সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ ।। ৮ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৩ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে ক্ষোভ, প্রতিবাদ জানালেন শায়খ আহমাদুল্লাহ বিবাহ একটি ইবাদত, এর পবিত্রতা রক্ষা করা জরুরি নারী অধিকার কমিশনের সুপারিশে আলেম প্রজন্ম-২৪-এর আপত্তি  জুলাই-আগস্টের ত্যাগের পরও কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ পাইনি: মির্জা ফখরুল নারীবিষয়ক সুপারিশগুলো কোরআন-হাদিসের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন: জামায়াত আমির ‘১৬ বছরের জঞ্জাল দূর না করে নির্বাচন দিলে সমস্যা সমাধান হবে না’  প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা সরকারি নিবন্ধন পেল সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘কলরব’ ‘সিরাহ মিউজিয়াম’ চালু করছেন মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী মহাসমাবেশ সফল করতে যেসব কর্মসূচি নিয়েছে হেফাজত

বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না কুমিল্লা বোর্ডের; পরীক্ষা ছাড়াই চার শিক্ষার্থী পাস

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

শাহনূর শাহীন: বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের। বিতর্ক এখন কুমিল্লা বোর্ডের নিত্যসঙ্গী। গত বছর এসএসসি পরীক্ষায় ফল বিভ্রাট ঘটায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছিলো কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড।

উল্টাপল্টা ফলাফলে বিতর্ক সৃষ্টির ধারাবাহিকতায় এবারের পিইসি পরীক্ষায় কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডে ঘটেছে এক অবিশ্বাসী ঘটনা। পরীক্ষা না দিয়েই পাস করেছে চার পরীক্ষার্থী।

গত শনিবার সারা দেশে একযোগে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা ২০১৭-এর ফলাফল প্রকাশিত হয়। এতে কুমল্লিা বোর্ডের ফলাফলে দেখা যায় চার শিক্ষার্থী পরীক্ষা না দিয়েই পাস করেছে।

গতকাল বুধবার এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মহলে ব্যাপক সমালোচনা ও তোলপার সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থী প্রকাশিত ফলাফল অনুযায়ী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করেও পাস করেছে।

উপজেলার বেতিয়ারা, মুন্সিরহাট ও পদুয়া দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করেই পাস করে।

এরা হচ্ছে- উপজেলার জগন্নাথদীঘি ইউনিয়নের বেতিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র এবায়দুল হোসেন, তার রোল নং- ৭৬৮২, প্রাপ্ত জিপিএ-৩.৫৮, মোট নম্বর ৩৭৮; মুন্সিরহাট ইউনিয়নের মুন্সিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী মোসা. সাথি আক্তার, তার রোল নং- ৪৪৭০, প্রাপ্ত জিপিএ-২.৫০, মোট নম্বর ৩০৫; আলকরা ইউনিয়নের পদুয়া দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী আয়শা আক্তার, তার রোল নং- ৮১৮৯, প্রাপ্ত জিপিএ-২.৩৩, মোট নম্বর ২৯০ এবং একই স্কুলের নুসরাত জাহান, তার রোল নং- ৮১৯০, প্রাপ্ত জিপিএ-২.২৫, তার মোট নম্বর ২৯৩।

উল্লেখ্য, গতবছর এসএসসি পরীক্ষায় সব বিষয়ে জিপিএ ফাইভ পেয়েও বহু শিক্ষার্থী এক বিষয়ে ফেল করে। যেটা মেনে নিতে পারেননি শিক্ষক-শিক্ষার্থী কিংবা অভিভাবক মহলের কেউ।

কারণ, বিভিন্ন বিদ্যালয়ের মেধাবী ও প্রথম সারীর শিক্ষার্থীদের এমন অবিশ্বাস্য ফলাফল ছিলো অপ্রত্যাশিত। শিক্ষক-শিক্ষারী্দের কেউ কল্পনাও করতে পারেনি তারা ফেল করবে।

শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দাবি তাদের কেউ ফেল বা অকৃতকার্য হওয়ার মতো শিক্ষার্থী নন। সব বিষয়ে এ প্লাস পাওয়া শিক্ষার্থীরা কিছুতেই এক বিষয়ে অকৃতকার্য  হওয়ার ফলাফল মেনে নিতে পারেনি।

এ নিয়ে গত বছর শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মহল কুমিল্লা  বোর্ডের অব্যস্থাপনা এবং মূল্যায়ন ত্রুটিকে দায়ি করে  ব্যাপক ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করে।

এসএস/


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ