শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫


জেরুজালেমে দূতাবাস স্থানান্তর করবে না ইউরোপীয় ইউনিয়ন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম : যুক্তরাষ্ট্রের ইসরায়েলি দূতাবাস তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে স্থানান্তরের প্রশ্নে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানিয়েছে তারা জেরুজালেমে দূতাবাস স্থানান্তর করবে না।

বুধবার এক প্রতিবেদনে এ খবর মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট মনিটর ইসরায়েলভিত্তিক জানিয়েছে, সংবাদমাধ্যম চ্যানেল ৭-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন ইসরায়েলে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের দূত ইমানুয়েল গিয়াউফ্রেট।

সাক্ষাৎকারে ইমানুয়েল গিয়াউফ্রেট বলেন, আমাদের দূতাবাস তেল আবিবেই বহাল থাকবে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে জেরুজালেমে দূতাবাস স্থানান্তর করবে না।

ইমানুয়েল গিয়াউফ্রেট বলেন, এ ব্যাপারে জাতিসংঘের একটি প্রস্তাব রয়েছে। জেরুজালেমের বিষয়ে অবশ্যই ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে আলোচনা হতে হবে। এই আলোচনার আগেই এ ব্যাপারে নতুন অবস্থান নেওয়া  ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য ভালো কিছু নয়।

তিনি বলেন, সব ধর্মের জন্যই জেরুজালেম একটি গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল বিষয়। আমাদের পরস্পরের সংবেদনশীলতা অনুধাবনের চেষ্টা করা গুরুত্বপূর্ণ।

ফিলিস্তিন-ইসরায়েল ইস্যুতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অবস্থানেরও পুনরাবৃত্তি করেন ইমানুয়েল গিয়াউফ্রেট। তিনি বলেন, দুই রাষ্ট্রভিত্তিক ব্যবস্থাই এই সংকটের একমাত্র সমাধান। এর প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমর্থন রয়েছে। আমাদের বিশ্বাস, ইসরায়েলের অধিকাংশ মানুষের এই সমাধানের ব্যাপারে একমত পোষণ করেন।

ইমানুয়েল গিয়াউফ্রেট বলেন, জেরুজালেম ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। আমেরিকা যদি শান্তির জন্য একটি ভালো প্রস্তাব দেয় আমরা তাতে সমর্থন দেবো। আমাদের নেতা হওয়ার প্রয়োজন বা আকাঙ্ক্ষা নেই।

উল্লেখ্য, ইসরায়েলের মার্কিন দূতাবাস তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে স্থানান্তর করতে ১৯৯৫ সালে একটি আইন প্রণয়ন করে মার্কিন কংগ্রেস। তখন থেকে এ পর্যন্ত কোনও মার্কিন প্রেসিডেন্ট দূতাবাস স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেননি।

ওই আইনের বিধান অনুযায়ী, সিদ্ধান্তটি বাস্তবায়নের সামগ্রিক ক্ষমতা মার্কিন প্রেসিডেন্টের। চাইলে তিনি জাতীয় নিরাপত্তা ও অন্যান্য দিক বিবেচনায় প্রতি ছয় মাস পর পর বিষয়টি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত দিতে পারেন। সেই ১৯৯৫ সাল থেকে প্রত্যেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট এ আইনি সুযোগটি কাজে লাগিয়ে সিদ্ধান্ত স্থগিত রেখেছেন। ফলে তেল আবিবেই থেকে গেছে মার্কিন দূতাবাস।

জেরুজালেমকে নিজেদের ভবিষ্যত রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে চায় ফিলিস্তিন। আর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও শহরটিকে ইসরায়েলের অংশ হিসেবে মেনে নেয়নি। এ ব্যাপারে ট্রাম্পের পরিকল্পনার কঠোর সমালোচনা করে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ বলছে, দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনের রাজধানী করার দাবিকে পাস কাটিয়ে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে তার প্রভাব হবে ধ্বংসাত্মক।আরএম


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ