বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১১ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শিরোনাম :
‘মানতিক; যুগের চাহিদার সাথে মিলে না’ এ ধরেণের কথা অযৌক্তিক: মুফতি হিফজুর রহমান দাওরায়ে হাদিসের ফলাফল নজরে সানীর আবেদনের সময় বাকি ৩ দিন  বৃষ্টি প্রার্থনায় জামিয়াতুল আবরার রাহমানিয়ায় ‘সালাতুল ইস্তিসকা’  আদায় হাসপাতালে সৌদি বাদশাহ সালমান সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত পাঠ্য তালিকার সাথে বেফাকের পাঠ্য তালিকার সম্পর্ক নেই: বেফাক সৈয়দপুরে তাপদাহে অতিষ্ঠ মানুষ, ‘হিটস্ট্রোকে’ ১ জনের মৃত্যু স্বর্ণের দাম আরও কমলো, ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ১৫১ টাকা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান ইরান-পাকিস্তানের ঢাবিতে বৃষ্টির জন্য ‘সালাতুল ইসতিস্কা’র অনুমতি দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ‘বৃষ্টির জন্যে সালাত আদায় করলেই অবশ্যম্ভাবী বৃষ্টি চলে আসবে—বিষয়টা তা নয়’

এ কেমন মুসল্লি? অশ্লীল নাচ-গানের বিরুদ্ধে খুৎবা দেয়ায় ইমামকে মারধর

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: পাপ ও অন্যায় সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করাই ইমামদের কাজ। কিন্তু সে কাজ করতে গিয়ে যদি মারধরের শিকার হন তাহলে বলতেই হয় এ কেমন মুসল্লি।

হ্যা, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি এলাকায় এক ইমাম এরকম নৃশংসতারই শিকার হয়েছেন। অশ্লীল নাচ-গানের বিরুদ্ধে আলোচনা রাখায় জুমার নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে মেরে রক্তাক্ত করা হয়েছে মসজিদের খতিবকে। যে খতিব মানুষকে আলোর দিশা দেন। নেন সৎ পথে।

শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের করলিয়ামুরা দারুসসালাম জামে মসজিদ সংলগ্ন সড়কে এ ঘটনা ঘটে।

মারধরের শিকার মসজিদের খতিবের নাম মাওলানা সৈয়দ নুর হোসেন। তিনি হলুদ্যাশিয়া এলাকার বাসিন্দা মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে।

মুসল্লিদের বলছেন, করলিয়ামুরা দারুসসালাম জামে মসজিদের খতিব মাওলানা সৈয়দ নুর জুমার নামাজে কোরআন ও হাদিসের আলোকে ‘সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধের’ ব্যাপারে বয়ান করেন।

আলোচনা করার সময় তিনি এলাকায় অশ্লীল গান-বাজনা থেকে এলাকাবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। এতেই স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল ইসলাম ক্ষুব্ধ হয়ে মসজিদের খতিবকে মারধর করে রক্তাক্ত জখম ও পরিধেয় কাপড় ছিড়ে ফেলেন।

স্থানীয়রা জানান, গত কিছুদিন আগে মসজিদ সংলগ্ন হাজী আলী আহমদের বাড়িতে তার পুত্র নুরুল ইসলামের বিয়ের জমকালো আয়োজন হয়। তার বাড়িতে রাতভর অশ্লীল নাচ-বাজনা চলে। জুমার নামাজের পূর্বে মসজিদের খতিব ‘সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ’ কোরআনের আয়াত দ্বারা ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করে মুসল্লিদের বোঝাচ্ছিলেন। পরে নামাজ শেষে ইমামকে এ মারধরের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় মুসল্লিরা আকস্মিক এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনায় হতভম্ব হয়ে পড়েন এবং উক্ত ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।

এদিকে ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত স্থানীয় বাসিন্দা হাজী আলী আহমদের ছেলে নুরুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন।

মসজিদের খতিব মাওলানা সৈয়দ নুর বলেন, আমি কারও নাম ধরে জুমার নামাজের পূর্বে আলোচনা করিনি। আমি শুধু এলাকার সামগ্রিক বিষয়ের উপর আলোকপাত করে এলাকাবাসীকে ‘সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধের’ ব্যাপারে সতর্ক করেছি মাত্র।

তিনি আরও বলেন, নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে কিছু বুঝে উঠার আগেই আমাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। এতে আমি রক্তাক্ত জখম হয় এবং গায়ের জামা ছিড়ে ফেলা হয়। তার সাথে আমার কোনো পূর্বশত্রুতা নেই।

এ বিষয়ে বাইশারী তদন্ত কেন্দ্রের অতিরিক্ত দায়িত্বে নিয়োজিত এসআই সৌরভ মিডিয়াকে বলেন, ঘটনাটি শোনার সাথে সাথে সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি।

ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।

দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার মুফতি মিযানুর রহমান সাঈদ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ