয়ের স্ত্রী নাছিমা বেগম, স্বাস্থ্যকল্যাণ পরিদর্শক মাজেদা বেগম ও তাঁর ভাই আমিরুল ইসলামকে আসামি করা হয়েছে।

তাঁদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, অবৈধ গর্ভপাত, হত্যা ও লাশ গুমের অভিযোগ আনা হয়েছে। চরমহিসকান্দি গ্রামের সাধারন লোক মনে করেন, ‘ভারতীয় নোংরা মিডিয়ার প্রভাবে সামাজিক অবক্ষয়ের দরুন দিন দিন এরকম নোংরা ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

তারা বলেন, আমরা এর দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি জানাচ্ছি।' গোসাইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদি মাসুদ মিডিয়া কর্মিদের বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আটক দুজনকে শুক্রবার আদালতে পাঠানো হবে। বাকি তিনজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

শরীয়তপুর জেলার ইতিহাস-ঐতিহ্য নিয়ে গ্রন্থ রচনার উদ্যোগ

এসএস/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ