আওয়ার ইসলাম: সাংগঠনিক স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম এবং গঠনতন্ত্র পরিপন্থি কাজের অভিযোগ করে জমিয়ত মহাসচিব মাওলানা নুর হোসাইন কাসেমী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা ওবায়দুল্লাহ ফারুক ও সহসভাপতি মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফীকে জমিয়তের সকল পদ হতে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে বলে একটি বিবৃতিতে আওয়ার ইসলামকে জানানো হয়েছে।
এর আগে জমিয়তের নির্বাহী কমিটির সভায় দলটির সহসভাপতি মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাসকে নির্বাহী সদস্য পদ থেকে অব্যহতি দেয়া হয়। আওয়ার ইসলামে সে সংবাদ প্রকাশের দেড় ঘণ্টার মাথায় মুফতি ওয়াক্কাসের পক্ষ থেকে পাল্টা বিবৃতি এলো।
আজ সন্ধ্যায় পুরানাপল্টন কার্যালয়ে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরীর সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় মজলিসে আমেলার জরুরি বৈঠকে নেতৃবৃন্দ এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে জানানো হয়।
মাওলানা ওয়ালি উল্লাহ আরমান স্বাক্ষরিত আওয়ার ইসলামকে পাঠানো ও বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ২০১৫ সালের ৭ নভেম্বরের কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের পূর্বে দলের মহাসচিব পদে কাকে নির্বাচিত করা হবে এ নিয়ে কাউন্সিলরগণ দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েন।
তারপর কাউন্সিলের আগের রাতে বারিধারা মাদরাসায় ওয়ার্কিং কমিটির মিটিংয়ে এই শর্তের ভিত্তিতে সমঝোতা হয় যে, মুফতী ওয়াককাস নির্বাহী সভাপতি এবং মাওলানা নুর হোসাইন কাসেমী মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করবেন এবং ৭ নভেম্বর আজিমপুর কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে সেভাবেই পরবর্তী তিনবছরের জন্য মুফতী ওয়াককাসকে নির্বাহী সভাপতি এবং মাওলানা নুর হোসাইন কাসেমীকে মহাসচিব ঘোষণা করা হয়।
কিন্তু কাউন্সিলের পর থেকেই নবনির্বাচিত মহাসচিব মাওলানা নুর হোসাইন কাসেমী, সাংগঠনিক সম্পাদক ওবায়দুল্লাহ ফারুক এবং বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস থেকে নবাগত আব্দুর রব ইউসুফী নির্বাহী সভাপতি মুফতী ওয়াককাস এবং বর্তমান কমিটির আরো কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীলকে সকল দলীয় কর্মকাণ্ড থেকে সুকৌশলে দূরে সরিয়ে স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে দল পরিচালনার চেষ্টা করলে নির্বাহী সভাপতি গঠনতান্ত্রিক দায়িত্ব থেকে তাদের নিবৃত্ত করতে চেষ্টা চালালেও তারা এতে কর্ণপাত করেননি।
নেতৃবৃন্দ হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের দায়িত্বশীলগণ তাদের অব্যাহত অনিয়মের ব্যাপারে বারংবার কেন্দ্রীয় সভাপতিকে অবগত করলেও অজ্ঞাত কারণে তিনি তাদের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্তই দেননি।
বৈঠকে নেতৃবৃন্দ অচিরেই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ এবং জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমে সংগঠনের কমিটি পুনর্গঠনের দিন তারিখ ঘোষণা করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জমিয়তের নির্বাহী সভাপতি মুফতী মুহাম্মদ ওয়াককাস, সহসভাপতি মাওলানা আব্দুর রহিম ইসলামাবাদী, সহসভাপতি প্রফেসর তৈয়বুর রহমান নিজামী, সহসভাপতি মুফতী গোলাম রহমান, যুগ্মমহাসচিব মাওলানা মাওলানা গোলাম মহিউদ্দীন ইকরাম, যুগ্মমহাসচিব মুফতী শেখ মুজিবুর রহমান, সহকারী মহাসচিব মুফতী আরিফ বিল্লাহ, সহকারী মহাসচিব মাওলানা আব্দুল হক কাওসারী, সহকারী সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী রেজাউল করীম, মাওলানা রেজাউল করীম কাসেমী, মাওলানা সৈয়দ মাসউদ আহমদ
কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা ওয়ালী উল্লাহ আরমান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মাওলানা আব্দুল মালেক চৌধুরী, আলহাজ ফয়েজ আহমদ, মুফতী রেদওয়ানুল বারী সিরাজী, মাওলানা আব্দুল হালিম বরিশাল জেলা সভাপতি, মুফতী মাহমুদুল হাসান ফায়েক, মাওলানা হারুনুর রশিদ যশোর জেলা সেক্রেটারী, মাওলানা আব্দুল মাবুদ বাগেরহাট জেলা সভাপতি, মাওলানা জাবের হোসাইন মাগুরা জেলা সভাপতি, মাওলানা বেলায়েত হোসাইন ফিরোজি, সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্র জমিয়ত সভাপতি মুফতী জাকির হোসাইন খান, মুফতী আতাউর রহমান খান, মুফতী আবু সাইদ প্রমুখ।
জমিয়ত থেকে মুফতী ওয়াক্কাসের নির্বাহী সদস্যপদ স্থগিত