শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৬ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১০ শাওয়াল ১৪৪৫


জোর করে স্বাধীনতার ঘোষক বানানো যায় না: আব্দুল্লাহ আল নোমান

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, ২৬ মার্চ  শহীদ জিয়াউর রহমানের কন্ঠ থেকেই স্বাধীনতার ঘোষণা শুনে দেশের অপমার মুক্তিকামী জনতা স্বাধীনতা আন্দোলনো ঝাপিয়ে পড়েছিলো

৭ই মার্চে শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ স্বাধীনতার জন্য প্রেরণাদায়ক ছিলো কিন্তু সেদিনের সমাবেশ ছিলো প্রতিবাদ সমাবেশ। তিনি ভাল বক্তব্যও রেখেছিলেন। বলিষ্ঠ বক্তব্য আর সিদ্ধান্ত এক জিনিস নয়। জিয়াউর রহমান তো ভাল বক্তৃতা দিতে জানতেন না। কিন্তু তিনি যথাসময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।

সুতরাং জোর করে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর কোন প্রয়োজন নেই। বীরউত্তম জিয়াউর রহমানই স্বাধীনতার ঘোষক। আওয়ামী লীগের তাজউদ্দিনসহ অনেক নেতাদের লেখার মধ্যেও এটা স্পষ্ট হয়েছে। এটা অস্বিকার করার কোনো ‍সুযোগ নেই।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বন্ধু দল এর উদ্যোগে গতকাল ৩০ ডিসেম্বর শুক্রবার সকাল ১০.৩০টায় ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন মিলনায়তনে মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বীরউত্তম জিয়াউর রহমানের অবদান ও আজকের বাংলাদেশ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আব্দুল্লাহ আল নোমান এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ১৬ ডিসেম্বরের বিজয়কে ছিনিয়ে আনতে হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধারা জীবন দিয়েছেন এবং মা বোনদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমাদের এই অর্জন। শহীদ জিয়াউর রহমানের কন্ঠ থেকে সেদিন স্বাধীনতার ঘোষণা আওয়ামী লীগের আজো সহ্য হয় না।

কারণ তারা সেদিন স্বাধীনতা ঘোষণার চিন্তা করেনি। সেদিন যদি স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণা না হতো তাহলে দেশে গৃহযুদ্ধ বেধে যেতো। সেদিন তো ঢাকা মুক্ত ছিল এবং আওয়ামী লীগের বড় বড় নেতারা ঢাকায় অবস্থান করছিলো।

নোমান বলেন, জনবিচ্ছিন্ন একটি নির্বাচন করে তারা আবারো ক্ষমতায় যাওয়ার চিন্তা করছে। তারা বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করছে। তারা যতই নির্যাতন করুক, তারা কখনোই ক্ষমতায় যেতে পারবে না। দেশে আর কোন ভোটারবিহীন নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।

তিনি বলেন, জিয়া আমাদের মাঝে নেই। তার জাতীয়তাবাদী আদর্শ আমাদের কাছে আছে। এই আদর্শ ধরে রাখতে হবে। সুবিধাবাদীদের রাজনীতি মানুষ ত্যাগ করেছে। গুম-খুনের রাজনীতি যারা করে তারা কখনো জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার দিতে পারে না। তিনি দেশবাসীকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ২০১৮ সাল হবে গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার প্রাপ্তির বছর।

প্রধান বক্তার আলোচনায়- এড. সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, এদেশের সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বারবার আদালতের কাঠগড়ায় দাড় করিয়ে যে দম্ভ দেখাচ্ছেন ব্যালট বিপ্লবের মাধ্যমে এই দম্ভ চূর্ণ হবে। জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস। এদেশে জনগণ আবার ক্ষমতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার হাতে তুলে দেবে।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বন্ধু দলের সভাপতি শরীফ মোস্তফাজামান লিটু’র সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, এনডিপি’র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহ সভাপতি খবির উদ্দিন রেজা, ইঞ্জিনিয়ার জসীম উদ্দিন সরকার, সংযুক্ত আরব আমিরাতের সভাপতি নীল রতন দাস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার এইচ.এম আমিনুর রহমান, মো. জাহিদ হাসান, সোবহান মাস্টার, মহিলা সম্পাদিকা জাহানারা বেগম, মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হানিফ মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক কাউসার হামিদ, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, শামসুন্নাহার স্বপ্না প্রমুখ।

এসএস/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ