শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৭ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১১ শাওয়াল ১৪৪৫


উমরার পর শেষ কথাই সত্যি হলো

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

অনলাইন ডেস্ক: ‘আমার ভালো লাগছে না, বোধহয় বেশি দিন বাঁচব না। সবাই আমাকে ক্ষমা করে দেবেন।’

সৌদি আরবের মক্কায় পবিত্র উমরা পালন শেষে শ্বশুরের কাছে এভাবেই ফোনে শেষ কথা বলেছিলেন তানিয়া হোসেন (৩৫)।

সেই তানিয়া ও তাঁর দুই শিশুসন্তান আর ফিরবে না পরিবারের কাছে। সৌদি আরবে এক সড়ক দুর্ঘটনায় ইন্তেকাল করেছেন তানিয়া হোসেন, তাঁর দুই ছেলে ইউসা হোসেন (৭) ও আযান হোসেন (৩)। হাসপাতালে মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন তানিয়ার স্বামী কামরুল ইসলাম নিলয়।

গত বৃহস্পতিবার রাতে উমরা পালন করে পবিত্র নগরী মক্কা থেকে মদিনায় যাওয়ার পথে তাঁদের বহনকারী প্রাইভেটকার খাদে পড়ে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনার পর থেকে তানিয়া ও নিলয়ের পরিবারে চলছে শোক। মা ও দুই ছেলের মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না দুই পরিবারের কেউই।

তানিয়ার স্বজনরা জানান, ১০ বছর আগে তানিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় নিলয়ের। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার তারুয়া গ্রামের শালুকপাড়ার ইলিয়াস মাস্টারের ছেলে নিলয়। আর তানিয়ার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের মুন্সেফপাড়া মহল্লায়।

বিয়ের পরপরই তানিয়াকে নিয়ে ইতালিতে পাড়ি জমান নিলয়। সেখানেই একটি শিপইয়ার্ডে ঠিকাদারের কাজ করতেন। গত ২৭ ডিসেম্বর স্ত্রী-সন্তান নিয়ে উমরা পালনের জন্য সৌদি আরব যান নিলয়।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে নিলয়ের বাবা ইলিয়াস মাস্টার বলেন, ‘তানিয়া আমাদের সবার খুব আদরের বউ ছিল। তানিয়া ও তাঁর দুই ছেলের মরদেহ যেন পবিত্র নগরীতেই দাফন করা হয়। সৌদি আরব সরকারের কাছে আমরা এই দাবি জানাই।’

নিহতদের মরদেহ মক্কার আল-হেরা ও আল-নূর হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেদ্দা কনস্যুলেটের লেবার কাউন্সেলর আমিনুল ইসলাম।

দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে এখনো স্পষ্ট কোনো বক্তব্য পাওয়া না গেলেও সৌদি প্রবাসী কয়েকজন বাংলাদেশি জানান, উমরা পালন শেষে নিলয় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মদিনা যাচ্ছিলেন। পাহাড়ি পথে প্রাইভেটকারের চাকা ফেটে তা রাস্তার পাশে খাদে পড়ে যায়। এতেই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

সুত্র: এনটিভি অনলাইন।

এসএ্স/

 


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ