শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫


৭ মার্চ ভাষণের স্বীকৃতি উদযাপন শনিবার

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম : জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ ইউনেস্কোর ঐতিহাসিক দলিলের স্বীকৃতি সরকারিভাবে উদযাপন করা হবে।

এ উপলক্ষ্যে আগামীকাল শনিবার রাজধানীতে আনন্দ শোভাযাত্রা, সমাবেশসহ বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার সকালে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।

তিনি জানান, ৭ মার্চের ভাষণের ইউনেস্কো স্বীকৃতি উদযাপন উপলক্ষে শনিবার দুপুরে ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। এরপর সেখান থেকে আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হবে। এই শোভাযাত্রা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এসে মিলিত হবে। ঢাকার বাইরে জেলা-উপজেলাতেও এই আনন্দ শোভাযাত্রা ও সভা অনুষ্ঠিত হবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিশু-কিশোর, জনপ্রতিনিধি, সাংস্কৃতিক কর্মী ও সর্বস্তরের জনসাধারণ অনুষ্ঠানে অংশ নেবে।

তিনি আরও জানান, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এ আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়গুলো বিভিন্ন অধিদফতরকে একই নির্দেশ দিয়েছে।

শফিউল আলম বলেন, ‘আনন্দ শোভাযাত্রার মাধ্যমে ঢাকা শহরকে প্রাণচাঞ্চল্যমুখর করা হবে। সবাই প্রায় একই সময়ে বিভিন্ন স্থান থেকে রওনা হয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসবেন।

এরপর বিকেল তিনটায় সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথির ভাষণ দিবেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যের পর ৭ মার্চের ভাষণের প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে ভাষণটি বাজানো হবে।

প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের পর শুরু হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। লেজার শো’র মাধ্যমে শেষ হবে আনন্দ শোভাযাত্রা পরবর্তী সভা।’

দেশের বাইরে বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোতেও শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান তিনি।

এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণার পরও রাষ্ট্রীয়ভাবে অনুষ্ঠান করা হয়েছিল। একইভাবে এটা করা হচ্ছে। এটা জাতির জন্য বিশাল অর্জন। দলমত নির্বিশেষে সবার জন্যই অর্জন। এখানে কোনো রাজনৈতিক বিষয় নেই, এটা বাংলাদেশের অর্জন।’

শোভাযাত্রার সময় রাজধানীতে কোনো রাস্তা বন্ধ থাকবে কি না ঢাকা মহানগর পুলিশ তা জানিয়ে দেবে বলেও জানান তিনি।

আরেক প্রশ্নের উত্তরে শফিউল আলম জানান, ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ শিক্ষা কারিকুলামে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে ইতোমধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় উদ্যোগ নিয়েছে।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো।

১৯৭১ সালের ৭ মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) দেওয়া বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণটিকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম প্রেরণাদায়ী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

এ নিয়ে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণসহ আন্তর্জাতিক দলিলে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে তালিকাভুক্ত ঐতিহ্যের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪২৭টি।

এর আগে গত ১৮ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নাগরিক সমাজের ব্যানারে সমাবেশ করে এই স্বীকৃতি উদযাপন করে।

আরএম


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ