সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ ।। ৭ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৩ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে ক্ষোভ, প্রতিবাদ জানালেন শায়খ আহমাদুল্লাহ বিবাহ একটি ইবাদত, এর পবিত্রতা রক্ষা করা জরুরি নারী অধিকার কমিশনের সুপারিশে আলেম প্রজন্ম-২৪-এর আপত্তি  জুলাই-আগস্টের ত্যাগের পরও কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ পাইনি: মির্জা ফখরুল নারীবিষয়ক সুপারিশগুলো কোরআন-হাদিসের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন: জামায়াত আমির ‘১৬ বছরের জঞ্জাল দূর না করে নির্বাচন দিলে সমস্যা সমাধান হবে না’  প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা সরকারি নিবন্ধন পেল সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘কলরব’ ‘সিরাহ মিউজিয়াম’ চালু করছেন মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী মহাসমাবেশ সফল করতে যেসব কর্মসূচি নিয়েছে হেফাজত

কওমি উলামাগণ ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি: মুফতি যুবায়ের আহমাদ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: রাজধানীর মানিকনগরের জহীরউদ্দীন আহমাদ ইসলামীয়া মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মুফতি যুবায়ের আহমাদ বলেছেন, ইসলামের আলোকে ১৯৭১ এ মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে। সুতরাং আমাদের সংবিধানে আজীবন ইসলাম কায়েম রাখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, কওমি উলামাগণ ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি। জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে কওমি আলেমদের কোনো সম্পর্কে ছিল না, এখনো নেই।

১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে রাজধানীর মানিকনগর জহীর উদ্দীন আহমাদ ইসলামিয়া মাদরাসার উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে মুগদা থানা ইমাম উলামা পরিষদের সভাপতি মাওলানা তাফাজ্জুল হক বলেন, একটি চক্র আলেম উলামাদের স্বাধীনতাবিরোধী আখ্যা দিতে চায়। এটা আলেমদের বিরুদ্ধে গভীর চক্রান্ত।

তিনি বলেন, আলেমগণ স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি ছিল এখনো আছে এবং থাকবে। তাদের মনে দেশের প্রতি ও দেশকে রক্ষার জন্য প্রকৃত ভালোবাসা রয়েছে।

মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মুফতি যুবায়ের আহমদের সভাপতিত্বে এবং মাওলানা ওমায়ের আহমদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন মাদরাসার সহ সভাপতি মুহাম্মদ আতিকুল্লাহ, মদিনাবাগ জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আবদুর রহমান ও মাদরাসার শিক্ষকগণ। অনুষ্ঠানে কয়েকশ মাদরাসা শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাওলানা আবদুর রহমান বলেন, অনেক কষ্টের পর পাওয়া আমাদের এই স্বাধীনতা। একে রক্ষা করতে আমার সর্বস্ব বিলিয়ে দিতে হবে।

তিনি বলেন, ১৯৭১ এ মহান মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এক ভাষণে মানুষ যুদ্ধের জন্য উদ্বুদ্ধ হয়েছে। তবে যুদ্ধের জন্য তার সঙ্গে অবদান রেখেছে লাখোও বাঙালি। কামার, কৃষক থেকে শুরু করে আলেম উলামা সবাই ছিল এ যুদ্ধের মহান সৈনিক। সুতরাং তাদের অবদান আমাদেরকে হৃদয়ঙ্গম করতে হবে।

সকাল ৯টায় শুরু হওয়া অনুষ্ঠান দুপুর ১টায় মুনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়। দীর্ঘ মুনাজাতে মাওলানা যুবায়ের আহমাদ মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণ করে তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন।

বিজয় দিবসে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বেহেশত কামনা করে মুনাজাত, অধ্যক্ষ আটক


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ