মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫ ।। ৯ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৪ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
শ্রমিকদের বিক্ষোভের মুখে নবীজিকে কটূক্তিকারী বিধান বাবু আটক ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে দিল্লিতে বিশাল প্রতিবাদ মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ডের হেফাজতের সমালোচনাকারীদের প্রতি অনুরোধ নারী সংস্কার কমিশন সরকারকে জনসমর্থনহীন করে দেবে: ইসলামী আন্দোলন অবহেলিত ও অনালোচিত ইবাদত ওয়াকফ, আসুন এর প্রতি যত্নবান হই হেফাজতের মহাসমাবেশ সফল করতে শীর্ষ ওয়ায়েজিনদের প্রস্তুতি সভা  নতুন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে কায়রোতে ইসরায়েল-হামাস আলোচনা বাজারে নজর বাড়াতে বাণিজ্য উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান পৃথিবীর জন্য আশার বাতিঘর হতে চায় বাংলাদেশ: প্রধান উপদেষ্টা মব জাস্টিস আর অ্যালাউ করা যাবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

বিল পরিশোধ করতে না পারায় লাশ দেখতে দেয়া হলো না স্বজনদের

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলম: সাভারের এনাম হাসপাতালে বিল পরিশোধ করতে না পারায় মেয়ের লাশ দেখতে দেয়া হয়নি স্বজনদের। স্বজনদের দেখতে না দিয়েই লাশটি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

নিহত মুক্তা মনির (১৫) পরিবার সূত্রে জানা যায়, মুক্তা স্থানীয় অটোরিকশাচালক মো. মকসেদের কন্যা এবং স্থানীয় রহিমউদ্দিন স্কুলের ষষ্ট শ্রেণির মেধাবী ছাত্রী।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সে মাথা ঘুরে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সাভার এনাম মেডিকেলে নেয়া হয়। ভর্তির সময় তার রিকশাচালক বাবার কাছ থেকে ১৩ হাজার টাকা নেয়া হয়। এরপর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাকে আইসিইউতে রাখার নাম করে আরও ২০ টাকা জোরপূর্বক আদায় করে।

এ সময় ওষুধের বিল বাবদ আরও ৭ হাজার টাকা আদায় করা হয়। ওষুধের বিল পরিশোধ করার পর শুক্রবার দুপুরে স্বজনদের জানানো হয় মুক্তা মারা গেছে। এরপর স্বজনদের না জানিয়ে শুক্রবার দুপুরে তড়িঘড়ি করে লাশটি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

মুক্তার মা রেশমা বলেন, ধারদেনা করে ও আটো বিক্রি করে প্রায় ৪০ হাজার টাকা এনাম মেডিকেলে দিই। কিন্তু বৃহস্পতিরার রাত থেকে তাদের কাউকে মেয়েকে দেখতে দেয়া হয়নি। তিনি বলেন, মেয়েটি ভুল চিকিৎসায় রাতেই মারা যায়। কিন্তু মেয়ে ভালো হয়ে যাবে বলে এনামের ডাক্তাররা শুধু টাকা নেন।

স্বজনরা তাকে দেখতে চাইলেও তাদের দেখতে দেয়া হয়নি। মৃত্যুর দুই দিন পার হয়ে গেলেও এখনও স্বজনরা লাশ পায়নি। শনিবার দুপুরে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই পড়ে আছে।

তবে লাশ গ্রহণকারী সাভার থানার কনস্টেবল গোলাম নবী জানান, রাতের মধ্যেই লাশের ময়নাতদন্ত শেষ হবে। পরে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

সাভার মডেল থানার এস আই সুজায়াত জানান, এনাম মেডিকেল থেকে ডাক্তারি রিপোর্ট অনুযায়ী মৃত মেয়েটি উকুন মারা ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানানো হয়।
এ বিষয় এনাম মেডিকেল কলেজের পরিচালক বলেন, রোগীকে এক রাত আইসিইউতে রাখা হয়েছেলি তাই বিল ৩৩ হাজার টাকা আদায় করা হয়।

স্বজনদের লাশ কেন দেখতে দেয়া হয়নি বা তার মৃত্যু কীভাবে হয়েছে- এ ধরনের প্রশ্ন করলে তিনি তেলেবেগুনে রেগে ওঠেন।

নিহতের ফুফু জানান, মেয়েটি ভুল চিকিৎসায় রাতেই মারা যায় কিন্তু আমাদের দেখা করতে না দিয়ে তারা টাকার জন্য লাশটি আইসিইউতে রেখে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। পরে আর টাকা দিতে না পারায় এনাম কর্তৃপক্ষ পুলিশকে ডেকে আত্মহত্যার কেস বলে লাশ পুলিশে হস্তান্তর করে।


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ