বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১০ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫


মায়ের দোয়ায় বিস্ময়কর সফলতার গল্প

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

শাহনূর শাহীন
সহ-সম্পাদক

পৃথিবীতে ভিন্ন ভিন্ন ভাষায় সবচেয়ে বহুল উচ্চারিত মধুরতম শব্দ ‘মা’। সন্তানের জন্য পৃথিবীতে মা-ই সবচেয়ে আপন। মায়ের নিখাদ ভালোবাসা-মমতার তুলনা হয় না। ‍পৃথিবীতে একমাত্র মা-ই নিঃস্বার্থভাবে তার সন্তানকে ভালোবাসে।

সন্তান যদি অসুন্দর, অযোগ্য, অকর্মা এমনকি বখাটেও হয় তবুও ‘মা’ তার সন্তানকে বুকে আগলে রাখার চেষ্টা করে। শত প্রতিকুলতা সত্তেও সন্তানের কল্যাণে ‘মা’ সর্বদা প্রাণপণ চেষ্টা করে থাকে।

বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সা. বলেছেন, তিন ব্যক্তির দোয়া আল্লাহ তাআলা ফিরিয়ে দেন না। তন্মধ্যে এক ব্যক্তি হলেন ‘মা’। মায়ের দোয়া সন্তানের জন্য অব্যর্থ প্রতিশ্রুতি।

সদ্য প্রয়াত ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনিসুল হক তরুণদের উদ্দেশ্যে মায়ের দোয়া কবুল হওয়ার এক বিস্ময়কর অনুপ্রেরণার গল্প শুনিয়েছেন।

শিক্ষার্থীদের একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদানকালে তিনি বলছিলেন, তিনি যখন ম্যাট্রিক পরীক্ষা দেন সে সময় একদিন পরীক্ষার আগের রাত্র থেকে তার প্রচন্ড জ্বর হয়। জ্বরের মাত্রা প্রায় ১০৪ডিগ্রি ছাড়িয়ে যায়। ফলে তিনি ভালো করে পড়াশুনা করতে পারেননি।

সকালেও জ্বর না কমায় তিনি বলেছিলেন, মা, আমার গায়ে প্রচন্ড জ্বর রাতে পড়তে পারিনি। আমি পরীক্ষা দেবো না। তখন আনিসুল হকের মা বললেন, পরীক্ষা না দিলে তুমি ফেল করে এক বছর পেছনে পড়ে যাবে। তারচেয়ে বরং তুমি পরীক্ষা দাও, আমি দোয়া করবো। এসো আমি তোমাকে ‘ফু’ দিয়ে দিচ্ছি। আনিসুল হক বলেন, এরপর তার মা তাকে বিভিন্ন দোয়া এবং সুরাহ পড়ে মাথায় ‘ফু’ দেন।

আনিসুল হক যথারীতি পরীক্ষা দিতে গেলেন। তিন ঘন্টার পরীক্ষায় কোনো রকমে দুই ঘন্টা পার করে তিনি বের হয়ে যান। এদিকে তার অপেক্ষায় পরীক্ষা কেন্দ্রেই বসে ছিলেন তার মা। পরীক্ষা কেমন হয়েছে জিজ্ঞেস করতে তিনি বললেন মা তোমার ‘ফু’ কাজ হবে না। মাত্র ৩৪ নাম্বার উত্তর করতে পেরেছি। বললেন পাশ করতে হলে কত পেতে হবে। তিনি বললেন ৩৩।

আনিসুল হক বলতেছিলেন, তখন তার মা তাকে বললেন, দাড়াও তোমাকে আবার ‘ফু’ দেবো। তবে এবার দু’রাকাত নামাজ পড়ে। তারপর তিনি দু’রাকাত নামাজ পড়ে আনিসুল হকের মাথায় ‘ফু’ দিলেন। তারপর তার বাসায় গেলেন। যথারীতি অন্যান্য পরীক্ষাগুলো দিলেন।

আনিসুল হক বলতেছিলেন, কাকতালীয় বলুন আর যাই বলুন যখন ফলাফল দেয়া হলো তখন দেখলাম সত্যি হলো এটাই সেই পরীক্ষায় আমি ৩৪-এ ৩৪-ই পেয়েছিলাম।

সত্যিই মায়ের দোয়া বিফলে যায় না। পরীক্ষাতে কোনো ছাত্রই এতো অল্প নাম্বার উত্তর করে পাশ করার আশা রাখে না। বরাবর যতো নাম্বারের উত্তর করেছে ততো নাম্বার পাওয়া তো কল্পনাই করা যায় না। এটা সম্ভব কেবল মায়ের দোয়ার বরকতেই।

এমন অনুপ্রেরণার গল্প সকলের জন্যই হয়ে উঠুক জীবন্ত। মায়ের সেবা-আনুগত্য করে মায়ের দোয়া লাভে উৎসাহী হোক সকল প্রাণ।

নিষিদ্ধ সম্পর্ক; বাড়ছে কেন? করণীয় কী?

এসএস/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ