শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৭ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১১ শাওয়াল ১৪৪৫


আমার বক্তব্য খণ্ডিত করে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে : শিক্ষামন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওযার ইসলাম : শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, আমার কিছু হারানোর নেই। নতুন করে পাওয়ারও নেই। আমি বিনয়ী কিন্তু নীতিগত দিক থেকে অবিচল। কেউ যদি আমাকে অসহায় মনে করেন-তবে তা হবে অন্যায়। আমার বক্তব্য খণ্ডিত করে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে।

বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমে ঘুষ-দুর্নীতিতে ছিল আকণ্ঠ নিমজ্জিত। সেই সময় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধিনস্ত পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা স্কুল-কলেজ পরিদর্শনে গিয়ে আসহায় শিক্ষক-কর্মচারীদের কাছে ভয় দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা ঘুষ আদায় করার সময় বলতো-এর ভাগ ওপরেও দিতে হয়। শিক্ষক-কর্মচারীরা বাধ্য হয়েই ঘুষ দিতেন। স্বাভাবিকভাবেই ঘুষ প্রদানকারীরা মনে করতো শুধু অফিসাররা চোর নয়, মন্ত্রীও চোর। সেটি বোঝাতে আমি এমন কথা বলেছি।

শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, বর্তমান সরকারের বিভিন্ন ইতিবাচক পদক্ষেপের ফলে শিক্ষা খাতের দুর্নীতি বিশ্বের তুলনায় অনেক কম। বর্তমানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনেক অঙ্গ সংগঠন দুর্নীতিমুক্ত হয়েছে। ঘুষ-দুর্নীতি প্রতিরোধে আমাদের জিরো টলারেন্স নীতি অব্যাহত আছে ও থাকবে।

নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, শিক্ষকদের সঙ্গে আমি শ্রদ্ধাপূর্ণ ব্যবহার করে থাকি। তাই কেউ কেউ আমার অসহায়ত্বের কথা বলে থাকেন। আমি মানুষের সঙ্গে অত্যন্ত নমনীয় হলেও নীতি-আদর্শ-সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দৃঢ ও কঠোর। আমার দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে আমি অবিচল।

ঘুষ আদায়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উৎসাহের বক্তব্যে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছে- এমন বিষয় তুলে ধরলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, টিআইবি তাদের কাজ করেছে। আমি কারো বিষয়ে কোনো মন্তব্য বা দোষি করতে রাজি নই। সাংবাদিকরা শিক্ষামন্ত্রীর কাছে বিভিন্ন প্রশ্ন তুলে ধরলে তিনি বলেন, আজ আমি কোনো প্রশ্নের উত্তর দিবো না। আমার বক্তব্য আমি তুলে ধরেছি। এর বাইরে আর কিছু নাই বলে তিনি সংবাদ সম্মেলন থেকে চলে যান।


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ